সপ্তম অঙ্ক । 3 * বিচেতন, তাছার শরীরে স্বেদসলিল প্রবাহিত, ভূতলে অমিলত বিগলিত মোহে নয়নযুগল নিমীলিত তখন তিনি কেবল মদয়ন্তিকার নিমিত্তই দুর্লভ জীবনযাত্রা সম্বরণে প্রস্তুত ছিলেন, আপন চক্ষেই ত দেখিয়াছ, এই বলিতে বলিতে র্তাহার শরীরে বিবিধ সাত্ত্বিক লক্ষণ প্রাচু ভূত হইতে লাগিল । তখন বুদ্ধরক্ষিতা বলিস, লবন্সিকে ! প্রিয়সখীর মনের ভাব শরীরেই ব্যক্ত করিতেছে, তার জিজ্ঞাসায় প্রয়োজন কি ? দয়ন্তিক কৃত্রিম কোপ প্রকাশ পূর্বক কছিলেন, যাও, দূর হও ; আর তোমার বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া রহস্য উদ্ভেদ করিতে হইবে না। তখন লবঞ্জিক কহিল, সখি মদয়ন্তিকে । আমরা যাহা জানিবার, তা জানি, ক্ষমা কর, আর ছলে কাজ নাই, এম প্রণয়গৰ্ভ কথাপ্রসঙ্গে যুগে কালক্ষেপ করি । শুনিয় তাহারা উভয়ে সম্মত হইলেন। তখন লবঙ্গিৰ জিজ্ঞাসিল, সখি ! তোমার এই গাঢ় তমুরাগ, কি রূপে কাল কাটে বল দেখি । তিনি কছিলেন, শুন ; প্রথমতঃ বুদ্ধরক্ষিতার মুখে পরোক্ষগুণমুবাদ শ্রবণেই তাহার প্রতি অতিমাত্র অনুরাগ জন্মে, তাহাকে দেখিবার নিমিত্ত মনে দিন দিন কৌতুক ও উৎকণ্ঠ ছইতে লাগিল । অনন্তর বিধিনিয়োগবশতঃ সে দিন দর্শন পাইয় অবধি দুৰ্ব্বার দারুণ মদনসন্তাপে ও মনের উদ্বেগে জীবন গাঁতকপ হইয়াছিল, এত দুঃসহ যাতন যে, সখিজনেরাও
পাতা:মালতী-মাধব.djvu/৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।