এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মালা
কাতরতা
এই কি বিধাতা তব বিচারের নীতি?
কাড়ি লও প্রিয়পতি কাঁদায়ে পত্নীরে!
এই কি তোমার চির নিয়ম পদ্ধতি?
অর্দ্ধাঙ্গিনী ফেলি রাখ অনাথিনী ক’রে!
নিদারুণ জ্বালা প্রাণে সহিতে না পারি।
দিবানিশি জ্বলে হৃদে বিষম অনল।
নাথের বিরহে ধৈর্য্য আর নাহি ধরি।
ত্যজিব এ ছার প্রাণ ভখিয়া গরল!
কাঁদিবার তরে বুঝি করিলে সৃজন?
পাষাণে গঠিয়া হিয়া এই দুঃখিনীরে।
জীবন-সম্বল সেই স্বামীর চরণ।
উদ্দেশে করিব স্নাত নয়নের নীরে।
কাঁদিবার তরে বুঝি জনম আমার!
কাঁদিব বলিয়া বুঝি এসেছি এ ভাবে?
কাঁদিয়া বহিব বুঝি এ জীবন ভার?
নয়ন সলিলে বুঝি কিছু জ্বালা যাবে।
এ জীবনে শুকাবে না এই অশ্রুধার।
এ জীবনে মুছিবে না বিষাদ কালিমা।
৭৩