পাতা:মালিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল গৌণরখে ঈষৎগোচর। আসল কথা, মনের একটা সত্যকার বিস্ময়ের আলোড়ন ওর মধ্যে দেখা দিয়েছে । আমার মনের মধ্যে ধর্মের প্রেরণা তখন গৌরীশংকরের উত্তঙ্গ শিখরে শুভ্ৰ নিৰ্মল তুষারপুঞ্জের মতো নির্মল নির্বিকল্প হয়ে স্তব্ধ ছিল না, সে বিগলিত হয়ে মানবলোকে বিচিত্ৰ মঙ্গলরাপে মৈত্রীরূপে আপনাকে প্ৰকাশ করতে আরম্ভ করেছে। নিবিকার তত্ত্ব নয় সে, মুতিশালার মাটিতে পাথরে নানা অদ্ভুত আকার নিয়ে মানুষকে সে হতবুদ্ধি করতে আসে নি। কোনো দৈববাণীকে সে আশ্রয় করে নি। সত্য যার স্বভাবে, যে মানুষের অন্তরে অপরিমেয় করুণ, তার অন্তঃকরণ থেকে এই পরিপূর্ণ মানবদেবতার আবির্ভাব অন্য মানুষের চিত্তে প্ৰতিফলিত হতে থাকে। সকল আনুষ্ঠানিক সকল পৌরাণিক ধর্ম জটিলতা ভেদ করে তবেই এর যথার্থ স্বরূপ প্ৰকাশ হতে পারে। আমার এ মতের সত্যাসত্য আলোচ্য নয়। বক্তব্য এই যে, এই ভাবের উপরে মালিনী স্বতই নিজেকে প্ৰতিষ্ঠিত করেছে ; এরই যা দুঃখ, এরই যা মহিমা সেইটোতেই এর কাব্যরস। এই ভাবের অন্ধুর আপনা-আপনি দেখা দিয়েছিল ‘প্ৰকৃতির পরিশোধে’, সে কথা ভেবে দেখবার যোগ্য। “নিঝরের স্বপ্নভঙ্গে” হয়তো তারও আগে এর আভাস

  • N3भों यiध्र ।

og C8 A