পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ, ১৩৩৪ সাল ] LS EES SLLLLL0SLLLLL LSLeLLALSL ALeL 00L LLLLLLLASLLA LLLALLLL E AAAA LLLLLM DuuDLS BBB DBD KBD SS S DDDDS DDDS S S BBD DDu মানুষের আরও একটী বিচার-শক্তি আছে-যাহা চিন্তা বা ইচ্ছার কোনই ধার ধারে না। সে হইতেছে সৌন্দৰ্য্যানুভূতি। কাজেই ক্যাণ্টের মতে চিন্তা বা ইচ্ছার উদ্রেক না কয়িয়া এবং মঙ্গলামঙ্গলের কোনই সম্বন্ধ না রাখিয়া যাহাই আনন্দ দান করে, তাহাই সৌন্দৰ্য্য। অন্য কথায়, সৌন্দৰ্য্য তাহাকেই বলা হইবে, যাহা দেখিলে আনন্দ পাওয়া যাইবে বটে, কিন্তু লাভ লোকসানের কোনই কথা উঠিবে না। আর্টের ধারণাও তঁহার এইরূপ। তঁহার মতে আনন্দদানই আর্টের উদ্দেশ্য। ক্যাণ্টের পরবত্তী লেখকগণের মধ্যে হিগোলের (IIegel) নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সৌন্দৰ্য্যকে তিনি আন্ন এক ভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন-খোদাতালা দুই উপায়ে আত্মপ্ৰকাশ করেন, (১) ভাব-রূপে ( subjectively ) এবং (২) বস্তু-রূপে ( objectively.)। বস্তুর ভিতর দিয়া সেই ভাবময়ের উজ্জ্বল বিকাশই সৌন্দৰ্য্য। আত্মাই প্রকৃতপক্ষে সুন্দর ; বাহিরের এই সৌন্দৰ্য্য সেই আত্মার সৌন্দৰ্য্যেরই বহির্বিকাশ। হিগেলের মতে সত্য এবং সুন্দর একই জিনিষ । তফাৎ এই-সত্য হইতেছে সেই ভাবময়ের আসল বস্তু-বিহীন রূপটী ( Idea )—যাহা শুধুই চিন্তা ও ধারণার বিষয় ; আর সৌন্দৰ্য্য হইতেছে সেই সত্যেরই বাস্তব বিকাশ। সত্য যখন বাহিরে রূপ পরিগ্রহ করে, তখন ইহা শুধু সত্য নয়, সুন্দর হইয়া দেখা দেয়। “শিলার’ নামক আর একজন খ্যাতনামা দার্শনিক বলিয়াছেন- সিসীমের মধ্যে অসীমের অনুভূতিই হইতেছে সৌন্দৰ্য্য এবং হৃদয়ে এই অনুভূতির উদ্রেক করাই আর্টের কার্য্য।” এইরূপ ভাবে ফিক্‌টে, হারবার্ট, ডারউইন প্রভৃতি বহু খ্যাতনামা দার্শনিক সৌন্দৰ্য্য ও আর্ট সম্বন্ধে নানা ভাবে নিজেদের মত প্ৰকাশ করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু কেহই কোন সর্ববাদীসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছিতে পারেন নাই। উপরোক্ত মতবাদগুলিকে মোটামোটি ভাবে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়-(১) সৌন্দৰ্য্যের একটা স্বাধীন অশরীরী st' (Absolute Being) etc.; (r) সৌন্দৰ্য্য বলিয়া আসলে কিছুই নাই, যাহাঁই আনন্দ দান করে, তাহাই সৌন্দৰ্য্য। বলা বাহুল্য উপরোক্ত মতান্বয়ের কোনটাই সন্তোষজনক নহে। ১মটী শুনিতে খুব গুরু গভীর হইলেও, উহা নিতান্তই S L0L SLS SSLeLASLLAe LLL S LLL LLTL ES A SLSeLLLLSSSLSSSSSEL aLLAL AELLLLLSLLSS S AS aAe SAAA SLLLL LSLLLSL TLMLL LLLLLL TA LESS LS আটোেৱ স্বরূপ GO LA LALLLL LLL LLTAL LLL LLTLL LLL L SALMLL eLLLLL LLLLL S LS S SSLLLSLL AeA S হেঁয়ালীপূৰ্ণ, দুৰ্বোধ্য এবং ধারণার অতীত। উহার দ্বারা সৌন্দৰ্য্য সম্বন্ধে মনের মধ্যে কোন ধারণাই জমাট বাধিয়া উঠে না। ২য়টা সহজবোধ্য হইলেও নিতান্তই ভ্ৰমপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ, কেননা যাহাঁই আনন্দ দান করে, তাহাই যদি সৌন্দৰ্য্য হয়, তবে সৌন্দৰ্য্যের কোনই আদর্শ ( standard ) থাকে না। একই বস্তু একজনের নিকট সুন্দর এবং অন্য জনের নিকট আসুন্দর বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে, কারণ সৌন্দৰ্য্যানুভূতি সকলের একরূপ নহে। ঠিক একই কারণে এহেন অনিশ্চিত ভিত্তির উপর দণ্ডায়মান আর্টেরও কোন DBDBD KDBD DBDS BDD BLB BDBYB BDDD DS অতএব দেখা যাইতেছে, আর্টকে সৌন্দর্য্যের ভিত্তির উপর দাড় করাইয়া ব্যাখ্যা করিতে গেলে প্রকৃতপক্ষে কোন ব্যাখ্যাই করা হয় না ; উঠা এক হেঁয়ালী হইতে আর এক হেঁয়ালীতে লইয়া যায় মাত্ৰ । আর্ট তবে কী ? আমার মতে টলষ্টয় যে সংজ্ঞা দিয়াছেন, তাহাই ঠিক। তিনি বলেন, আর্টকে সম্যকরূপে বুঝিতে হইলে সর্বপ্রথম কৰ্ত্তব্য এই হইবে যে, সৌন্দৰ্য্য ও আনন্দকে বাহিরে রাখিয়া আটকে দেখিতে হইবে। অর্থাৎ সৌন্দৰ্য্য ও আনন্দের সহিত আটকে যোগ-সম্বন্ধ ভাবে দেখিতে হইবে না। আর্ট মানব জীবনেরই একটি ক্রিয়া বা অবস্থা ; মানুষের মনোভাবের পরম্পর আদান প্ৰদানেরই ইহা অন্যতম উপায় স্বরূপ। বাকশক্তি যেমন মানুষের চিস্তা ও অভিজ্ঞতার বিষয় অপর সকলের নিকট পৌছাইয়া দেয় এবং পরস্পরের মধ্যে একটা যোগ স্থাপনা করে, আর্টও তদ্রুপ মানুষের অন্তরের অব্যক্ত অনুভূতিকে অপর হৃদয়ে পৌছাইয়া দেয়। মানুষ যাহা চিন্তা করে বা দেখে, তাহা কথার দ্বারা অনায়াসে সে অপরের নিকট ব্যক্ত করিতে পারে ; কিন্তু অন্তরের অন্তস্তলে সে যাহা অনুভব করে, তাহা শুধু কথার দ্বারা সম্যক প্ৰকাশ পায় না ; সেইখানে আর্টের দরকার হয়। সুতরাং আর্টকে অনুভূতির ভাষা বলা যাইতে পারে। নিজ অন্তরে যাহা অনুভব করা যায়, অপর হৃদয়ে তাহাই অবিকল পৌছাইয়া দিবার কলা-কৌশলই আর্ট। টলষ্টয় বলেন :- "Art is a human activity, consisting in this, that one man conscionsly, by means of certain external signs, hands on to others, feelings he has lived through and that