পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার মেছলমান ও প্ৰাথমিক শিক্ষা | अनि७शांब्र 6श्icलन ] uuuASQSumme “বাংলার মোছলেমান ও প্ৰাথমিক শিক্ষা” সম্পর্কে কোন কথা বলিতে গেলেই ইহার গুরুত্ব, জটিলতা ও ব্যাপকতার কথা সর্বাগ্রে আমাদের মনের মধ্যে জাগিয়া উঠে। কিন্তু তৎসত্ত্বেও প্রয়োজন-বোধে যতদূর সম্ভব সংক্ষেপে আমি আজি এই প্রসঙ্গের আলোচনা করিব। বাংলা মোছলমান-প্রধান দেশ । এখানকার শতকরা ৫৫ জন অধিবাসী মোছলমান। কিন্তু সংখ্যায় সব-চেয়ে বেশী হইলেও মোছলমানের শিক্ষা-ব্যাপারে সব-চেয়ে পশ্চাৎপদ । ইহা নিশ্চয়ই আক্ষেপের বিষয়। প্ৰাথমিক শিক্ষার বহুল প্রচার ব্যতীত এই অধঃপতিত সমাজের আশু উন্নতির আশা নাই। সমাজের মেরুদণ্ড হইল অজ্ঞ কৃষক সম্প্রদায়। সাধারণের ধারণা, কৃষি-কাজে শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন নাই। স্থূলবুদ্ধি মুখ যাহারা, তাহদের উপর এ কাজের ভার দিয়া আমরা নিশ্চিন্ত আছি। কিন্তু আমাদের একটা কথা ভুলিলে চলিবে না যে, শিক্ষা প্ৰত্যেকের জন্যই দরকারী। মানুষের মচুন্যত্বটুকু পুরাপুরি ফুটাইয়া তুলিতে হইলে শিক্ষা ব্যতীত BD BBD DDD SS Di iBD DDB BDBBBDD DBDBBB যুগে শিক্ষার উপকারিতা সম্বন্ধে বক্তৃতা করিতে যাওয়া বৃথা। শিক্ষা বিয়ে আমরা বাঙ্গালী মেছলমান কতদূর অনুন্নত, তাহা কল্পনা করিলেও নৈরাশ্যের অন্ধকার আমাদের মনকে ছাইয়া ফেলে। মোছলমান আজ ব্যবসায়, বাণিজ্য, শিল্প প্ৰভৃতি অর্থকরী ব্যাপারেও সবচেয়ে পিছনে পড়িয়া আছে। উকীল, মোক্তার, কেরাণী ও নকলনবিশের কাজ হিন্দুরই একচেটিয়া। অফিস আদালতে, মহাজনের গদীতে, সওদাগর আফিসে, কিংবা রেল বা ষ্টীমার ষ্টেশনে, আমরা আজ দুই একজন মোছলমান কৰ্ম্মচারী দেখিতে পাই মাত্র। যেখানে কুলী মজুর, সেইখানেই মেছলমান দলে দলে দেখা যায়। তাহারা hewers of wood and drawers of water' ব্যতীত আৱ কি ? সমাজে তাহাদেৱ স্থান কোথায় ? { }صصص তথাকথিত ভদ্র হিন্দুর মতে তাহারা মোছলমান, ভদ্ৰে লোক নয়। এরূপ ধারণা তাহারা পোষণ করিবে ইহাতে আর বৈচিত্ৰ্য কি ? এ প্ৰতিযোগীতার যুগে যোগ্যতমেরই উদ্বর্তন ( Servival of the fittest ) eðCS{2 | Kleisi অলস অশক্ত, তাহাদিগকে জীবন-যুদ্ধে বাধ্য হইয়াই পরাজয় স্বীকার করিতে হয়। দুৰ্ব্বলের প্রতিষ্ঠা প্ৰকৃতির নিয়ম নয়। মোছলমান সব বিষয়েই দুর্বল। মানসিক শক্তির পরীক্ষায়ও তাহারা হিন্দুর সঙ্গে টিকিয়া উঠিতে পারে না। শারীরিক, মানসিক, নৈতিক, আর্থিক-সকল দিক দিয়াই তাহারা দুর্বল, পরের অনুগ্রহ-ভিখারী। আত্মপ্রতিষ্ঠার সুযোগ বা ক্ষমতা তাহদের নাই। হিন্দু তাহাদিগকে ঘৃণা করে, এ অনুযোগ তাহদের মুখে সৰ্ব্বদাই শুনা যায়। প্ৰবল হিন্দু জাতিকে তাহারা ভয় না করিয়া পারে না। কিন্তু এ স্বাভাবিক ভয় দূর করিবার উপায় কি ? উপযুক্ত না হইলে কখনই অন্যের নিকট হইতে ভিক্ষা করিয়া কিছু আদায় করা যায় না। প্রতিবেশী হিন্দুর সঙ্গে পালটা দিয়া চলিয়া ধরাপুষ্ঠে টিকিতে হইলে আমাদিগকে শিক্ষার পথে অতি দ্রুত অগ্রসর হইতে হইবে। কথা উঠিতে পারে, হিন্দুরা আমাদের বহুপূৰ্ব্বে শিক্ষাক্ষেত্রে নামিয়াছে। তাহারা আজ বহুদূর অগ্রসর। আমরা ইংরেজী শিখিবনা বলিয়া পণ করিয়া বসিয়াছিলাম। সময়ের স্রোতের সঙ্গে তাল রাখিয়া আমরা চলিতে পারি নাই। যুগ ধৰ্ম্মের অবশ্যম্ভাবী গতিৱ সঠিক নমুনা আমরা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারি নাই। পরিবর্তনের বিরোধী হইয়া আমরা মহাভুল করিয়াছি। সে ভুলের জন্য আজ আমাদিগকে ভূগিতে হইবে। আমাদিগকে আজ কাৰ্য্যক্ষেত্রে উঠিয়া পড়িয়া লাগিতে হইবে। হিন্দুরা যদি দৈনিক ১০ ঘণ্টা কাজ করিতে পারে, আমাদিগকে তখন করিতে হইবে দৈনিক ১৬ ঘণ্টা। তাহাদিগকে দৌড়িয়া ধরিতে না পারিলে আমাদের উদ্ধার নাই। কিন্তু আমাদের