পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ, ১৩৩৪ সাল ] জায়গা ব্যতীত অন্যত্র কোথাও কোন কাজ হইয়াছে বলিয়া আমাদের জানা নাই। কলিকাতার বুকে মিউনিসিপালিটীর অধীনে এই স্কীম অনেকটা কাৰ্য্যে প্ৰযুক্ত করিবার বন্দোবস্ত হইয়াছে। খুলনা জেলায়ও পরীক্ষামূলক ভাবে এই স্বীম অনুপাতে প্ৰাইমারী শিক্ষা বিস্তারের চেষ্টা হইতেছে। ঢাকার অপর পারে জিঞ্জিরায়ও শিক্ষাদানের জন্য একটী দালান নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। সেখানেও অনেক ছাত্র বিনা ব্যয়ে লেখাপড়া শিখিতেছে। কিন্তু যতদিন পৰ্য্যন্ত না দেশের সৰ্ব্বস্থানে এই ব্যবস্থা হইতেছে, ততদিন পৰ্য্যন্ত ইহার দ্বারা সৰ্ব্বসাধারণের উপকার হইবে ’ না। দেশের ধনী জমীদার সম্প্রদায় দেশের কেউ নয়। প্ৰজাৱ রক্ত শোষণ করিয়া তাহারা D BBDDS SDBDK BBDB S DDD DBDYSS DD যাহাঁদের অর্থে তাহারা পরিপুষ্ট, তাহদের জন্য তঁহার এ পৰ্য্যন্ত কতটুকু স্বাৰ্থ ত্যাগ করিয়াছেন ? Mr. Lindsay সম্প্রতি প্ৰাথমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য নূতন আর এক উপায় উদ্ভাবনে ব্যস্ত আছেন। তিনি গবৰ্ণমেণ্টের শিক্ষা বিভাগের সেক্রেটারী। হাওড়াতে প্ৰথমতঃ কতিপয় উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী নিয়া এই বিষয়ে আলোচনা করিবার জন্য এক পরামর্শ সভা আহুত হয়। প্রাইমারী শিক্ষাকে সাৰ্বজনীন করিতে হইলেই বহু অর্থের প্রয়োজন। এত টাকা আসিবে কোথা হইতে ? তঁহারা মনস্থ করিলেন শিক্ষাকর বসাইয়া অৰ্থাগমের উপায় করিতে হইবে । স্বায়ত্ত শাসনের নামে দেশে গ্রামে গ্রামে যে সব ইউনিয়ন বোড স্থাপিত হইতেছে, তাহদের উপর শিক্ষার তত্ত্বাবধান-ভার দিবার কথা হইবে। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ইউনিয়ন বোডের প্রেসিডেণ্ট প্রভৃতি সরকারী লোকেরা শিক্ষা বিভাগেব শাসনকাৰ্য্যে সাহায্য করিবেন। বিগত জানুয়ারী মাসে ঢাকায় এক শিক্ষা-সম্মিলনের অধিবেশন হয়। ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার ডিষ্ট্রক্ট বোডের চেয়ারমেন ও অন্যান্য গণ্যমান্য লোক তথায় উপস্থিত ছিলেন । Mr. Lindsay সভার উদ্দেশ্য বিস্তারিত বুঝাইয়া দেন। প্রাথমিক শিক্ষার আশানুরূপ বিস্তার করিতে হইলে যে শিক্ষাকৱ না বসাইয়া অন্য গতি নাই তাহাও তিনি বলেন। অধিকাংশ সভ্যই এ-প্ৰস্তাবের সমর্থন করেন। কিন্তু এরূপ প্রস্তাব যে কতদূর যুক্তিসঙ্গত তাহা ভাবিয়া দেখা উচিত। দেশের দরিদ্র জনসাধারণ পূর্ব হইতেই নানাপ্রকার করের ভারে প্রপীড়িত। চৌকিদারী টেক্স, ইনকা টেক্স এরূপ আরও কত কি ! বাংলার ক্ষে নাছিলমান ও প্রাথমিক শিক্ষা তার উপর আবার শিক্ষাকর। অবশ্য শিক্ষার জন্য কর ধাৰ্য্য করা এক দিক দিয়া ন্যায়সঙ্গত হইতে পারে, প্ৰাইমারী শিক্ষা ঘরে ঘরে প্রচার হউক এরূপ কামনা প্ৰত্যেকেই করে ; বিস্তু দেশের লোক এ অতিরিক্ত করের ভার সহ্য করিতে পরিবে কিনা সে কথাও একবার ভাবিয়া দেখা উচিত। জমীদারের অন্যায় দাবী, প্ৰাপ্য খাজনার অতিরিক্ত সেলামী, বাজে আবওয়াব, পুজাপাৰ্ব্বণে চাদ প্রভৃতি দিয়া দরিদ্র কৃষকের সংবৎসর সংসার চালানো একরূপ দায় হইয়া উঠে। তারপর মহাজনের অমানুষিক অত্যাচার। অসম্ভব রকম সুদের হার ঋণজর্জরিত কৃষকের শেষ কপৰ্দািকটুকু জোর করিয়া কাড়িয়া লয়। এমতাবস্থায় শিক্ষাকর দিয়া তাহার উপাজ্জিত যৎসামান্য অর্থের কত ভগ্নাংশ বাকী থাকিবে ? জমীদারী প্রথার কল্যাণে প্রজাকে ভূমির করও অনেক বেশী দিতে হয়। এত বেশী ভূমির রাজস্ব অন্যত্র আছে কিনা আমাদের জানা নাই। এসব নানা কারণে আমাদের মনে হয় এত করের উপর আবার শিক্ষাকর বসান অনেকটা ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘা’র মত হইবে। গ্ৰাম্য চৌকিদার দিয়া গ্রামবাসীর যে কি উপকার হয়, তাহা আমাদের ধারণার অতীত। রাত্রে পাহারা দিয়া চোর ডাকাত তাড়াইয়া দিবে। এই ভরসায়ই চৌকিদার নিযুক্ত হইয়াছে। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, কয়জন চৌকিদার রীতিমত গ্রামে পাহারা দেয় ? গ্রামের জন্মমৃত্যুর সংবাদ থানায় বহন করা ছাড়া তাহদের অন্য কোন কাজ আছে কি ? তাহা যদি না থাকে, তবে অকারণে ট্যাক্স দিয়া তাহাদিগকে পোষণ করার সার্থকতা কি ? জন্মমৃত্যুর সংবাদ অন্য ভাবেও সংগ্ৰহ করা যায়। ব্যক্তিগত ভাবে যদি প্ৰত্যেককেই এ সংবাদ থানায় দিতে বাধ্য করা যায়, তবেই ত একাজ সমাধা হয়। ইহাতে ফল এই হয় যে, যে-টাকা চৌকিদারের জন্য ব্যরিত LSzD BDBB KBDD BDBD TTS DBD BDBD যায়। তারপর জমীদার সম্প্রদায়ের কথা। প্ৰজার প্রতি কি তাহাঁদের কোনই কৰ্ত্তব্য নাই ? তহশীলদারী করিয়া মধ্যস্থ সাজিয়া জাতীয় সম্পদের এক সারাংশ ভোগ করিয়াই কি তাহারা আপনাদের কৰ্ত্তব্য শেষ করিতে চান ? বাংলা দেশের দারিদ্র্যের অন্যতম কারণ এই জমিদারী-প্ৰথা। এই eos e rats are a stris unearned income