পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sea কন্যার উপর কোনও প্রকার দোষারোপও করা यांछेड পারে না । কারণ সে শরিয়তের দেওয়া অধিকার ভোগ করিতেছে মাত্র। ইহা এমাম আবু হানিফ ছাহেবের ও হানাফী মজহাবের গৃহীত অভিমত। এই মতাবলদীরা নিজেদের মতের সমর্গনে বড় দলিল ও নজির উদ্ধার করিয়া থাকেন । অন্যান্য 'আলেম ও এমামগণ বলেন যে, কুমারী বা বিধবা কন্যার অমতে বা আদৌ মত না লইয়া কোন পিতা ও যদি তাতার বিবাহ দেন, তাত হইলে সে বিবাহ যে অসিদ্ধ তাহাতে এক বিন্দুও সন্দেহ নাই। কারণ পরস্পরের --উভয় বর ও কন্যার-সম্মতিই হইতেছে বিবাহের প্ৰধানতম উপাদান। তাহার পর ঠিক বিবাহের সময় formal tit, কন্যাদিগের “এজেন” বা অনুমতি না লাইলেও বিবাহ সিদ্ধ হয় না, ইতাও সৰ্ববাদীসন্মত কথা। বিবাহে উকীল ও সাক্ষী রাখিতে হয় -এই সম্মতিদানের প্ৰমাণ স্বরূপে । কিন্তু এ সমস্ত স্বাধীনতা ও অধিকার থাকা সত্তেও নারী পিতার অনুমতি লাইতে বাধ্য। “আলির অনুমতি ব্যতীত কোন বিবাহ সিদ্ধ হইতে পারে না”— এই মর্শের প্রমাণ কোরআন হাদিছ। হইতে উদ্ধত করিয়া ইহারাও নিজ মতের সমর্থনা করিয়া থাকেন। কিন্তু ইহারাও বলেন যে, কোন অলি যদি নারীর ক্ষতিজনক ভাবে তাহার বিবাহে অনুমতি দিতে অস্বীকার করে, তাহা হইলে কাজীর নিকট দরখাস্ত করিয়া নারী সে অনুমতি লাভ করিতে পারে। শাস্ত্রীয় প্রমাণের সঙ্গে সঙ্গে তাহাদিগের প্ৰধানতম যুক্তি এই যে, সংসারের কুটিলতা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ কুমারী তরুণী, বয়স-ধৰ্ম্মের মোহ কৰ্ত্তক প্ৰলুব্ধ-— অথবা দুষ্ট চঞ্চলমতি ও নীচ স্বার্থপরায়ণ পুরুষগণের দ্বারা প্ৰবঞ্চিত হইয়া নিজের সর্বনাশ সাধন করিয়া বসিতে পারে। নারীকে এই বিপদ হইতে রক্ষা করার জন্য, পিতা প্ৰভৃতি আলিগণের মত লইয়া কাজ করার ব্যবস্থা হইয়াছে। অন্যপক্ষের যুক্তির হিসাবে বলেন-বয়ঃপ্ৰাপ্ত হওয়ার পর নারী—তা সে কুমারী হউক, বিধবা হউক বা বিবাহিত হউক।--নিজের সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের, ভোগ তছরফের ও দান-বিক্রয়ের সম্পূর্ণ মালেক হইয়া যায়, এবং সেজন্য তাহাকে পিতা বা স্বামীর কোন প্রকার অল্পমতি দইতে খাইমত বাধ্য করা হয় মাই। সম্পত্তি সম্বন্ধে নারীকে শুনাসিক মোহাম্মদী যে অধিকার ও স্বাধীনতা দেওয়া সঙ্গত বলিয়া বিবেচিত [ sभ दर्द, ४ ज९था হইয়াছে, বিবাহ সম্বন্ধে তাহাকে সে অধিকার ও স্বাধীনতা হইতে বঞ্চিত করার কোনই কারণ নাই । এই মতবাদগুলির সমালোচনা করা এক্ষেত্রে আমা দিগের উদ্দেশ্য নড়ে । বিবাহ সম্বন্ধে এছলাম নারীকে কি প্ৰকার অধিকার ও কি পরিমাণ স্বাধীনতা প্ৰদান করিয়াছে, সে বিষয়ের সমস্ত দিক পাঠক পাঠিকার সম্মুখে পরিস্ফুট করার জন্য আমরা এতগুলি কথার অবতারণা করিয়াছি। রক্ষণশীল দলের এয়ামাগণ ও বিবাহুে নারীর যে অধিকার স্বীকার করিয়াছেন, এই আলোচনায় তাহাও পরিষ্কার ভাবে বুঝিতে পারা যাইতেছে। কুমারী হউক, বিধবা হউক, তাহার স্পষ্ট অভিমত না লইয়া কোন ‘অলি”—এমন कि তাহার পিতা ও --তাতাকে বিবাহ দিবার অধিকারী নহেন, ইভা সকল পক্ষের সর্ববাদীসম্মত অভিমত । অন্য অলির কথা দূরে থাকুক, স্বয়ং পিতাই যদি কন্যার অমতে তাহার বিবাহ দেন, তাহা হইলে কঙ্কা ইচ্ছা করিলে তখনই সে বিবাহকে অস্বীকার ও অমান্য করিতে পারে। স্বয়ং হজরত রছিলে করিম বিভিন্ন ঘটনায় এইরূপ সিদ্ধান্ত প্ৰকাশ করিয়াছেন এবং তঁহার হুকুমে এই শ্রেণীর কতক গুলি বিবাহ অসিদ্ধ বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে। পাঠকগণের কৌতুহল নিবারণের জন্য এখানে দুইটী মাত্ৰ হাদিছ উদ্ধত করিয়া দিতেছি। :--- 1 A نے صبر صبر A صے? Aصے گر ابری عجلأسر Utö "ن جارية - آتست رسول محکمے محے سم و صے صے f محم صے مح ول محمحھ عصے حصے A صبر و محمحصے محے محے مS محصے حصے محصے ര ര عصبی و ര ര صصي صبر صے صے محصص مج ہو فالمديرها ;لڈسی صاعم ب- مردود صي এবনে অ্যাকবাছি বলেন, একটী কুমারী-কন্যা হজরতের নিকটে আসিয়া বলিলেন যে, তঁহার পিতা তাহার বিবাহ দিয়াছেন, অথচ সে বিবাহে তেঁাহার অমত। হজরত তাহাকে স্বাধীনতা দিলেন ( অর্থাৎ বলিয়া দিলেন যে ইচ্ছা করিলে তুমি এ বিবাহ বজায় রাখিতে পাের, আর ইচ্ছা করিলে উহা ‘ক্যালিল” করিয়া দিতে পাের।) —এবনেমাজ, আবুদাউদ প্ৰভৃতি।