পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه . بدیهیمی، هر ۰ ماری می ۹ طاهرنگ কোনও অবস্থায় সে বিবাহ ভঙ্গ করার কোনও অধিকারই আর তাহার থাকে না। আমরা এরান্ধীয় পণ্ডিতগণের মতকেই সঙ্গত এবং কোরআন হাদিছের সমস্ত দলিলের ভাব ও ভাষার সহিত সামঞ্জস বলিয়া মনে করি। প্ৰথমতঃ অন্য পক্ষের নিকট এমন কোন বিশেষ দলিল নাই, যাহাদ্বারা তঁহারা সন্তোষজনক রূপে সপ্ৰমাণ করিতে পারেন যে,-অপ্ৰাপ্তবয়স্ক কন্যা বয়ঃপ্ৰাপ্ত হওয়ার পর অন্য সমস্ত অলির দ্বারা অনুষ্ঠিত বিবাহকে অস্বীকার করিতে পারে বটে, বয়ঃপ্ৰাপ্ত কুমারী কন্যা পিতার দ্বারা অনুষ্ঠিত বিবাহকেও অমান্য করিতে পারে বটে, কিন্তু পিতা শত অন্যায় করিয়াও অপ্ৰাপ্তবয়স্ক কন্যার বিবাহ দিলে, সে বিবাহ ভঙ্গ করার কোন অধিকার তাহার কস্মিনকালে ও কোন অবস্থাতেই বৰ্ত্তিতে পারে না। দ্বিতীয়তঃ যুক্তির হিসাবে বিচার করিয়া দেখিলে, সহজে বুঝিতে পারা যাইবে যে, এছলাম বিবাহ সম্বন্ধে নারীকে যে, অধিকার ও স্বাধীনতা দান করিয়াছে, এবং তাহার মূলে যে উদার মহান ও স্বাভাবিক ‘নীতি’ নিহিত রহিয়াছে, এই মতবাদটী সে নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত। অপরিণতবয়স্ক বালিকার বিবাহ দেওয়া যে এছলামের আদর্শনহে—একথা আমরা পূর্বেই আরজ করিয়াছি। সিরি আয়শার বিবাহ-বিবরণ আমাদিগের অবিদিত নহে। এই হাদিছ সংক্রান্ত সূক্ষ্ম আলোচ্য বিষয় অনেক আছে, এক্ষেত্রে তাহার বিচারের স্থানাভাব। আজি এই প্রসঙ্গে মোটের উপর শুধু এই কথাটা বলিয়া রাখিলে যথেষ্ট হইবে যে, হজরতের বিবাহ ও তাহার বিবিগণের বিষয়ে এমন অনেক ব্যবস্থা আছে, মুছলমান সাধারণের জন্য যাহা প্ৰযোজ্য হইতে পারে না। হজরতের শিক্ষাগুণে এবং তঁহার সময় সত্যকার। এছলামী ব্যবস্থার মুক্ত আবহাওয়ার মধ্যে লালিত পালিত হওয়ার ফলে, নিজেদের দাবী প্ৰকাশ ও অধিকার-প্ৰতিষ্ঠাক্ষেত্রে মোছলেম তরুণীরাও যে কিরূপ সাহস ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, এই সকল হাদিছের দ্বারা তাহাও স্পষ্টতঃ প্ৰকাশ হইয়া যাইতেছে। বিবাহ-বন্ধন ছেদ করা সম্বন্ধে এছলামে আরও যে সব বিধি ব্যবস্থা আছে, এই প্রসঙ্গে সম্যকরূপে তাহারও বিচার স্না আৰু 烹1 नम्न६ আলোচনা অসম্পূণ থাকিয়া যায়। মাক্তিনক মোহাম্মদী। [ » ब६, ७ मरfी আবার সে সম্বন্ধে কোন কথা বলিতে গেলে, তালাকের মছলার সকল দিকের বিস্তারিত আলোচনার আবশ্যক হইয়া দাড়ায় । এজন্য উপস্থিত আমরা সে আলোচনা হইতে বিরত থাকিতে বাধ্য হইলাম। আল্লাহতাআলা শক্তি দিলে, ভবিষ্যতে এই ত্রুটি পূরণের চেষ্টা করিব। তবে পাঠকগণকে আজ এইটুকু মাত্র বলিয়া রাখিতেছি যে, আজকাল মুছলমান সমােজ সাধারণতঃ তালাকের অধিকারের যে প্ৰকার অপব্যব। হার করিতেছে, তাহ এছলামের আদর্শ নহে,--বরং তাহার বিপরীত একটা ঘূণিত বেদ আৎ ও অশাস্ত্রীয় ব্যভিচার মাত্র। পক্ষান্তরে এখানে ইহাও জানিয়া রাখা উচিত যে, যেমন । বিশেষ বিশেষ কারণে ও বিশেষ বিশেষ অবস্থায়, স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের মঙ্গলের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া, বিশেষ বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের কঠোর তাকিদ সহকারে স্বামীকে অগত্যা স্ত্রীত্যাগের অনুমতি দেওয়া হইয়াছে, সেইরূপ বিশেষ বিশেষ অবস্থায়, বিশেষ বিশেষ কারণে এবং বিশেষ বিশেষ সতর্কতার তাকিদ সহকারে এছলাম নারীকেও বিবাহৰন্ধন ছেদ করার অধিকার প্রদান করিয়াছে। পুরুষ স্মাৰ্ত্তগণের বহু শতাব্দীর নেকনজরের ফলে, শরিয়তের মূল ব্যবস্থাগুলি স্থানে স্থানে চাপা পড়িয়া গিয়াছে সত্য, কিন্তু এছলামের মূল উৎসআল্লার কালাম ও রন্থলের হাদিছকে চাপা দিবার ক্ষমতা কাহারও নাই। স্বাধীনভাবে তাহার আলোচনা আরম্ভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, মোছলেম-জগতের সুধীবৃন্দ আবার তাহাকে জীবন্ত করিয়া তুলিতে সচেষ্ট হইয়াছেন। সম্প্রতি মিসরের পালামেণ্টে বিবাহ ও তালাক সম্বন্ধে নূতন আইনের যে খষড়া পেশ হইয়াছে, তাহা আমাদিগের কথার সত্যতার সাক্ষাৎ প্ৰমাণ । আমাদিগের দেশে সাধারণতঃ মনে করা হইয়া থাকে, পুরুষের স্ত্রীবর্জনের অধিকার কোন নিয়ম কানুনের অনুশাসন মানিতে বাধ্য নহে। পক্ষান্তরে একাধিক স্ত্রীগ্রহণ করারও তাহার নিয়মহীন শৰ্ত্তহীন অবাধ অধিকার আছে। এই ভ্ৰান্ত ধারণার ফলে, মুছলমান সমাজবিশেষতঃ ধাৰ্ম্মিকতার সোল এজেন্সীর দাবিদারগণ-স্ত্রীবর্জন ও একাধিক স্ত্রীগ্ৰহণ সম্বন্ধে শাস্ত্রীয় ব্যবস্থার যে ঘোর ঘূণা জনক ব্যভিচার আরম্ভ করিয়াছেন, তাহা চিন্তা করিতেও বুক कांब्रिा यांत्र । भिगप्द्र श्रांणींप्ष्मी बगिष्ठcश्न-शैौवन ७ একাধিক স্ত্রীগ্রহণের অনুমতিকে এছলাম যেসকল নিয়মকানুনের কড়া অনুশাসনের অধীন করিয়া দিয়াছে, এখন কেবল