পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিদানে ইংরাজগণ কি করিয়াছেন ? কেবল বিদ্রোহী সৈন্যগণকে হত্যা করিলে কথা ছিল না, কিন্তু বহু নিরপরাধ লোককেও কেবল এই অপরাধে হত্যা করা হইয়াছিল যে, তাহারা ভারতবাসী । অন্ধকুপহত্যা ও ঈদেৱৰ কোৱা বাণী অমৃতসরের তদানীন্তন ডেপুটী কমিশনার মিঃ কোপার “পাঞ্জাবের হাঙ্গামা” নামক নিজের পুস্তকে লিখিয়াছেন :- ২৬নং পল্টন ৩০শে জুলাই লাহোরে বিদ্রোহী হইয়া নিজের কমাণ্ডিং অফিসারকে হত্যা করে। যাহার শান্তি স্বরূপ সমস্ত সৈন্যের প্রাণনাশ করা হয়।-- ১৩ই মে ৩৮০০ ভারতীয় সৈন্যের নিকট হইতে অস্ত্ৰাদি কাড়িয়া লওয়া হয় এবং প্ৰায় ৩ মাস যাবৎ তাহদের উপর শিখ ও ইংরাজ পাহারা নিযুক্ত রাখা হয়। ৩০ শে জুলাই ভয়ানক ঝড় উঠে এবং বন্দীগণের মধ্যে অসম্ভব উত্তেজনার স্বাক্ট হয়। ইতিমধ্যে একজন সৈন্য তলওয়ারসহ আসিয়া নিজের সন্দিগণকে ইংরাজী-বধে উত্তেজিত করে এবং নিজে গিয়া কম্যাণ্ডিং অফিসারকে হত্যা করে। অতঃপর সেই ঝড়ের মধ্যে সমস্ত সৈন্য বিদ্রোহী হইয়া পলায়ন করে। তাহার মধ্যে কয়েকশত সৈন্য ইংরাজ ও শিখগণের তোপের · মুখে প্ৰাণ হারায়। অবশিষ্টের রাবি নদী পাড়ি দিবার চেষ্টা করে, কিন্তু মিঃ কোপার পুলিশসহ বাধা দেন। প্ৰায় ১৫০ জনকে তাহারা হত্যা করিয়া কয়েক শতকে নদীর দিকে তাড়াইয়া দেয়। বিদ্রোহী সৈন্যগণ এত অধিক ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছিল যে, নদীতে পড়িয়া তাহদের অধিকাংশই ডুবিয়া মারে। কিছু লোক নদী পার হইয়া বনে গিয়া লুকায়াছিল বটে, কিন্তু মিঃ কোপার দল বলসহ নদী পার হইয়া গিয়া তাহাদিগকে বন্দী করেন এবং থানায় আনিয়া একটী ক্ষুদ্র ঘরে কয়েদ করিয়া রাখেন। পরদিন কোপারের সঙ্গী মুসলমান সৈন্যগণকে “ঈদল আজহা” উৎসব উপলক্ষে ছুটি দেওয়া হয় শুধু এই আশঙ্কায়-পাছে তাহারা নিজেদের মুসলমান ভাই বলিয়া বন্দীগণের উপর দয়া বা সহানুভূতি প্ৰকাশ করে। মুছলমানशिंक गब्रॉरेत्र ब्रिा छांशंद्र *ब्रिएलै-निर्थ ठेगछ् यांनांन হয়। " কোপার। কিন্তু এদিকে এক অপূৰ্ব কোরবানির ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। তাহান্নাহরকুম মতে প্ৰত্যেক দশজন মুছলমান S LLLSLLLSAMLMLMLLeSLLLLLLLL LLLLLLLLMLMLMLMLMLMLMLeSLMLMLeLLL LLLSAALALALMLALSLMLMLeLMLSLALALSLALLMLL LMLLSLLMLLLLLLLLSLLLLLLLL LLLLLLLLMLMLL LMAAMMLMLMLMMMLMLLLLL LLLTLLLLLLL LLLLLLLLMLMLLLLLL LL LLLLLL [ $म दर्द, e ग९थाँ বন্দীকে বাধিয়া বাহির করতঃ তাহাদিগকে গুলিবৃ দ্বারা হত্যা করা হইতে লাগিল। এইরূপে নিহতের সংখ্যা ২৫৭ জন হইয়া গেলে জানা গেল যে, কয়েদীগণ আর ঘরের বাহির হইতে চাহিতেছে না। অতঃপর অনুসন্ধানার্থে কয়েদ খানার ফটক খুলিয়া দেখা গেল, “অন্ধকূপ হত্যার দৃশ্য সন্মুখে বিদ্যমান। ভয়ে ও গরমে নিশ্বাস বন্ধ হওয়ায় ৪৫ জন বন্দী মরিয়া গিয়াছে। থানার নিকটে একটী কূপ ছিল, তাহাতেই সমস্ত লাশ নিক্ষেপ করতঃ মাটী দিয়া ঢাকিয়া দেওয়া হয়। বলা বাহুল্য যে, পাঞ্জাবের চিফ কমিশনার মিঃ লরেন্স ও তৎপরবর্তী লেফটেনাণ্ট গভর্ণর মিঃ মণ্ট্যাগুমারী কোপারের এই নৃশংস অত্যাচারের বিশেষ প্ৰশংসা করিয়া তাহাকে পত্ৰ লিখিয়াছিলেন । মণ্টগুমরী খৃষ্ট ধৰ্ম্মের একজন বিশিষ্ট উৎসাহী প্রচারক ছিলেন। খৃষ্টান ধৰ্ম্মের বিনয়, ধৈৰ্য্য ও ক্ষমা গুণের খ্যাতিকে তিনি জোর গলায় প্রচার করিতেন ; কিন্তু তিনিও কোপা= রের এই নৃশংসতার প্রশংসা করিতে বিরত হন নাই। অতঃপর তিনি হাডসনকেও এক পত্র লিখেন। এই হাডসনই মরহুম বাহাদুর শাহের পুত্ৰগণকে অতিশয় নিৰ্ম্মম ভাবে হত্যা করে। সকল ইংরাজ ঐতিহাসিকই তাহার কাণ্যের নিন্দা করিলেও মণ্টগুমারী তাহাকে পত্রে লিখেন :-~~“তুমি যে শাহকে বন্দী ও তাহার পুত্ৰগণকে হত্যা করিয়াছ, সে জন্য আমার ধন্যবাদ জানিবা । আশা করি, এইরূপে তুমি অন্যান্য শাহজাদাগণকেও হত্যা করিতে সমর্থ হইবে। একজনোৱািৰ পৰিবৰ্ত্তে ৫০০ জন একজন আহত সৈনিক বধ্যভূমিতে যাইতে অসমৰ্থ হওয়ায় তাহাকে সরকারী সাক্ষী করিয়া লাওয়া হইল। অতঃপর মণ্টগুমরী কোপারকে লেখেন যে, উক্ত বন্দী এবং ২৬ নং পল্টনের ফেরারী সৈণিকগণকে বন্দী করিয়া লাহোরে আমার কাছে পাঠাইবা । তুমি যথেষ্ট হত্যা করিয়াছ, এখন আমার সৈন্যগণের জন্য কিছু লোক আবশ্যক। এই আদেশ মতে উক্ত আহত বন্দীকে অন্য ৪১ জন বন্দীসহ লাহোরে লইয়া গিয়া বিনা কৈফিয়তে হত্যা করা হয়। কোপার নিজেই স্বীকার করিয়াছে যে, কম্যাণ্ডিং অফিসারকে হত্যা করার * দুই দিনের মধ্যে ১জনের বদলে ৫০০ জন ভারতবাসীকে इश्ला कब्जा इऐन्चाष्ट्रिव्ण । , . . .