পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بورانکا AAur.Mr...rur v A as ". ভাবে, হঠাৎ যথাসৰ্ব্বস্বহার দাসানুল্লদাসের অবস্থায় উপনীত হইয়া, মুছলমান সমাজ একেবারে কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়িয়াছিল। একদিকে অদর অতীতের জালাময়ী স্মৃতি এবং সেই স্মৃতিজনিত অভিমান, অন্যদিকে সদ্যবিজিত জাতির প্ৰতি স্বাক্টাবিক বিদ্বেষ। এ সকল অবস্থা মুছলমান সমাজে ইংরাজি শিক্ষার প্রসার লাভের অন্তকুল ছিলনা, বরং প্ৰতিকুলই ছিল। রাজ্য বিপৰ্য্যায়ের ফলে সমাজের উৰ্দ্ধতন স্তরের কত হাজার হাজার মুছলমানকে-তাহাদিগের আশ্রিত ও প্ৰতিপাল্য কত অসংখ্যা নরনারীকে এই সময় এক মূহুর্তে একেবারে পথের ফকির বলিয়া বসিতে হইয়াছিল, এই প্রসঙ্গে তাহাও স্মরণ রাখিতে হইবে। পক্ষান্তরে দেশের হিন্দু সমাজ বিদেশী ও বিজাতীয় শাসক জাতির পদাবনত হইতে বিশেষরূপে আভ্যন্ত হইয়াছিল। দেশে রাজ্যবিপ্লব র্তাহারাই ডাকিয়া আনিলেন, তাতার ফলভোগের জন্য সঙ্গে সঙ্গে তঁাহারা প্ৰস্থতও হইতে পারিলেন। এ বিপৰ্য্যয়ে তাহাদিগের ক্ষতি ত কিছুই হইল না, বরং ইংরাজের গভীর শাসন-নীতির কল্যাণে অনেক সুবিধা সুযোগ তাহাদিগের সন্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। রাজ্যবিপ্লবের কঠোর আঘাত কথঞ্চিৎ রূপে সম্বরণ করার পর মুছলমান সমাজ যখন একটু একটু করিয়া সামলাইবার চেষ্টা করিতেছিল, ইংরাজ তখন একেবারে এক আঘাত দিয়া, বিপন্ন হৃতসর্দস্ব ও ইতিকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় মুছলমানের রুগ্ন ও দুৰ্বল মেরুদণ্ডকে চূৰ্ণবিচূর্ণ করিয়া দিতে লাগিলেন। এই আঘাত আসিল--"আয়না, লাখেরাজ, পীরোদস্তুর ইত্যাদি নিষ্কর সম্পত্তিগুলি বাজেয়াপ্ত করার আইনের মধ্য দিয়া, পাঞ্জাব ও বাঙ্গুলায় “কঁঠালের আমসত্ত’ জাতীয় “মাদ্ৰাছা শিক্ষা-প্ৰণালী” পরিচালনের গভীর কুটিল রাজনীতিক চালের মধ্য দিয়া, সিপাহিবিদ্রোহের পর মুছলমানের উপর অনুষ্ঠিত অমানুষিক অত্যাচারের মধ্য দিয়া । হিন্দুকে সকলো প্ৰকার সাহায্য দিয়া বাড়াইয়া তোলা আর সঙ্গে সঙ্গে সদ্যবিজিত মুছলমানকে একেবারে চূৰ্ণবিচূর্ণ করিয়া ফেলা।--তখন নবাগত বিজেতাদিগের সাধারণ শাসন-নীতিতে পরিণত হইয়া ছিল । এ সম্বন্ধে সরকারী কাগজ পত্র এবং ইংরাজ লেখকগণের স্বীকারোক্তি হইতেও অনেক দলিল প্ৰমাণ উদ্ধত করা যাইতে পারে। আর প্রকৃতপক্ষে ভারতের অধঃপতিত মুছলমান সমাজই তাহার জলন্ত ও জীবন্ত ইতিহাস। 6 [ ১ম বর্ষ, ৩য় st বড়ই দুঃখের বিষয় যে, সমাজের চিন্তাশীল ব্যক্তিরাও এসম্বন্ধে অসতর্কত প্ৰকাশে কুষ্ঠিত হন না। আমাদিগের মতে ভিত্তিহীন ও প্ৰমাণশূন্য কথা বলা, সকল অবস্থায়— এমনকি মৌলবীদিগের বিরুদ্ধে হইলেও--অন্যায়। মুছলমান সমাজের বিশেষতঃ মোছলেম-বঙ্গের গত দুই শতাব্দীর ইতিহাস, কত জ্বালাময় রহস্য, কুটিল রাজনীতির মৰ্ম্মবিদারক অত্যাচার, অদৃষ্টের কত নিৰ্ম্মম পরিহাস এবং কত লোমহর্ষণ বিভীষিকার গভীর বেদনান্মুতি বক্ষে ধারণ করিয়া, সাধারণ লোক-চক্ষের অগোচরে অন্ধকারে লুকাইয়া আছে--- একবার তাহার অনুসন্ধান লইয়া দেখ। তাহা হইলে মুছলমানের এই দুরবস্থার প্রকৃত কাৰ্য্যকারঃ-পরম্পরা তোমার সন্মুখে সুস্পষ্টভাবে দেদীপ্যমান হইয়া উঠিবে। মোহমুগ্ধ আত্মবিস্মৃত মুছলমানের চক্ষুদানে বোধ হয় আজও ইহা একটু উপকারে লাগিতে পারে। ...mage=........................” 44ਬ s? হিন্দু মুছলমান সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য দেশের রাজনীতিক নেতারা অনেক চেষ্টা করিতেছেন। এবারকার কংগ্রেসে এ-সম্বন্ধে একটা পাকাপাকি ব্যবস্থা করা হইবে বলিয়া শোনা যাইতেছে। সকল শ্রেণীর দেশনায়কগণ একত্র হইয়া একটা কাঠাম বা কালবৃদ্ধ তৈরী করার জন্য ও চেষ্টা করিতেছেন। এ-চেষ্টা সফল হইলে সেই কাঠাম পালামেণ্টের সিংহদ্বারের সম্মুখে স্থাপন করা হইবে— DDD KKgDBBD DDS BBDBD BBBD BBDBuBDBD S0 DDSS তন্ত্রের আশ্ৰয় লওয়া হইবে। এজন্য পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য পৰ্য্যন্ত সাম্প্রদায়িক বিবাদ-বিসম্বাদ মিটাইয়া ফেলার জন্য ব্যাপ্ততা প্ৰকাশ করিতেছেন। খুব ভাল কথা, এই মত পরিবর্তনের জন্য আমরা তঁহাকে অন্তরের সহিত সাধুবাদ করিতেছি। আমরা আল্লাহ তা'আলার মঙ্গলময়ত্বে বিশ্বাস করি এবং সেই হিসাবে বিশিষ্ট বন্ধুবান্ধবগণের নিকট বরাবরই বলিয়া আসিয়াছি যে, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ-সংঘাতের এই অকল্যাণ রাশির মধ্যেও সেই মঙ্গলময়ের মঙ্গল ইঙ্গিত প্ৰচ্ছন্নভাবে কাজ করিতেছে। আমরা এখন তাহার স্বরূপটাকে গ্ৰহণ করিতে না পারিলেও, যথাসময়ে, তাহা