পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSRO LLLLLL LLLL LLLLLLLLMALLLLLSLLLLLLLL LLLL LLLLLLLLSLLLLLAALLLLLLL SLLLLLLSLS LLLL0 S সময়ে বোস্ত ও গোলেস্তার আরও বহু অনুবাদ প্ৰচারিত হইয়াছে, তন্মধ্যে শিক্ষা বিভাগীয় ইনস্পেক্টর মিঃ জন প্লেটের গোলেস্তার অনুবাদ, ক্যাপ্টেন ক্লার্কের ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দের অনুবাদ ও মেজর ম্যাকনিন কৃত IF wers from the Bostan নামক বোস্তার অনুবাদ বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য। তকী ও আরবী ভাষায় গ্রন্থাকারে ও সংবাদ পত্রের পৃষ্ঠায় গেলেস্তিার আরও অনেকগুলি অনুবাদ বাহির হইয়াছে। সম্প্রতি কিছুদিন পূর্বে মিসরের জিবৱীল নামক একজন বিশিষ্ট আলেম আরবী ভাষায় গোলেস্তর একটিী সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর অনুবাদ প্ৰকাশ করিয়াছেন। তাহতে পদ্যের “অনুবাদ পদ্যে ও গদ্যের অনুবাদ গদ্যে লিখিত হইয়াছে। ভারতের বিভিন্ন ভাষায় গোলেস্তার অনুবাদ প্ৰকাশিত হইয়াছে, লিড ওয়েলেসলীর শাসনকালে বিখ্যাত লেখক মির শের আলী ও তৎপরবর্তী আরও অনেকে উর্দু ভাষায় গুজরাটের জনৈক পণ্ডিত গুজরাটী ভাষায়, উত্তর পশ্চিমাঞ্চলবাসী একজন লেখক ‘পুষ্প বাটীকা’’ নাম দিয়া এবং দিল্লীর সুবিখ্যাত পণ্ডিত মোহর চাদ দাস আগরওয়াল ১৮৮৮ খ্ৰীষ্টাব্দে পুষ্পবন নাম দিয়া ‘ব্ৰজ ভাষায়' গোলেস্তার অনুবাদ প্ৰকাশ করিয়াছেন । Literary History of Persia's Car Mr. E. G. Browne লিখিয়াছেন- “সকল ভাষায় সাহিত্যের গঠন প্ৰথমতঃ কবিতা হইতেই আরম্ভ হয় ; কিন্তু তাহার বুঝি, স্থিতি ও প্ৰকৃত উন্নতি গদ্যের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করিয়া থাকে, কবিতা ভাষার সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি করে। কিন্তু গদ্য তাহাকে বঁাচাইয়া রাখে।” কবিতা রচনায় প্ৰসিদ্ধি লাভ কবির পক্ষে যেরূপ কষ্টকর, গদ্য লেখকেরও সাহিত্যের বাজারে নাম জাহির’ করা তদপেক্ষা অধিক কষ্টকর। বিশেষতঃ গদ্য ও পদ্য উভয় রচনায় সমভাবে সিদ্ধিলাভ প্ৰায় কাহারও ভাগ্যে vsöki ècoù il •iositsy Coooo Sir. Onsley \9 এ কথা স্বীকার করিয়াছেন। মহাকবি সা’দী উভয়বিধ রচনায় সমান প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন। ‘গোলেস্ত” গ্ৰন্থখানি সাহিত্য-জগতে প্ৰতিযোগিতার আসরে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া বিজয়ী বেশে অন্য প্ৰতিদ্বন্দ্বীর অপেক্ষা করিতেছে ; কিন্তু অসংখ্য সাহিত্য-রর্থীদের মধ্যে এপৰ্য্যন্ত তাহার সম্মুখে অগ্রসর হইবার সাহল কাহারও हद्देशां ऊँोर्ट नाई। আমাসিক মোহাম্মদী AS AH ASA SAA S 0L S AA S LS A AAA AALLLLALALLLLLTLMLLLLSL LLLLL LL LSLLLLL LSAALALLLL LLL LLL LLL LLL LLL LLLLLL LALALALLEL0L LLLLLLLALLLkLL LLLLLL AA [ sas, se re qSLLL LLLL LLLLLLLALALLAeLS ELLSLLLLLLSS LLLLLSLLLTLSLLSLLLeTLLLLSLLLLLLLL LLLLLLLAALL বিখ্যাত লেখক কাজী হামিদুদ্দীন রচিত মাকামাৎ হামিদী কাবুল এবনে সেকেন্দার প্রণীত কাবুল নামা ও শীরাজের অধিবাসী প্ৰতিষ্ঠাবান লেখক কাজী ফজলুল হক লিখিত “তারিখে ওসশাফ" ও অন্যান্য বহু লেখকের গদ্যে রচিত অসংখ্য গ্রন্থাবলী পারস্য সাহিত্যে দেখিতে পাওয়া যায়, ঐ সকল গ্ৰন্থকারদের মধ্যে পাণ্ডিত্যের হিসাবে ২১ জনের আসন শেখ সা’দীর উপরে, কিন্তু তঁহাদের রচিত, গ্ৰন্থ সমূহে ভাবের লালিত্য অপেক্ষা ভাষার আড়ম্বরই অধিক। সেই সকল গ্রন্থে ভাষার সুদৃঢ় প্রাচীর ভেদ করিয়া ভাবরাজ্যে প্ৰবেশ লাভ অনেক পণ্ডিতের ভাগ্যেও ঘটিয়া উঠে না ! এমন কি বহুশাস্ত্ৰে জ্ঞান লাভ ও পদে পদে অভিধান ও টীকা টিপ্পানীর সাহায্য গ্ৰহণ না করিয়া এক পদও অগ্রসর হইবার উপায় নাই। সা’দীর মৃত্যুর বহুদিন পর মৌলানা আবদুর রহমান জামী, মাজদুদ্দীন খাওয়াফী ও ‘হাবীব কায়ানী” এই তিন জন নামজাদা লেখক স্ব স্ব রচিত ‘বাহারাস্তান” ( উদ্যান ), খারাস্তান (কণ্টকারণ্য) ও পেরেশান ( বিশৃঙ্খল রচনাবলী ) হস্তে গোলেস্তার প্রতিযোগিতা ক্ষেত্রে অগ্রসর হইয়াছিলেন, কিন্তু তাহদের চেষ্টা সম্পূর্ণ নিস্ফল হইয়াছে, সাহিত্যিকবৃন্দ একবাক্যে তাহা স্বীকার করিয়াছেন। ‘পেরেশান” রচয়িত মহাত্মা ‘কায়ানী’ লিখিয়াছেন—“গোলেস্তা পূর্ণ শশধর এবং পেরেশান খদ্যোতিকা, এরূপ অবস্থায় প্ৰতিযোগিতা ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়া বাতুলতা মাত্র ; কিন্তু একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর অনুরোধে পড়িয়া বিশেষতঃ সা’দীর ন্যায় মহাপুরুষের পদাঙ্কানুসরণের লোভ সম্বরণ করিতে না পারিয়া এই পথে অগ্রসর হইয়াছিলাম। কবিবার আলী হাজীন প্ৰতিযোগিতা ক্ষেত্রে অগ্রসর হইয়া খারাবাৎ’ নাম দিয়া বোস্তার অনুকরণে পদ্যে একখানি ২০২২ পৃষ্ঠার ক্ষুদ্র পুস্তিকা লিখিয়াছেন। তিনি তাহার অবতরণিকায় আত্মপ্ৰশংসা করিতে ও কবিবর “রুদাকী, নেজামী, ফেরদৌসী ও সা’দীকে খাট করিবার উদ্দেশ্যে ২৪ টা কথা বলিতে কুষ্ঠিত হন নাই। সাহিত্যিক সম্প্রদায় এ সম্বন্ধে বহু আলোচনা করিয়া লিখিয়াছেন-খারাবাতের রচয়িত প্ৰকৃতই বামন হইয়া চাদ ধরিতে চেষ্টা পাইয়াছেন। অনুকরণের প্রসাধনে বাহুত ‘খরাবাৎ’ ও গোলেন্ত দুইটী জমজ ভ্রাতার ন্যায়