পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ, ১৩৩৪ সাল ] s" over sor Q---o-e"We var v LSLCLL0 LLLLLL LLLS S LLLLL LLLSLA AA LALLALLL0SLLLLL LL LMT S ASASALLLLLLLE LLLLLE LLLLLLLA Le LAL LLLLSESLLEL LeA AM LLALLLL LLL LLLLLLLLS LL LLLLLLLLS LL SLLLLLLSLL LLL LL দেখিলে গোলেন্ত সজীব ও খারাবাৎ প্ৰাণহীন মূৰ্ত্তি, ইহা বেশ বুঝিতে পারা যায়। পূর্বেই উক্ত হইয়াছে কবি রচিত গ্ৰন্থসমূহের মধ্যে ‘গোলেস্তা” সাহিত্য-আসরে বিশেষ প্ৰতিপত্তি লাভ করিায়াছে, পারস্য সাহিত্যে আর কোন গ্ৰন্থ এরূপ প্ৰসিদ্ধি লাভ করিতে পারে নাই ; এক্ষণে কথা হইতেছে এই “গোলেন্ত ।” গ্ৰন্থখানি কবির বহু দিনের বহু পরিশ্রমের ফল। অথবা সামান্য আয়াসে অল্পদিনে রচিত হইয়াছে, এই কথা লইয়া ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিভিন্ন মত দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা প্ৰথমোক্ত মতেরই পক্ষপাতী ; কারণ ইতিহাস জগৎ অনুসন্ধান করিলে প্ৰায় দেখিতে পাওয়া যায় যে, গ্ৰন্থ রচনা করিতে লেখক যত পরিশ্রম স্বীকার করিয়াছেন, সেই গ্ৰন্থ সাধারণ্যে ততই প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। বোস্তার অনুবাদক মিঃ ক্লার্ক এই মতেরই সমর্থন করিয়া দৃষ্টান্ত স্বরূপ ইটালীর প্রসিদ্ধ লেখক 'এপ্রিসটো” এবং বিখ্যাত ইংরাজ লেখক লডর্ণ ম্যাকলের নাম উল্লেখ করিয়াছেন। ম্যাকলের একখানি প্ৰসিদ্ধ গ্রন্থের “খসড়া’ লণ্ডন মিউজীয়মে রক্ষিত হইয়াছে, সেটাতে দেখিতে পাওয়া যায়, তিনি এক একটা জায়গা কতবার লিখিয়াছেন, কতবার কাটিয়াছেন, আবার লিখিয়াছেন। বিশেষতঃ যে স্থানটীতে তিনি যত অধিক কাটছাট করিয়া অধিক কষ্ট স্বীকার করিয়াছেন, গ্রন্থের মধ্যে সেই স্থানটাই তাত অধিক প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। এ সম্বন্ধে গোলেস্তার উপক্ৰমণিকায় কবি নিজেই লিখিয়াছেন برخی ازعمرگرانمایه برر خرج کردیم অর্থাৎ আমার জীবনের এক মূল্যবান অংশ এই কাৰ্য্যে ব্যয় করিয়াছি, কিন্তু আর একস্থানে বলিয়াছেন فى الجملة هذارز از گادستان یقینے مما ند قبریں کہ کتاب گلستان تمام شں ۔ অর্থাৎ বসন্ত সমাগমে লিখিতে আরম্ভ করিয়া বসন্ত ঋতু শেষ হইবার পূর্বেই গোলেন্ত গ্ৰন্থ শেষ হইয়াছে। কবির উভয় উক্তির সামঞ্জস্য রক্ষা করিতে হইলে এইরূপ বুঝিতে হয় যে, গোলেস্তার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন সময়ে রচনা করিতে তঁহার জীবনের এক মূল্যবান অংশ ব্যয়িত হইয়াছে ; ? সৌসাদৃশ্যপূর্ণ যুগল মূৰ্ত্তি বলিয়া মনে হয়। কিন্তু ভাল করিয়া S.S.S কিন্তু সাহিত্যক্ষেত্রে উপস্থিত করিবার মত গ্রন্থাকারে সাজাইতে বেশীদিন লাগে নাই। কবি রচিত ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপপূৰ্ণ কবিতা সমূহের আলোচনা করিয়া অনেকে তঁাহর ন্যায় সত্যতা, শ্লীলতা ও সুরুচি সম্পন্ন মহাত্মার পক্ষে এরূপ কুরুচিপূৰ্ণ কবিতা রচনা আশ্চর্য্যের বিষয় বলিয়া মনে করিয়াছেন। কবি নিজেই এ সম্বন্ধে কৈফিয়ৎ দিয়াছেন। তিনি লিখিয়াছেন-প্ৰথম যৌবনে জনৈক রাজপুত্রের অনুরোধে পড়িয়া অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাকে এ সকল কবিতা লিখিতে হইয়াছিল। তঁহার কথা না শুনিলে বিপদে পড়িতে হইত ; তাই অগত্যা আমি এই কুকাৰ্য্য করিয়াছি। আল্লাহ পরম দয়ালু, আমি তাহার দরবারে এই পাপের জন্য ক্ষমা ভিক্ষা করিতেছি। কবি বহুদেশ ভ্ৰমণ করিয়া, বহু মহা পুরুষের সংসৰ্গ লাভ করিয়া এবং সাংসারিক বহু সুখ দুঃখের ও বিপদ সম্পদের সম্মুখীন হইয়া যেরূপ শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন কেবল পুথিগত বিদ্যায়। কখনই তাহ সম্ভবপর ছিল না । সুবিখ্যাত পাশ্চাত্য লেখক নিঃ মিলার লিখিয়াছেন“মানুষ বহুদৰ্শিতার শিক্ষাগার হইতেই প্ৰকৃত শিক্ষা লাভ করে। এই শিক্ষাগারে দুঃখ ও বিপদ নামক দুইজন সুবিজ্ঞ শিক্ষক অধ্যাপনা করিয়া থাকেন।” ১৭৫৬ খৃষ্টাব্দের জুন সংখ্যার ‘কলিকাতা রিভিউ” পত্রিকায় একজন পাশ্চাত্য লেখক মহাকবি সা’দী ও হাফেজ সম্বন্ধে এইরূপ একটী গল্প লিখিয়াছেন-সা’দী, হাফেজের পিতৃব্য হইতেন, একদিন হাফেজ সাব্দীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিলেন, কিছুক্ষণ কথাবাৰ্ত্তার পর সাদী কাৰ্য্যান্তরে স্থানান্তরে চলিয়া গেলেন। হাফেজ কিছুক্ষণ বসিয়া রহিলেন, এই সময় সা’দী রচিত এক চরণ কবিতার প্রতি র্তাহার দৃষ্টি আকৃষ্ট হইল, তিনি তখনই সাব্দীর প্রতি পরিহাস সুচক আর এক চরণ কবিতা লিখিয়া প্ৰথম চরণের সহিত যোগ করিয়া দিলেন। কিছুক্ষণ পর সা’দী ফিরিয়া আসিয়া হাফেজের কীৰ্ত্তি দেখিলেন এবং তখনই হাফেজকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। হাফেজ আসিলে তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট হইয়া অভিসম্পাৎ প্ৰদান পূর্বক বলিলেন-তোমার রচিত কবিতা জগতে প্ৰসিদ্ধি লাভ করিবে, কিন্তু তাহা হইতে পাঠকদের মনে কেবল বৈরাগ্যের উদয় ভিন্ন অন্য কোন ভাবের সঞ্চার হইবে না। বলা বাহুল্য এই গল্পটীর মূলে আদৌ কোন সত্য নাই,