পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

~हन्ड्-ड्>>> [। মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বি, এ, বিটী ] simí€>«Spe>rumo মূরজাহানের নাম ভারত ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। জগতের প্রতিভাশালিনী ও অসাধারণ শক্তি সম্পন্ন রমণীগণের মধ্যে নূরজাহানের স্থান অতি উচ্চে। নূরজাহানের পিতামহ খাজা মোহাম্মদ শরিফ পারস্যরাজের উজির ছিলেন। সম্বম ও প্ৰতিপত্তিতে তিনি পারস্যের একজন বিশেষ গণ্যমান্য লোক ছিলেন। তঁহার প্রাসাদোপম বাড়ীতে ভোগ বিলাসের কোন দ্রব্যেরই অভাব ছিল না। অগাধ সম্পত্তি ও লোকসমাজে অতুল প্ৰতিপত্তি সহ তিনি তঁহার সারা জীবন অতি সুখে অতিবাহিত করেন। তঁহার দিন ফুরাইয়া গেলে, তিনি নশ্বরধাম ছাড়িয়া এক অবিনশ্বর পরলোকে চলিয়া গেলেন। খাজা মোহাম্মদ শরিফ দুই পুত্র রাখিয়া যান। আকা মোহাম্মদ তাহের ও মিরজা মোহাম্মদ গিয়াস। মিরজা মোহাম্মদ গিয়াসই আলোকসামান্যারূপসী ভুবন বিখ্যাত সম্রাজী, অতুল প্রতিভাশালিনী নূরজাহানের পিতা। উত্তরাধিকারী সূত্রে তিনি পিতার অগাধ ঐশ্বৰ্য্য ও রাজ দরবারে প্রতিপত্তির পরিবৰ্ত্তে শক্ৰকুলের হিংসা প্ৰাপ্ত হন। তাই নিষ্কণ্টকে তিনি পৈত্রিক বিষয় বহুদিন ভোগ করিতে পারিলেন না। রাজদরবারে নিরাজা গিয়াসের বহু শত্ৰু ছিল। তাহারা প্ৰতিনিয়ত পারস্যরাজকে তঁহার বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিতেছিল। তাহারা পারস্য শাহের নিকট মিরজা গিয়াসের দোষ অতিরঞ্জিত করিয়া বৰ্ণনা করিত, প্তাহার সদভিপ্ৰায়ে কৃত কাৰ্য্যসমূহ অসদুদ্দেশ্যে করা হইয়াছে বলিয়া শাহকে বুঝাইয়া দিত। মিজ গিয়াস শাহের বিরাগভাজন হইয়াছিলেন বলিয়া তঁহার কোন কথাই শাহ বিশ্বাস করিতেন না। পরন্তু বিপক্ষদলের নিজলা মিথ্যা অকাট্য সত্য বলিয়া ধারণা BDBS KDSEEDB SDDDDBD DDBD DDDDBD না পারিয়া মিজ গিয়াসকে রাজ্যের অমঙ্গলাকাজকী বলিয়া মনে করিতেন। একদিন শত্রুদল শাহকে বুঝাইয়া দিল যে মিজ গিয়াস যতদিন পারস্যে আছেন, ততদিন শাহের তখত নিরাপদ নহে। মিজ গিয়াস বিদ্রোহের ষড়যন্ত্র করিতেছেন। শাহ ইহা বিশ্বাস করিলেন। তিনি কৰ্ম্মচারীদিগকে হুকুম দিলেন মিজ গিয়াসের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াফত করিতে আর তঁহাকে অনতিবিলম্বে দেশ হইতে তাড়াইয়া দিতে । দেখিতে দেখিতে শাহের কৰ্ম্মচারিগণ আসিয়া উপস্থিত হইল। সংবাদ শুনিয়া মিজ গিয়াসের মাথায় যেন আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল । রাজকৰ্ম্মচারিগণ র্তাহার আসবাবপত্ৰ দখল করিয়া লইতে লাগিল, তাহাকে তঁহার আসন্নপ্রসবা পত্নীসহ গৃহ হইতে বাহির করিয়া দিল । কি করিবেন ? কোথায় যাইবেন ? পারস্যে তঁহার মাথা রাখিবার স্থান কোথায় ? অর্থ নাই নিঃসম্বল । ঐশ্বৰ্য্যের ক্ৰোড়ে প্ৰতিপালিত মিজ গিয়াস দেখিলেন। তিনি নিঃসহায় পথের কাঙ্গাল । ভারত তখন ঐশ্বৰ্য্যের জন্য বিখ্যাত। তখনকার দিনে পারস্য, তাতার প্রভৃতি বিভিন্ন প্ৰদেশ হইতে দুস্থ অভাবগ্ৰস্ত ব্যক্তিগণ ভাগ্য পরীক্ষার নিমিত্ত ভারতবর্ষে আসিয়া বেশ দু’পয়সা উপাৰ্জন করিত, সুখে দিনপাত করিতে সমর্থ হইত। মিজ গিয়াস যখন তঁহার আসন্নাপ্রসবা পত্নী ও অপরিণত বয়স্ক শিশু সন্তান লইয়া পথে দাড়াইয়াছেন, তখন ভারতের ঐশ্বৰ্য্যকাহিনী তাহার হৃদয়ে আশার আলোক জালাইয়া দিল। তিনি ভারতে যাওয়াই ঠিক করিলেন। একটী উষ্ট্রে তিনি স্বয়ং ; তাহার পত্নী এসমতুন্নেছা বেগম ও তিনটী অপরিণত বয়স্ক বালক কোন প্রকারে উঠিয়া বসিলেন। সঙ্গে লইলেন মাত্র দুইদিনের খাদ্য। কি আমূল পরিবর্তন ! তাহদের ধন, মান, ঐশ্বৰ্য্য মুহূৰ্ত্তে কোথায় বিলীন ?