পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve"So অভিবাদন করে দরজার পাশে বসে পড়ে, বলল,-“বাৰু! কি গাইব ?” “যা হয়। গাও একটা।” সে গেয়ে গেল। একের পর আর করে” ক্ৰমান্বয়ে কয়েকটা গান-যেন শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যথার ইতিহাস। বালিশ হ’তে মাথা তুলে বললুম,-“অনেক দেরী হয়ে গেল।” একটা সিকি তার হাতে তুলে দিলুম। তার সঙ্গী লোকটা বিলম্বের জন্য বড় অধীর হয়ে তাড়াতাড়ি সিড়ি বেয়ে নেমে গেল। সে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল, আমার মুখের উপর করুণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। প্রশ্ন করুল। “কালকে আসব বাবু” না-বলতে পারলুম। না। বললুম “এসো।” সে সিড়ি পৰ্য্যন্ত যেতেই ডেকে জিজ্ঞাসা কবুলুম “কি নাম তোমার ?” উত্তর-হ’ল লছমী, তারপর সে আস্তে আস্তে সিড়ি বেয়ে নীচে নেমে গেল। ( N ) ‘লছমী’ রোজ আসে। কোন দিন তার সঙ্গে আসে পূর্বের সেই কালো জোয়ানট; আবার কোন কোন দিন একটা আট দশ বছরের ছোকরা । ছোকরাটাও বেশ সুন্দর বাজায়। এখন আর সব দিন তাকে পয়সা দিতে হয়না । যেদিন তার সঙ্গে জোয়ান লোকটি আসে, সেদিন সে পয়সার জন্যে পেয়ালাটি বাড়িয়ে ধরে। আর যেদিন ছোকরাটী আসে, সেদিন পয়সা দিলেও যাবার সময় হাত বাড়িয়ে বালিশের কোনে রেখে যায়। জিজ্ঞাসা কল্পে বলে,-“রোজ পয়সা কিসের বাবু!” সেদিন তার সাথে এসেছিল, সেই ছোট ছোকরাটী। গান-গাওয়া শেষ হ’লে লছমী পেয়ালা হ’তে একটা পয়সা নিয়ে ছোকরাটীর হাতে দিয়ে বল্লে,-“এক পয়সার পান নিয়ে আয়ত দাদু !” ছোকরা পান। কিনতে নীচে চলে গেল। লছমী তার বড় বড় চোখ দুটি বিস্ফোরিত করে” করুণ স্বরে বলল,-“বাবু! তুমি আমায় এ নরক হতে উদ্ধার কৰ্ত্তে পারনা ? এদের সাথে দেশ দেশান্তরে ঘুরতে যে আর ভাল লাগেনা !” বেকার বাঙালী যুবক আমি, নিজের উদরান্নেরই সংস্থান কৰ্ত্তে পারিনা, তার উপর একটা নারীর ভার নেব কেমন । করে ? একটু ভেবে নিয়ে বল্লাম “লছমী ; আমার চাকরী বাকী নেই। নিজের ভারই বহন কৰ্ত্তে পাৰ্ছিন, তার উপর তোমার ভার বহন করব কেমন করে ?” LMLALALLLL LLL LLL LLL LLLLLLLLeLALAqALALLSALLSLLLLSLLALLLL LLL LLL SL LLLLLLLLMLAMMLMLLLLLL LLLLLL My YMWW A Y rurarawwn [ »ष वे, *च गेषi · সে চুপ করে আমার কাপুরুষোচিত কথাগুলি শুনে গেল, কিচ্ছ, বল্পে না। তার চােখ দুটি কেবল সজল হ’য়ে উঠল। ছোকরা পান নিয়ে ফিরে এলে সে উঠে দাঁড়াল। কিছু DD DB DLD BD BDDB BDBD DBBD DBDBDB BDBD S সেদিনকার মত বিদায় নিল। বালিশের মধ্যে মাথা গুজে আমি ভাবতে লাগলুম-নিজের অক্ষমতার কথা। যে পুরুষ একটা আশ্রয়-ভিখারিণী নারীর বোঝা বইতে অক্ষম, মনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে একটা উদ্দাম বিদ্রোহ জেগে উঠল, বিছানায় পড়ে নিস্ফল ক্ৰোধে এপােশ ওপাশ কৰ্ত্তে লাগলুম। পরদিন সকাল ৭টায় ঘুম হ’তে উঠে গোছল করে।” চা খাচ্ছি মাত্ৰ। লছমী, তার সঙ্গী সেই কালো লোকটি ও ছোকরাটীকে নিয়ে উপস্থিত হল। লছমী দরজায় দাড়িয়ে আমায় অভিবাদন করে” করুণ স্বরে ডাকল “বাবু!”। আর কিছু সে বলতে পারলানা-নীরবে দাড়িয়ে রইল। মুখ তুলে লছমীর পানে চাইলুম-নিজের অক্ষমতার লজ্জা চেপে রেখে বল্লম-“কি বলছি, লছমী !” “আমরা আজই এ শহর ছেড়ে চলে’ যাচ্ছি। বাবু!— আর আসবনা এ দেশে”-সে। আর কিছু বলতে পারলনা, সজোরে নিজের বুক চেপে দরজার পাশে ধাপ করে’ বসে পড়ল। তার সঙ্গের লোকটি তার এই বিহবল ভাব দেখে নিকটে এসে কাঠখোট্টা গলায় বলল, লছমী উঠ জলদিলছমী যেন ভয় খেয়ে উঠে দাড়াল। তার পর মাথা নত করে” আমায় অভিবাদন জানিয়ে বলল—“যাই বাবু! আর আসিব না।”-সে। সিড়ি বেয়ে নীচে নেমে গেল। আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে নিজের কাপুরুষতার কথা ভাবতে লাগলুম। লছমী চলে গেছে আজ দু’মাস। কাপুরুষ আমিএখনও শহরের পাথরের পথের উপর অবিরত ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিন্তু কোনও চাকুরীর ব্যবস্থা হয়নি। ভরাদুপুরে পথে ঘুরতে ঘুরতে যখন পরিশ্রান্ত হ’য়ে পথিপার্থে কোন বাড়ীর রোয়াকে বসে’ একটু জিরুবার চেষ্টা করি, চোখের সামনে ভেসে উঠে লছমীর বিদায়-বেলার সেই করুণ চাহনি। বুক ফেটে কান্না আসতে চায়-দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করে’ বলি, হায় অভিশপ্ত বেকার বাঙালী