পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৫৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5S তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? তাহা ছাড়া, মহাবীর খালেদ, মুছা, তারেক, মোহাম্মদ বিন কাসেম, সুলতান মাহমুদ, আহমদ শাহ আবদালী প্ৰভৃতি বীরগণের বিজয়-কাহিনী বঙ্গ-বিজয়ের ব্যাপারকে নিতান্তই সহজ করিয়া তুলে না। কি ? যাহারা ভীরু, কাপুরুষ, যুদ্ধক্ষেত্রে যাহাঁদের বীরত্ব প্ৰদৰ্শন করিরার কোন সুযোগই জীবনে জুটে নাই, তাহদের নিকটই ইহা অবিশ্বাস্য বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে, কিন্তু বীরজাতি মুসলমানের নিকট ইহা আদৌ অস্বাভাবিক নহে। এ ঘটনাকে অস্বীকার বা অবিশ্বাস করার মধ্যে চরম ভীরুতা ও কাপুরুষতাই উকি মারিতেছে। উপরে যে সমস্ত যুদ্ধের বিবরণ দেওয়া হইল, তাহদের সবগুলিই গুরুতর ও ভাগানিয়ামক। এতদ্ব্যতীত ছোট খাটো কত যে যুদ্ধ-বিগ্ৰহ সংঘটিত হইয়াছে, তাহার ত DDDD DDD S sB BBD BBDB BB DD DBBB ". . "*va arby_powa "AA-Marilo ka dika.rrs en Ao a. 3 9, riff SS LAL LSLMLL S LSLLLSLSLLLL LLLLL S LAL TSALASS AAALSALSLSLS SLS SLSLSLS AAALS AAALSLS LSS S LLLLL *** AAM NA U r বীর-মনোভাবের ও আত্ম-নির্ভরতার পরিচয় প্ৰদান করিয়াছেন, তাহাও নিতান্ত বিস্ময়ের বিষয় এবং তাহাও মুসলমান জাতির পক্ষে এক পরম গৌরব। এইখানেই মুসলিম জাতির শৌৰ্য-বীৰ্য্যের মূল উৎসের সন্ধান পাওয়া যায়। সে সমস্ত কাহিনী পড়িতে বসিলে এ কথা জোর করিয়াই মনের উপর দাগ কাটিয়া বসে যে, সংকল্প দৃঢ় হইলে এবং এক প্ৰাণ, একলক্ষ্য হইয়া কাৰ্য্যে অবতীর্ণ হইলে উদ্দেশ্যের সফলতা অবশ্যম্ভাবী। বৰ্ত্তমান জগতে মহাবীর কামাল পাশা, গাজী আমাহুল্লাহ, রেজা খা, আবদুল করিম প্রভৃতি ক্ষণজন্ম বীরপুরুষগণ এই কথারই সত্যতা প্ৰমাণ করিতেছেন। জগতে টিকিয়া থাকিবার মত শক্তি ও তেজ যে ইসলামের কতখানি, তাহাও এই সব বীর-কেশরীদিগের ভিতর দিয়া প্ৰতিপন্ন হইয়া যাইতেছে। আত্ম-বিস্মৃত মুসলমান জাতি! উপরোক্ত “পচ” অতীBSu uDDD DOD DuDuuuBD LDLLK KD BBD মধ্যেই যে মুসলমানদিগের জাতীয় গৌরব নিহিত রহিয়াছে, তাহা নহে; প্রত্যেক যুদ্ধক্ষেত্রেই মুসলমানগণ যে অপূৰ্ব্ব মত তোমার কি কিছুই নাই ? আত্মোপলব্ধিই আজিকার দিনে তোমার চরম সাধনা হউক। (১) SSS LMSMS SMS Sqqq qSSSL SLSLSLSLSLSLS S SLLLLSS S SLLLLSLSSLSSSLSSSMS MSMMSLLL ( ১ ) আজ কাল যেমন ঘরে বাহিরে মুছলমানের কাণে অবিরত কলমা দেওয়া হইতেছে যে, সে নগণ্য জঘন্য অকশৰ্ম্মণ্য একটা অতি দুঃস্থ ও দুর্বল জীব মাত্র, কোনও বড় কাজ, বড় ভাব ও বড় সাধনার শক্তি বা অধিকার তাহার নাই, দুনিয়ার এই জীবন সংগ্রামের কোনও দিকে কাহারও সহিত মোকাবিলা বা প্ৰতিযোগিতা করার সামর্থ্য হইতে সে চিরবঞ্চিত-সুতরাং সংসারের কোনও কৰ্ম্মক্ষেত্রে কোন প্রকারে আত্ম প্ৰতিষ্ঠা করা মুছলমানের পক্ষে যুগপৎভাবে অন্যায় ও অসম্ভব। মুছলমানের জীবন বেদের সমস্ত রহস্য লুকাইয়া আছে পরনির্ভরশীলতার এই জোলমাতের মধ্যে। এই অবিরাম শিক্ষার ফলে কোনও প্রকার সাধারণ প্ৰতিযোগীতার নাম শুনিলে বাঙ্গলার মুছলমান আজ যেন মুসড়িয়া মুৰ্ছিয়া মুরবিয়া পড়িতে থাকে। কিন্তু লেখক যে কালের মুছলমান সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন তখনকার শিক্ষা ও পারিপার্থিকতা ছিল অন্যরূপ। তখন মুছলমান বুঝিত—আমি অস্ত্ৰ শস্ত্র, উপলক্ষ মাত্র। জয় পরাজয়ের মূল মালিক যিনি, তিনি আমার সঙ্গে আছেন। আমি নিজের কৰ্ত্তব্য পালন করিয়াই খালাস, সফলতা বিফলতার কৈফিয়তের জন্য আমি দায়ী নাহি। পক্ষান্তরে মোছলেম। অন্তরের অন্তস্তলে তখন কোরআনের এই শিক্ষাটা অতি গম্ভীর অতি ব্যাপক ও অতি স্থায়ীভাবে বদ্ধমূল হইয়া ছিল যে -বিশ জন ধৈৰ্য্যশীল মোছলেম দুই শত বৈরীর উপর বিজয় লাভে সমর্থ-এক শত সত্যকারী মুছলমান এক হাজার বৈরীকে পরাজিত করিতে সমর্থ।--যাহারা নিতান্ত নিয়া শ্রেণীর দুর্বলচেতা মুছলমান, তাহারাও একশত দুইশতের মুকাবিলা করিতে এবং তাহদের উপর জয়লাভ করিতে নিশ্চয়ই সক্ষম হইবে। ( কোরআন, আনফাল) তখন মুখের ন্যায় মেছলমানের বুকে বুকেও ঝঙ্কত হইত :- کم مرن فئة قليلة غلبته فستة كثيرة بسانك الله -ر الله مع الصابريرك - কত নগণ্য সংখ্যক দল আল্লার হুকুমে কত কত বিরাট বাহিনীকে বধ্যস্ত করিয়া দিয়াছে- আল্লাহ ত ধৈৰ্য্যশীলাদিগের সঙ্গেই আছেন। (বাকিরা)। ফলে একটা সত্যকে কেন্দ্ৰ করিয়া তাহারা জীবিত ছিলেন এবং নিজেও তাহারা যথাযথভাবে সেই সত্যেকে স্বীকার ও বিশ্বাস করিতেন। ফলে বিশ্বাসের দুর্জয় শক্তিই ছিল তঁহাদের প্রধান সম্বল। আর এখন সেই ঈমানের ও আত্মবিশ্বাসের একান্ত অভাব ঘটাতে বাঙ্গলায় শতকরা ৫৫ জন হইয়াও, নিকৃষ্ট ও অক্ষম কীট পতঙ্গের মত মুহূৰ্ত্ত অপরের দ্বারা কবলিত হওয়ার আশঙ্কায় প্রতি মুহূৰ্ত্তই আমরা যেন আতঙ্কে শিহরিয়া উঠিতে থাকি। जन्eादक ।