পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৫৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਕ [ শাহাদাৎ হোসেন ।] ( পূৰ্ব্বানুবৃত্তি ) 4. স্তন্ধ জ্যোৎস্নময়ী রাত্রি। এলাহাবাদ শহর হইতে তিনি ধীরে ধীরে অভীষ্ট-সিদ্ধির পথে অগ্রসর কিছুদূরে গঙ্গাকূলে একটী ক্ষুদ্র মাটীর স্তুপের উপর বসিয়া হইতেছিলেন। খলিল একাকী । সতীশ বাবুর ( ট্ৰোণে-পরিচিত ভদ্রলোকের) সহিত এখানে আসিয়া আজি দুই মাস কাল খলিল তাহার আশ্রমে বাস করিতেছে। আশ্রমের যাবতীয় কাজ কৰ্ম্মের ভার gDED DBBYB BDDD BB YBDBD SDDBDBDB SS SDSDD অলসভাবে বসিয়া থাকিলে দুশ্চিন্তা আসিয়া মানুষের দেহ ও মনকে অকৰ্ম্মণ্য করিয়া তুলে। খলিলের মনের অবস্থা যেরূপ, তাহাতে তাহাকে নিষ্কৰ্ম্ম বসিয়া থাকিতে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত নহে, এই ভাবিয়া সতীশ বাবু এই দীর্ঘ দুই মাসের মধ্যে তাহাকে আদৌ অবসর গ্ৰহণ করিবার সুযোগ দেন নাই। রাত্ৰিতে আহারাদির পর সকাল পৰ্য্যন্ত নিদ্ৰায় বিশ্ৰাম লাভের জন্য যে সময়টুকু অবসর না দিলে স্বাস্থ্যভঙ্গ । হইবার আশঙ্কা আছে, কেবল সেই সময়টুকুই তিনি খলিলের অবসর কালরূপে নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন। নইলে প্ৰভাত হইতে এক প্রহর রাত্রির মধ্যে অবসর গ্রহণের আর কোন সুযোগই সে এ-পৰ্য্যন্ত পাইয়া উঠে নাই। খলিলের মাথার উপর গুরু দায়িত্বের বোঝা চাপাইয়া, সৰ্ব্ব সময়ে কাজে ব্যাপৃত রাখিয়া তাহার উদাসীন মনকে পুনরায় কৰ্ম্মের পথে ফিরাইয়া আনিবেন, ইহাই ছিল সতীশ বাবুর আন্তরিক অভিপ্ৰায় এবং এই জন্যই তিনি খলিলের নিমিত্ত এই আপাতকঠোর ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। তিনি খলিলকে ভালরূপেই বুঝিয়াছিলেন, তাহাকে গড়িয়া তুলিতে পারিলে ভবিষ্যতে সে যে একটা মানুষের মত মানুষ হইয়া উঠিবে, সে সম্বন্ধে তিনি এক প্ৰকার নিঃসন্দেহ হইয়াছিলেন, তাই আশ্রমের সমস্ত কর্তৃত্ব তাহার উপর অৰ্পণ করিয়া, অন্নে অল্পে তাহার অন্তরে কৰ্ম্মের প্রেরণা জাগাইয়া 79ܡD সতীশ বাবুর এই মনোভাব খলিল সম্যকরূপেই বুঝিতে পারিয়াছিল, তাই তঁহার ব্যবস্থা তাহার পক্ষে কঠোর এবং দুঃসহ হইলেও সে কোন উচ্চবাচ্য করে নাই। সে । বুঝিয়াছিল এবং মনে মনে দৃঢ় বিশ্বাসও করিয়াছিল যে, সতীশ বাবু তাহার পরম হিতৈষী, তিনি যাহা করিতেছেন বা ভবিষ্যতে যাহা করিবেন, তাহা তাহারই মঙ্গলের জন্য, র্তাহার নিজের স্বার্থ তাহার মধ্যে এতটুকুও নাই। এই | বিশ্বাস ও ধারণার বশবৰ্ত্তী হইয়াই সে নির্কিবচারে তঁহার নির্দেশ অনুসারে কাজ করিয়া যাইত। কোন দিন মুহূৰ্ত্তেয় TTu BBD D DBBBB BBH DBBDD DD S SDSDD নিজেকে কৰ্ম্মের মধ্যে ডুবাইয়া রাখিয়া সংযম ও সাধনার সাহায্যে সে চিত্ত-শুদ্ধির প্রয়াস পাইতেছিল। কিন্তু পাইলে কি হইবে ? স্মৃতি ত মুছিবার নয়। সুযোগ পাইলেই সে যে বুকের ভিতর লক্ষ শিখায় জলিয়া উঠে। মুহুর্তের দহনে তাহার সমস্ত কৰ্ত্তব্য, সাধনা ও সংযমকে পুড়াইয়া ভস্ম করিয়া দিতে চায়, তাহার অস্তিত্বকে বিলীন করিয়া দিবার উপক্রম করে। তখন নিজেকে রক্ষা করিবার আর কোন উপায়ই সে খুজিয়া বাহির করিতে পারে না। সে মরিয়া হইয়া প্ৰাণপণে বুকখানি চাপিয়া ধরে, কিন্তু সব বৃথা । সে আগুণ তােদমিবার নয়-নিভিবার নয়। 锋 鲁 癖 蜂 আজ আবার আগুণ জলিয়াউঠিয়াছে। তাই ঘরের মধ্যে বিছানার উপর চক্ষু বুজিয়া পড়িয়া থাকিতে না পারিয়া এই গভীর রাত্ৰিতে সে জাহ্নবীর ফুলে, স্তৰ নিয়াবিল জ্যোৎস্নার শীতল বর্ষণের মধ্যে চুটিয়া আসিয়াছে। যদি এতটুকু শান্তিও পায়।