পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩৩৫ সাল ] aaa. AurunA স্বীয় তফসীরে কোরআন শরীফের কেচ্ছ সমূহ এবং অন্যান্য এ মাস্টন ফখরুদ্দিন জনাজী 3d6 SLM LLLMLe LMLMLLLLLL LLLLLLLALMLMLS SqqSLLqLLeqMqeSq SALLSL LqMTqMLMLMLeLLMLSLLMLMLMLMLL LTMLLLLLL LLLSLLLeLLLLL LL LLLLLLL MMLLeLLLLL LLLLLL eMLL LLL LLLS LLLLLSLqL LALL LL AMAAA AALLLL LLL LLqLMMLM MALAL ALLLLL AALL LLL LMLLSLLML MeLeLeeLeLA مهم (ক) হজরত ইউসুফের পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার নিমিত্ত জটিল আয়তের বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা দ্বারা সারা মুসলিম সমাজের ভক্তির পাত্ৰ হইয়া গিয়াছেন। কোরআনের অনেক স্থলে বনি-এস্রাইল বংশীয় নবীগণেরও পূর্ববৰ্ত্তী উন্মতদের সম্বন্ধে অনেক গল্প বৰ্ণিত আছে। সেই সমস্ত গল্পে কতিপয় তফছিরে অনেক অসত্য ও অযৌক্তিক সংস্কারের প্রশ্ৰয় দেওয়া হইয়াছিল। বস্তুতঃ এই সমস্ত অতি রঞ্জিত কেচ্ছা কাহিনী এতই হৃদয়গ্রাহী ছিল যে নামজাদা বক্তাগণ তাহাদ্বারা লোকের বাহবা অৰ্জন করিবার ও নিজের বাহাদুরি প্রকাশের মহাসুযোগ পাইত। পক্ষান্তরে চিন্তাশীল বিধৰ্ম্মীগণ ঐ সমস্ত অযৌক্তিক কাহিনী দ্বারা মুসলমান ধৰ্ম্মের ও কোরআনের দোষ প্ৰমাণের সুযোগ করিয়া লইত । এই সম্বন্ধে দুই চারিটি উদাহরণ আশা করি, সহৃদয় পাঠক বন্ধুদের খেদমতে অপ্রাসঙ্গিক বোধ হইবে না। সেকালের সব চেয়ে প্ৰসিদ্ধ তফসীর প্রণেতা “আবু জাফর মোহাম্মদ এব নে হারীর’ পৰ্য্যন্ত এহেন চিরাচরিত ভ্ৰান্তি হইতে মুক্তি পান নাই। হাবেল সহরের ‘জোহরা’ নামী বারাঙ্গনা এসমে আজমের শক্তিতে আকাশে যাইয়া যে ‘জোহরা সেতারার’ রূপ ধরিয়া রহিয়াছে ; এই প্ৰকার অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন কাহিনীও তাহার তফসীরে স্থান পাইয়াছে। আবার পূর্ববৰ্ত্তী অনেক তফসীরে নিম্নলিখিত কতকগুলি ভ্ৰান্ত কাহিনী বিদ্যমান ছিল; যাহাতে পূত চরিত্র নারীদের উপর ও দোষারোপ করা হইয়াছে ; যেমন :- (১) বহু শাস্ত্ৰ বিশারদ মহামনীষী এমাম ফখরুদিন রাজীর অগাধ পাণ্ডিত্য, অসাধারণ প্ৰতিভা এবং অদ্ভুত বিচারশক্তির তুলনা খুজিয়া পাওয়া বাস্তবিকই দুষ্কর। ধৰ্ম্মের ও জ্ঞানের দিকদিয়া এছলামের ও মুছলমানের যে খেদমত এমাম ছাহেব করিয়া গিয়াছেন, মুছলমান সমাজ তাহা কখনই বিস্মৃত হইতে পরিবে না। কিন্তু ন্যায়ের খাতিরে প্রত্যেক সুন্ম সমালোচককে স্বীকার করিতে হইবে যে, তাহার এই সকল বিচার বিতর্ক এবং আলোচনা গবেষণার মধ্যে অনেক গলৎ ও দোষ দুর্বলতা রহিয়া fff |

  • विड श्७झों ।

(খ ) হজরত আইউবের উপর সয়ন্তান ক্ষমতাবান DDDS gBD S DDDD SYuDS DBBuBuBB S SL L S BDB পরিজনকে ধবংস করা । (গ) হজরত আদমের সায়তানের পরামর্শানুসারে স্বীয় পুত্রের নাম আবদুল হারেস রাখা। আবদুল হারেস অর্থ সয়ন্তানের দাস । ( ঘ ) হজরত ইব্রাহিম জীবনে তিনবার মিথ্যা কথা বলা ৷ ইত্যাদি । এমাম রাজী যুক্তি তর্কের সাহায্যে এই সমস্ত ভ্ৰান্তিমূলক কাহিনীকে মিথ্যা প্ৰমাণ করিয়া ; অসীম হৃদয়বলের, স্বাধীন ও অনন্য সাধারণ মনীষার পরিচয় দিয়াছেন। গতানুগতিক অন্ধবিশ্বাসের মূলাচ্ছেদন পূর্বক সৰ্ব্বত্র যুক্তিবাদের আলোকস্তম্ভ স্থাপন করিয়াছেন। বস্তুতঃ পূৰ্বপন্থীদের মতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্ৰকাশ করা তাহার মোটেই অভিপ্রেত ছিল না ; বরং তঁহাদের মতকে বারবার আঘাত করিয়া, যুক্তি তর্কের মাপ কাঠিতে তোেল করিয়া তাহা হইতে সত্যের পত্তন করাই তঁহার জীবনের সারা সাধনা ও শ্রেষ্ঠ আকাজক্ষা ছিল। ইহার নিমিত্ত বার বার সমালোচনার তীব্র আঘাতে র্তাহার দেহকে ক্ষত বিক্ষত করিয়াছে ; কিন্তু তিনি ছিলেন নিজ সঙ্কল্পে অচল, নিজ সিদ্ধান্তে অটল ; আপন কৰ্ম্মপদ্ধতিতে দৃঢ়বিশ্বাসী স্বীয় সাফল্যে প্ৰবল আস্থাবান। (১) sepassas, K -- m r a আমাদের মতে এমাম ছাহেবের বিচার বিতর্কের বিশেষতঃ র্তাহার বিরাট তফছিরের প্রধান ক্ৰটি এই যে, কোরআনের অভীষ্ট স্বৰ্গীয় অনুপ্রেরণার কোনও ঝঙ্কার তাহার মধ্যে খুজিয়া পাওয়া যায় না। সুন্ম জটিল দার্শনিক যুক্তি-জ্ঞানের দীর্ঘপরম্পরা প্রতিপক্ষের মতবাদ খণ্ডনের জন্য নৈয়ায়িক কুটবিতণ্ডার এবং অন্যান্য দিক দিয়া বহু উপাদেয় ও মূল্যবান তথ্য সেখানে পাওয়া যায় বটে-কিন্তু সাধকের আত্মার খোরাক যাহা, এমাম ছাহেবের তফছিয়ে তাহার সন্ধান খুব কমই পাওয়া যায়। এমাম আৰু মোছলেম এস্পোহানীর জানালোকের