পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হোরার যুদ্ধ ও মদিন ধ্বংস ( মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বি, এ, বি, টী) plane ep-- এক দিবস হজরত মোহাম্মদ ( দ: ) মদিনা শরিফ হইতে সৈন্যসহ তিন মাইল দূরবত্তী হোরা নামক প্ৰান্তরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি চলিতে চলিতে হঠাৎ প্ৰান্তরের মধ্যস্থলে বসিয়া পড়িলেন। ইহা দেখিয়া সাহাবাগণ বিস্ময় বিমুগ্ধ এবং অজ্ঞাত আশঙ্কায় শুন্তিত হইলেন। তঁহারা নবীয়ে আকিরামের সন্নিধানে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, তঁহার দুনিয়ন দিয়া অশ্রুধারা প্ৰবাহিত হইতেছে। ভীত হইয়া তাহারা তাহাকে এই আকস্মিক শোকের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। হজরত রছিলে করিম উত্তর দিলেন “এই স্থান আমি আমার শত শত প্ৰিয় সাহাবাগণের রক্তে রঞ্জিত দেখিতেছি । আমার সাহাবাগণ ধৰ্ম্মের শত্রু ও মোসলেম জাতির শত্রু নিচয়ের সহিত যুদ্ধ করিতে করিতে এই প্ৰান্তরে সকলেই এক সময় সহিদ হইবেন । তাই আমি এই স্থান সাহাবা রক্তে কর্দমাক্ত দেখিতেছি । তাহাদিগের শোণিত স্রোতের উপর দিয়া আমার চরণ চলিতে চাহিতেছে না।” হজরত নীরব হইলেন। হোরার যুদ্ধ কারবালার যুদ্ধ অপেক্ষা শোচনীয়। কারবালায় এমন হোসায়েন সত্যের নিমিত্ত বীরত্ব সহকারে প্ৰতিপক্ষ সৈন্যদিগের সঠিত যুদ্ধ করিয়া সহিদ হইয়াছিলেন, সৈন্যদিগের মধ্যে হজরত মোহাম্মদ ( দ: ) এর অমৃতময়ী বাণী শ্রবণকারী সাহাবা কেহ ছিলেন না বলিলেই হয়। কিন্তু হোরার যুদ্ধে মোসলেম সাম্রাজ্যের প্রাচীন রাজধানী মদিনার যাবতীয় সাহাবা, তবেইন, তাবে-তাবেইন সকলেই DDD DDKD BDDBB BBBBB Dg DDBDD BB BD ভীষণ ক্ষতি ও অনিষ্ট সাধিত হইয়াছিল। সে ক্ষতি পরে কিছুতেই পূরণ করা যায় নাই, সে অনিষ্টের তুলনা নাই। কারবালায় এমাম হোসায়েন ও তঁহার সঙ্গীগণকে পানীয় অভাবে ভীষণ কষ্টে ফেলিয়া অমানুষিক বর্বরতার সহিত সহীদ করিয়া এজিদ যে কলঙ্ক অর্জন করিয়াছিল, হোরার যুদ্ধের নৃশংস অত্যাচার ও অমানুষিক বর্বরতার বিষয় চিন্তা করিলে হোরার যুদ্ধই এজিদের পক্ষে তদপেক্ষা অধিক কলঙ্কজনক বলিয়া প্ৰতীয়মান হয়, সে বর্বরতা, নৃশংসতা, অত্যাচার কাহিনী ও হত্যাকাণ্ডের বিবরণ সম্যকরূপে লেখনী প্ৰকাশ করিতে অক্ষম । পাপাসক্ত এজিদ এমাম হোসায়েনের শাহাদতের পর বিপদের গুরুত্ব অনুভব করিয়া এমাম হোসায়েনকে সহিদ করিবার দায়িত্ব অস্বীকার করতঃ হত্যাকারীকে শান্তি বিধা ৷ নের চেষ্টা করিয়াছিল এবং এমামের পুরমহিলাবৃন্দকে সসন্মানে মদিনায় ফিরিয়া যাইবার সুবন্দোবস্তু করিয়া দিয়াছিল । * এমামের পুরমহিলাবৃন্দের মদিনায় প্ৰত্যাবৰ্ত্তনের পর মদিনাবাসিগণ এজিদের উপর যৎপরোনাস্তি ক্ষুব্ধ হন, তার পর তাহারা এজিদের দুষ্কৰ্ম্ম-কাহিনী শুনিয়া তাহাকে খলিফা বলিয়া অস্বীকার করিয়াছিল। কিন্তু বিজ্ঞ ও দূরদর্শী সাহাবাগণ তাহাকে খলিফা বলিয়া অস্বীকার করিবার পূর্বে আবদুল্লা বিন-খানজালা, আবদুল্লা বিন-আবি-উমর ও জুঘায়ের-তনয় মাখজুমী ও মনজুরী প্ৰভৃতি মদিনার শরিফদিগকে এজিদের চরিত্র অনুসন্ধানের নিমিত্তে দামেঙ্গে পঠাইয়া দেন । এজিদ তাহাদিগকে সাদরে গ্রহণ করিয়াছিল । তাহারা কিছুদিন দামেস্কে অবস্থানপূর্বক এজিদের ঘৃণিত কাৰ্য্যাবলি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া মদিনায় ফিরিয়া আসেন। তঁহারা দামেস্ক হইতে চলিয়া আসিবার পূর্বে সুচতুর এজিদ খানজালা-তনয় আবদুল্লাকে এক লক্ষ দেরোম পুরস্কার দিয়া সম্মানসূচক খেল আতি প্ৰদান করিয়াছিল। তঁহার দলের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেককে দশ সহস্ৰ দিনার উপহার দিয়া বিদায় দিয়াছিল। STSTLSSSLSS TSeSLSS SMS MSML LSL LLLLL S LLLLSLLLLLSLLL 7 Rsf si tra