পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩৩৫ সাল ] অন্য পরে কা কথা। বাঙ্গলা বর্ণমালার এই অসম্পূর্ণতার জন্য কি আমরা চিরকাল আমাদের জাতীয় ভাষাকে বিকৃত করে রাখবো, না বর্ণমালার সংস্কার করে আমাদের Culture এর অভাব পূরণ করবো আর একটি মাত্র সমস্যার উল্লেখ এখানে করবো । পূর্বে লিখিতভাষার আকার প্রকার কথ্যভাষার আকার প্ৰকার থেকে ভিন্ন ছিল। আমার গুরু স্থানীয় বন্ধু শ্ৰীযুক্ত প্ৰথম চৌধুরী প্ৰমুখ সাহিত্যিকদের প্রচেষ্টায় সে বৈষম্য দূরীভূত হতে চলেছে। এই নূতন দলের সাহিত্যিকেরা পশ্চিম বঙ্গের কথ্যভাষাতেই সাহিত্য রচনা করতে আরম্ভ BBSuDDYS SDDS DBD SBBBDDD LDBDDB BBDDB BBD চলতে উপদেশ দিচ্ছেন। প্ৰাচীন পন্থী সাহিত্যিকেরা কিন্তু এই নূতন পথের অনুসরণ করাকে বাঙ্গলা সাহিত্যের পক্ষে মঙ্গলজনক বলে মনে করেন না । তারা বলেন লিখিত এবং কথ্য ভাষার মধ্যে যে স্বাতন্ত্র আবহমান কাল থেকে চলে আসছে; সেটা কায়েম রাখা, সাহিত্যের মঙ্গলের জন্য বিশেষ দরকারী। লিখিত ভাষাকে সাহিত্যের আসর থেকে তাড়াবার কোন অধিকার কথ্য ভাষার নাই। আর, তা ছাড়া, পশ্চিম বঙ্গের কথ্য ভাষার এমন কোন বিশেষত্ব নাই, যার জন্য তাকে বাঙ্গলার অন্যান্য অংশের কথ্য ভাষার উপর 62) CS CRCN, CS সমস্যাগুলির তো একে একে তাজকের করা গেল । এখন তসফিয়ার বিষয় কিছু বললেই আমার কথা শেষ হয়। প্ৰথম সমস্যা হচ্ছে বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমান সমাজে ব্যবহৃত আরবী, ফার্সি এবং উর্দ, শব্দের প্রয়োগ নিয়ে। এ বিষয় সেকেলে ধরণের মুসলমান লেখকদের চেয়ে হিন্দু লেখকদের মধ্যে বেশী উদারতা দেখতে পাই। আজকাল অনেক প্ৰতিষ্ঠাবান হিন্দু সাহিত্যিকই তাদের লেখায় প্রচুর পরিমাণে মুসলমানি শব্দের আমদানি করতে আরম্ভ করেছেন। পক্ষান্তরে আমাদের সমাজে এক দল শুদ্ধতা ব্যাধিগ্রস্ত লেখক দেখা দিয়েছেন যাহারা সংস্কৃতমূলক শব্দ ছাড়া অন্য কোন রকম শব্দ বাঙ্গলা ভাষায় আমদানি করতে একেবারেই নারাজ ! তাদের এই মানসিকতা যে নিতান্তই হাস্যাম্পদ, সে বিষয় কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। 'হিন্দুর ব্যবহৃত সংস্কৃত মূলক শব্দ যদি আমাদের সাহিত্যে অবাধে চলতে পারে, তাহলে আমাদের ব্যবহৃত আরবী-ফার্সি-মূলক বাঙ্গালী মুসলমানের সাহিত্যসমস্যা 88C qLALSLSLMeL LL LLLLLLL ELLLL SLLLLL LSLLLLLLMLMLL LSLLLLLL rMrMMMMMM শব্দ যে কেন চলবে না, তার কোন যুক্তি যুক্ত কারণ " আমি তো খুজে পাই না। মুসলমানদের নিত্য ব্যবহৃত DD DBBBBD DBBD DBD DBBBD DB DD Y বায় না। ভাবের প্রকাশই যদি সাহিত্যের চরম লক্ষ্য হয়, তাহলে মুসলমানের ভাব প্ৰকাশের জন্য তার স্বাভাবিক । ভাষা সাহিত্যে যতটা আনতে পারা যায়, সাহিত্যের এবং ভাষার পক্ষে ততই মঙ্গল। " বৈজ্ঞানিক পরিভাষার সমস্যাটী বড়ই জটিল। একথা সত্য যে প্ৰত্যেক জাতি তার Culture এর ভাষা থেকেই তার বৈজ্ঞানিক পরিভাষা আহরণ করেছে। ইংরাজ, ফ্রেঞ্চ, ইটালিয়ান প্রভৃতি জাতিরা ল্যাটিন এবং গ্ৰীক থেকে তাদের বৈজ্ঞানিক পরিভাষার আমদানি করেছে। তুর্কি, ইরাণী, হিন্দুস্থানী প্ৰভৃতি মুসলমান জাতিরা আরবী থেকে তাদের বৈজ্ঞানিক পরিভাষার আমদানী করেছে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষা ভাষী হিন্দুরা সংস্কৃত সাহিত্যের ভাণ্ডার থেকে তাদের পরিভাষার আমদানি করেছে। এ হিসাবে বাঙ্গালী মুসলমানকেও হিন্দুস্থানী মুসলমানদের মত আরবী থেকে তাদের পরিভাষার আমদানী করা উচিত। আমাদের পুথি সাহিত্য যদি ক্রমোন্নতি লাভ করে আধুনিক যুগের উপযোগী সাহিত্যে পরিণত হতে পারতো তা হলে যে তাই ঘটতো সে কথা নিঃসঙ্কোচে বলা যেতে পারে। বাঙ্গালী মুসলমানের শৈথিল্য বশত: কিন্তু তা হয়নি। পুথি সাহিত্যকে আল্লার হাতে ছেড়ে আমরা এক নূতন দুনিয়ায় এসে পড়েছি। এখন আবার পুথি সাহিত্যের জগতে ফিরে যাওয়া কতটা সম্ভবপর এবং বাঞ্ছনীয় সেইটাই হচ্চে ভাববার f; মজিদ সাহেবের মতের অনুসরণ করে যদি এখন আমরা পুথি সাহিত্যের পথে ফিরি তা হলে অদূর ভবিষ্যতে হিন্দুর বাঙ্গলা সাহিত্য থেকে মুসলমানের বাঙ্গলা সাহিত্য সম্পূর্ণ ভিন্ন মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করবে। হিন্দুর সাহিত্য তখন মুসলমানের छ्एदींश्J श्८व्र अॅप्व ५दर भूलाभांनव्र गांशिछ श्मृिद्ध ७ দুৰ্বোধ্য হয়ে উঠবে। মুসলমানের মন হিন্দুর কাছে রুদ্ধ হয়ে যাবে, আর হিন্দুর মন মুসলমানের কাছে রুদ্ধ হয়ে যাবে। আমাদের উভয় জাতির স্বার্থ যখন এক, আর আমাদের পরস্পরের মিলন এবং সহানুভূতির উপর আমাদের ভবিষ্যত যখন একাগ্রভাবে নির্ভর করে, তখন সেই