পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবার বঙ্গীয় মুছলমান সাহিত্য সম্মেলনের অধিবেশন বশীরহাটে অধিষ্ঠিত হইয়াছিল। জনাব মওলানা মুনীরজমান। এছলামাবাদী ছাহেব সভাপতির আসন গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। তঁহার অভিভাষণ ও সভায় পঠিত অন্যান্য প্ৰবন্ধ সম্বন্ধে আগামী মাসে আলোচনা করার ইচ্ছা রহিল। অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি বশীরহাটের কৃতী সন্তান জনাব মৌলবী ছৈয়দ মোকাররম আলী ছাহেব তাহার অভিভাষণে মোছলেম-বশীরহাটের ইতিহাস সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, নিয়ে তাহা উদ্ধৃত করিয়া দিতেছি :- বাঙ্গালায় পাঠান রাজত্বের অবসানের পূর্ব হইতেই এখানে মুসলমানগণ বসতি স্থাপন করেন। আপনাদের সন্মুখে ঐ প্রাচীন মসজিদই তাহার চির সাক্ষী। কত যুগ চলিয়া গিয়াছে, কাল-চক্ৰ ক্ষুদ্র পল্লীর বুকের উপর দিয়া বিঘুর্ণিত হইয়া কত চিহ্নই না। রাখিয়া গিয়াছে; কিন্তু ঐ বিরাট সৌধ অটল হিমাদ্রির মত আজও অক্ষত দেহে দাড়াইয়া আছে। এই মসজিদ অবলম্বন করিয়া পল্পীবাসিগণের কত কৰ্ম্ম কেন্দ্ৰই না গঠিত হইয়াছে। আরবী ও ফাসী ভাষার উপর যখন ভারতীয় মুছলমানগণের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও নৈতিক সাহিত্য নির্ভর করিত, এক কথায় যখন এই দুই ভাষা ব্যতীত ভারতীয় মুছলমানের ভাবের আদান প্ৰদান সম্ভবপর ছিল না, তখন এখানকার মুসলমান সমাজে এমন কয়েকজন মনীবীর DBBDD DDBBBDSDDBBDB DDBD LEDLDB gBB BK বঙ্গদেশে সুপরিচিত আছে। পরলোকগত প্ৰাতঃস্মরণীয় cोगौ ब्रश्या आंौन् ७ ८ोणौ cांगांभ वर्थश् गांदृश्व -r ز I MÍMISSÖÖR Z ANHIASANÉ A a مهم সারা জীবনের অক্লান্ত সাধনায় বাঙ্গালার তৎকালীন “উলামা’বর্গের ভক্তি ও শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিয়াছিলেন, তাহাদের চিন্তার ধারা এখন পৰ্য্যন্ত বাঙ্গালার শেষ রাজধানী মুর্শিদাবাদের আধ্যাত্মিক চর্চার মধ্য দিয়া ফন্ত নদীর মত প্ৰবাহিত হইতেছে। মৌলবী ফরাগিৎ আলি সাহেব তদানীন্তন হুগলী भांजांगांब्र छांव भ७ौब्र भाषा cय डांय ७ caब्रभाब्र ग्रड করিয়াছিলেন, তাহা বহুকাল পৰ্য্যন্ত বাঙ্গালায় মুসলমান সমাজের মধ্যে ক্রিয়াবান ছিল। মৌলবী গোলাম এহিয়া ও মৌলবী রহমতল হক সাহেব আরবী ও ফাসী ভাষার অনুশীলনে জীবন উৎসর্গ করিয়াছিলেন। শেষোক্ত মহাপুরুষের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ মৌলবী সেরাজিল হক সাহেবের ফাসী কবিতাবলী সুধীবৃন্দের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিয়াছে। বাহুল্যের ভয়ে অতীত কালের আরও অনেক কৃতবিদ্যের নাম উল্লেখ করা গেল না। এ হইল, সে যুগের কথা, যে যুগে বাঙ্গালার মুসলমান সাহিত্য কুঞ্জ হইতে “বুলবুল নিৰ্বাসিত হয় নাই এবং সাহিত্যিকগণের অঙ্গ হইতে “আমামা’ ও ‘চোগা” স্বশ্বলিত হয় নাই। সে যুগে এই পল্লীকে ইরাণের একটা অনুকরণ বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না। ইহার পর এই ক্ষুত্র পল্লীর ইতিহাসে যে যুগের সূচনা হইল, তাহার সহিত বর্তমান যুগের অতি নিকট সম্বন্ধ। এই যুগ-সন্ধ্যায় আরবী ও ফাসী ভাষার গতি সৰ্ব্বপ্ৰথম বাধা প্ৰাপ্ত হইল। ইংরাজী ভাষা রাজকীয় ভাষা স্বরূপে সমগ্ৰ জাতির নিকট এক অপরিহাৰ্য্য অবলম্বন বলিয়া পরিগণিত হইল। অভাব অভিযোগের প্রসারিতার সঙ্গে সঙ্গে