পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাত্তিক, ১৩৩৪ সাল ] AA7o Wago *Má/o*VoVv Way" vs r v তাহারা পথের ফকির হইতে দেখিয়াছে। ফলে কথিত অবস্থায় একাধিক স্ত্রী গ্ৰহণ না করিয়া তাহদের ব্যভিচারে লিপ্ত হইয়া যাওয়ার কোনই কারণ নাই। যে এছলাম অবস্থা বিশেষে পুরুষকে একাধিক স্ত্রী গ্ৰহণের অনুমতি দিয়াছে, স্ত্রীর প্ৰতি পুরুষের অপরিহার্য্য কৰ্ত্তব্য এবং সেই কৰ্ত্তব্য ত্যাগের কুফলের কথাও সেই এছলাম যুগপৎভাবে মুছলমানকে বিশেষ তাকিদের সহিত বুঝাইয়া দিয়াছে। সঙ্গে সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের আদর্শ ও পারিবারিক জীবনের অশান্তি ইত্যাদির কথাও মুছলমানের অবিদিত নহে। এই সকল কারণে তাহারা সাধারণতঃ একাধিক স্ত্রী গ্ৰহণের সমর্থন করে না। মজার কথা দেখুন, একাধিক বিবাহের অনুমতি আছে -এই খিয়ালের ঔপন্যাসিক মনস্তত্তের নৈয়ায়িক বিশ্লেষণের দার্শনিক সিদ্ধান্তের আধ্যাত্মিক প্রভাব ফলে, দুনিয়ার চল্লিশ কোটি মুছলমান একেবারে সংযমহীন চরিত্রহীন ও ব্যভিচারপরায়ণ হইয়া পড়িতে পারিল,-কিন্তু চরিত্রের পবিত্রত রক্ষা সম্বন্ধে এছলাম দুনিয়ায় যে স্পষ্ট শিক্ষার প্রচার ও মহৎ আদর্শ প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছে, ব্যভিচারের সর্বধ্বংসী মহাপাতক এবং তাহার দণ্ড ও পরিণাম সম্বন্ধে এছলাম যে উপদেশ ও ব্যবস্থা প্ৰদান করিয়াছে, মুছলমানের জীবনে তাহার কোন প্রভাব বিস্তারিত হওয়া সম্ভবপর হইল না ! অন্যদিকে, অসংযমী মুছলমান ব্যভিচারে লিপ্ত হইয়া নিজের ও স্বজনগণের সর্বনাশ সাধনে এক বিন্দু ও কুষ্ঠিত হইতেছে না।-“জীবনের স্বাস্থ্যের” সঙ্গে সঙ্গে সে নিজ “জীবনের সম্পদও” দ্রুতগতিতে হারাইয়া ফেলিতেছে। কিন্তু সেই অসংযমী মুছলমানই আবার পরম সংযমী দূরদর্শী অভিক্তের ন্যায়। সেই সম্পদের আংশিক ক্ষতি হওয়ার ভয়ে একাধিক বিবাহকে বিষবৎ পরিত্যাগ কৰিতেছে। এ সকল যুক্তির সারবত্ত হৃদয়ঙ্গম করা আমাদিগের পক্ষে অসম্ভব । আলেকজাতিক্ৰয়ায় পুস্তকাগার মিছর জয় করার সঙ্গে সঙ্গে মুছলমানগণ আলেকজান্দ্ৰিয়ার বিখ্যাত পুস্তকাগারটি ধ্বংস করিয়া ফেলিয়াছিলেন, খৃষ্টান লেখকগণের কল্যাণে একথা দুনিয়াময় প্রচারিত হইয়াছে। মুছলমানদিগের সম্বন্ধে ইউরোপে এই শ্রেণীর যে সব অপবাদ আজ পৰ্যন্ত প্রচারিত হইয়াছে, তাহার অধিকাংশের মূল iBBDDB BLLE D SS BDD DB DDDBBDDB SLLL S S LLL ELTLTAA LS SL LSLSALL SLALALLSALL LLSSSSLLLLL S LLLe LLL LLLLALLAaSS অকেেজনাভিচন SeSAMLMS SLSLSL MLALA LLL LLALLLL LLLLLLLLMMLMLLLLLL LLLLLLLLSLLLMLMLLLLLL LLLLLLLLSLLLSTLSLL LS LS LALALA LLLLLL LAL LL LMALST SASTTALL LL ALALA LSASLM LSLS TASA LMLSSLS TLS LS Ca জনৈক ঐতিহাসিকের مختصرتار بلیغ الدول ونزل المصر নামক আরবী ইতিহাসের লাটিন অনুবাদ ১৬৬৩ খৃষ্টাব্দে অধ্যাপক পোকক কর্তৃক অক্সফোড হইতে প্ৰথম প্ৰকাশিত হয়। আলেকজান্দ্ৰিয়ার পুস্তকাগার-ধবংসের অপবাদ সর্বপ্রথমে এই পুস্তকের মারফতে প্ৰচারিত হইয়াছিল। গীবন হইতে শিবলী পৰ্য্যন্ত ক এক জন বিশিষ্ট ঐতিহাসিক নানারূপ সুন্ম সমালোচনা করিয়া দেখাইয়াছেন যে, জামালুদ্দিনের এই উক্তি ভিত্তিহীন অপবাদ ব্যতীত আর কিছুই নহে। গীবন প্রমুখ ন্যায়নিষ্ঠ লেখকগণ দেখাইয়াছেন যে, Royal Library of Alexanduria নামক যে পুস্তকালয়ের ধ্বংস সম্বন্ধে মুছলমানদিগের উপর দোষারোপ করা হইয়াছে, মুছলমান-আক্রমণের সময় মিছরে তাহার অস্তিত্বই ছিল না। বস্তুতঃ আরব আক্রমণের ২৫০ বৎসর পূর্বে জালিনুসের Gallienus (২৬৩ খৃষ্টাব্দ) রাজত্ব কালে খৃষ্টানদিগের দ্বারাই তাহ ধবংস প্রাপ্ত হয়। সিরাপিউমের পুস্তকালয়টীিরও পূর্বে এইরূপ পরিণতি হইয়াছিল। গীবন আরও দেখাইয়াছেন যে, মিছরের зšeta fast's jata šifosfat (Eutychius and Al Makin ) তাহদের ইতিহাসে মুছলমানদিগের মিছরআক্রমণের বর্ণনাকালে পুস্তকালয় সম্বন্ধে কোন প্রসঙ্গেরই অবতারণা করেন নাই। তঁহার মতে ক্রুসেড-অভিযানের নায়ক কাউণ্ট বাৰ্ত্তারাম ( Bertram ) ত্রিপলীর বিখ্যাত পুস্তকালয়টীি—তাহার মধ্যে মোহাম্মদের শিক্ষা স্থানপ্ৰাপ্ত হইয়াছে বলিয়া-সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করিয়াদেন। খৃষ্টানদিগের এই কলঙ্ক ঢাকা দিবার জন্য তঁহার এই নীচ অপবাদ রটনা করিয়াছেন মাত্র। “মোছলেম আউটলুক” পত্রের জনৈক লেখক এই সকল কথার উল্লেখ করিয়াছেন। কথাগুলি যে খুবই সঙ্গত, তাহাতে আর কোনও সন্দেহ নাই। এ সম্বন্ধে আরও অনেক কথা আছে। তাহার মধ্যে উপরোক্ত আবুল ফরজ জামালুদ্দিন সাহেবের পরিচয় একটা প্ৰধানতম বিষয় বলিয়া আমাদের বিশ্বাস। অন্যান্য কতিপয় লেখকের ন্যায় মোছলেম আউটলুকের লেখক ও যে এই “জামালুদিন” নাম দেখিয়া একটু বিচলিত হইয়া পড়িয়াছেন, তঁহার আলোচনার ধারা হইতে তাহা বেশ পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু অনুসন্ধান করিয়া দেখিলে জানা যাইবে যে, এই আবুল ফরজ জামালুদ্দিন সাহেব আদৌ মুছলমান নহেন এবং উহার প্রকৃত নাম জামালুদ্দিনও নহে। প্রকৃত্ব পক্ষে V v. v. As a s a saara