পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MrvrrarrwayrMArvY- A 'v r on '. দেশের হিসাবে তিনি আৰ্ম্মানী, ধৰ্ম্মের হিসাবে তিনি খৃষ্টান এবং ব্যবসার হিসাবে তিনি একজন পাদ্ৰী।। তাহার প্রকৃতি নাম Gregoreus এবং মুছলমান সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করার জন্য আৰ্ম্মেনিয়ার যে সকল খৃষ্টান পরিবার ইউরোপের সহায়তায় অবিরাম ষড়যন্ত্র করিয়া আসিয়াছে, তাহারই একটী বিশিষ্ট বংশে, ৬২৩ হিজরী বা ১২২৬ খৃষ্টাব্দে ইহার জন্ম হয়। এই সময় সিরিয়ার খৃষ্টান সমাজ “পবিত্ৰ ভূমি”কে হিদেন-মুছলমানের কবল হইতে মুক্ত করার জন্য ইউরোপের রাজন্যবর্গের সহিত যে সকল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইয়াছিলেন, এবং ইউরোপের জনসাধারণকে উত্তেজিত করার উদ্দেশ্যে তঁাহারা মুছলমানের নামে যে সকল জঘন্য অপবাদ রটনা কৰিয়ছিলেন, ইতিহাসপাঠকগণের তাহা অবিদিত নহে। আগামীতে আমরা তাহার দুই চারিটা নমুনা দিবার চেষ্টা করিব। আমাদিগের তথাকথিত জামালুদ্দিন সাহেব এই দলের একজন প্রধান নায়ক। ক্রুসেড যুদ্ধের শেষভাগে যখন পোপ দশম গ্রেগরী এবং সেণ্টলুইসের ষড়যন্ত্র ও অধিনায়কতার ফলে খৃষ্টান ইউরোপ নিজেদের “মরণ কামড়” স্বরূপ যষ্ঠ ও সপ্তম ক্রুসেড-অভিযানে লিপ্ত হয়, আমাদিগের এই জামালুদ্দিন সাহেব তখন, ক্রুসেড অভিযানের প্রধান লক্ষ্যস্থল উত্তর সিরিয়ার সর্বপ্ৰধান পাদ্রীর পদে অধিষ্ঠত ছিলেন। আমরা ইতিহাসে দেখিতে পাই যে, ১২৫০ সালে সেণ্টলুইস মুছলমানদিগের নিকট সম্পূর্ণ পরাজিত ও তাহদের হাতে বন্দী হন। অবশেষে আট লক্ষ মোহর মুক্তিপণ ও মুছলমানদিগের ইচ্ছানুযায়ী সন্ধিপত্র লিখিয়া দিয়া তিনি মুক্তি লাভ করেন। তাহার পরও মুছলমানদিগের বিরুদ্ধে সমান ভাবে ষড়যন্ত্র ও প্রোপাগ্য ও চলিতে থাকে এবং দশম গ্রেগরীর মৃত্যুতে (১২৭৬ খৃষ্টাব্দে) এই আন্দোলন সাময়িক ভাবে মন্দীভূত হইয়া পড়িলেও, নীচ ষড়যন্ত্র যে তাহার পরও বহুদিন পৰ্য্যন্ত পরিচালিত হইয়াছিল, ক্রুসেডের ইতিহাসে তাহার অনেক স্পষ্ট প্রমাণ দেখিতে পাওয়া যায়। সিরিয়ার এই সর্বপ্রধান ধৰ্ম্মযাজক, পোপ গ্রেগরীর মিতা ও বন্ধু এই পাদ্রী গ্রেগরী, তখন জামালুদ্দিন নাম গ্রহণে তাহার সুরিয়ানী ভাষায় লিখিত ইতিহাসের আরবী সংস্করণ লিপিবদ্ধ করেন। সুতরাং তঁহার পুস্তকে এই শ্রেণীর অপবাদের স্থান লাভ করাই যে স্বাভাবিক, তাহা আর কাহাকেও বলিয়া দিতে হইবে না। এখানে আর একটা গুরুতর বিষয়ের প্রতি ገ (8) হলোড যুদ্ধ-সংক্রান্ত ইতিহাস এবং এডওয়ার্ড ফণ্ডিক প্রণীত ‘একুতেফাউল কুনু' প্রভৃতি দ্রষ্টব্য। আমাসিনক মোহাম্মদী [ ১ম বর্ষ ১ম সংখ্যা পাঠকগণের মনোযোগ আকর্ষণ করা অত্যাবশ্যক বলিয়া মনে হইতেছে। খৃষ্টান লেখক ও সম্পাদকগণের, বিশেষতঃ লাটিন অনুবাদকদিগের এবং তাহার মধ্যে আবার বিশেষ করিয়া । পোকক সাহেবের মধ্যবৰ্ত্তিতায় যে সকল মূল আরবী পুস্তক বা তাহার অনুবাদ প্ৰকাশিত হইয়াছে, তাহার উপর আস্থা স্থাপন করার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। অন্যথায় সময় সময় পাঠককে ভয়ঙ্কর ভাবে প্ৰবঞ্চিত হইয়া পড়িতে হয়। এই সুরিয়ানী ইতিহাস ও তাহার আরবী অনুবাদ সম্বন্ধেও সন্দেহ করার অনেক কারণ আছে। (১) Pਠ?eਵ ਹੁ পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ এছলীম সম্বন্ধে নানাপ্রকার ‘গভীর গবেষণায় লিপ্ত হইয়া তাহার যে সকল উৎকট ফল দুনিয়ার সম্মুখে উপস্থিত করিয়াছেন, তাহ পাঠ করিলে ক্ষোভে বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া পড়িতে হয়। ইউরোপের ধীমান পণ্ডিতেরাও সাময়িক গরজ ও রাজনৈতিক আবশ্যকতার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া কিরূপে যুগের পর যুগ ধরিয়া অতি জঘন্য মিথ্যার আশ্রয় গ্ৰহণ পূর্বক একটা জাতি, একটা ধৰ্ম্ম ও একজন মহামানবের নামে ইচ্ছাপূর্বক অতি হীন ও অতি কঠোর আক্রমণ চালাইতে পারেন, ইহা হয়ত এদেশের অনেকের জানা নাই। সেই জন্য এছলাম সম্বন্ধে কিছু জানিতে বা বলিতে হইলে তঁহাৱা সোজাসুজি পাশ্চাত্য লেপকগণের দ্বারস্থ হন। অধিকাংশ সময়ই ইহাতে হিতে বিপরীত ফল ফলিয়া থাকে, তাহা বলাই বাহুল্য। আজকাল ইংরাজীর মধ্যবত্তিতায় মুছলমানের ধৰ্ম্মশাস্ত্রের বাঙ্গলা অনুবাদ করাও আর দোষের কথা বলিয়া মনে করা হইতেছে না। এই শ্রেণীর সাহিত্যিক ও অনুসন্ধিৎসু পাঠকগণকে পাশ্চাত্য লেখকগণ সম্বন্ধে সতর্ক করার জন্য আজ অতি সংক্ষেপে তাহদের গবেষণার কি একটা নমুনা মিমে উদ্ধত করিয়া দিতেছি। (১) মোহাম্মদ কে ? মুছলমান হইতেছে একটী অবিশ্বাসী ঘোর পৌত্তলিক জাতি। তাহদের উপাস্ত ভগবানের নাম-মোহাম্মাদ। মুছলমানেরা এই “মোহাম্মাদ-ভগবানের” নিয়মিত পূজা অৰ্চনা করিয়া থাকে। ফিলিস্ত্রীনের মুছলমানেরা এই মোহাস্বাদ ভগবানের পূজার সময় কি স্তোত্র পাঠ করিত, এক gunnamurya