পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৭৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

දෑ එමීර් এরূপ অবস্থায় যিজয়ার নাম শুনিয়া ভীত হইবার কোন কারণ নাই। উহা একটা সামরিক কর মাত্ৰ । যুদ্ধকাৰ্য্যের ব্যয় নির্বাহের জন্য এই কর সেই সকল অমুসলমান প্ৰজার নিকট আদায় করা হইত, তাহারা রাষ্ট্রের নিরাপদতার জন্য অন্য কোন প্রকারে সাহায্য করিত না । মুসলমান রাজারা অমুসলমান প্ৰজাদিগকে যুদ্ধের কঠোর দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি দিয়াছিলেন, সুতরাং প্ৰাণের বিনিময়ে তাহাদিগের নিকট যুদ্ধের সাহায্য বাবদ করম্বরূপ কিছু অর্থ আদায় করা মোটেই অন্যায় নহে। এই উদ্দেশ্যেই অমুসলমান প্ৰজার উপর যিজয় করা প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছিল। যিজয় যে সামরিক করা ভিন্ন অন্য কোন DBDD BD D DDSDD KBD BBBBDS STTS BBBD কোন গভীর গবেষণার প্রয়োজন নাই। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি যে, অমুসলমান প্রজাদের সৈন্য শ্রেণীভুক্ত হইতে ও কোন বাধা ছিল না, তাহারা ইচ্ছা করিলেই সৈনিকের ব্ৰত গ্ৰহণ করিতে পারিত। এইরূপে যদি কোন অমুসলমান, সৈন্য শ্রেণীভুক্ত হইত, তাহা হইলে সঙ্গে সঙ্গে তাহাকে যিজয়া হইতে অব্যাহতি প্ৰদান করা হইত। অনেক অমুসলমান প্ৰজা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামরিক দায়িত্ব গ্ৰহণ করিত, তাহাদিগকেও সেই সময়ের জন্য যিজয়া হইতে অব্যাহতি দেওয়া হইত। যিজয়া যে সৰ্বব্যাপক এবং সম্মানের হানিজনক কোন কর ছিলনা। তাহা প্ৰমাণিত করিবার জন্য ইহা অপেক্ষা জাজ্বল্যমান প্ৰমাণ আর কি হইতে পারে ? সিরিয়া বিজয়ের সময় মুসলিম সেনাপতি আৰু ওবায়দায় এই যিজয়া আদায় উপলক্ষে তথাকার অমুসলমানদের প্ৰতি যে অপূর্ব মহানুভবতার পরিচয় প্ৰদান করিয়াছিলেন, তাহার তুলনা জগতের ইতিহাসে খুবই বিরল। হজরত আবু ওবায়দা সিরিয়া প্রদেশের বিভিন্ন নগর অধিকার করিয়া, ইসলামী প্রথামত উল্লিখিতরূপে বিজিত প্ৰজার নিকট হইতে DDD BDBD DBD DtBB S gBBuSDB DB BB DDD সংগৃহীত হইয়াছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে তথায় অধিক সংখ্যক রোমান সৈন্য আসিয়া পড়ায়, মুসলমানগণ আপনাদিগের বিজয় সম্বন্ধে সন্দিহান হইলেন। বিজিত প্ৰজাকে রক্ষা করিবেন বলিয়া যে প্ৰতিশ্রুতি দিয়াছিলেন, তাহা পূরণ করা এখন হয়ত সম্ভব হইবে না। সুতরাং সেনাপতি অবিলম্বে আদেশ প্রচার করিলেন :--জিমীদের নিকট যিজিয়া স্বরূপ ਤਕs 6ਝ y qå, då Fren যে কর আদায় করা হইয়াছে তাত সমুদয় প্ৰত্যপণ করা হউক । বলা বাহুল্য, বিনা বাকাব্যয়ে এট আদেশ প্ৰতিপালিত হইল। য়িহুদী ও খৃষ্টানগণ মুসলমানগণের এই অপ্ৰত্যাশিত উদারতা দেখিয়া বিস্ময়ে অভিভূত হইল । হজরত ওমর বিভিন্ন দেশের মুসলমান শাসনকৰ্ত্তার নামে যে সকল ফরমান প্রেরণা করিয়াছিলেন, তাহতে স্পষ্ট লেখা ছিল যে যিজয়া সামরিক কর মাত্র । তিনি একদা এরাকের শাসনকৰ্ত্তার নামে আর একটি ফরমান পঠাইয়াছিলেন, তাহাতে লিখিত ছিল--যাহাঁদের নিকট দৈহিক সামরিক সাহায্য গ্ৰহণ করিবে, খবরদার তাহাদিগের নিকট যিজয় কর আদায় করিও না। তঁহার সহিত, আরমেনিয়াবাসীদের যে চুক্তি হয় তাহাতে তিনি লিখিয়া দিয়াছিলেন যে, আরমেনিয়ানগণ মুসলমানগণকে সামরিক সাহায্য করিবে, সুতরাং তাঙ্গারা যিজয়া হইতে মুক্তি | এরূপ উদারতার দৃষ্টান্ত কেবল যে শুধু হজরত ওমরের সময় ঘটিয়াছিল। তাহা নহে, তাহার পরবত্তী যুগেও মুসলমান খলিফাগণ এইরূপে সামরিক করভাবেই যিজয়া আদায় করিয়াছিলেন । হজরত ওছমানের সময়, হবিব এবনে মোসলেমা, জলবার্জেন্মিলনা সম্প্রদায়ের লোকের উপর যুদ্ধে জয়লাভ করেন। তৎসন্নিহিত অন্যান্য সম্প্রদায়ের নিকট যিজিয়া কর আদায় করা হইত, কিন্তু উক্ত বংশের সমুদয় লোক স্বেচ্ছায় মোসলিম সৈন্যবাহিনীতে প্ৰবেশ করায় তাহারা অনায়াসে যিজয়া হইতে অব্যাহতি প্ৰাপথ হয় । ফলতঃ যে কোন প্রদেশে মুসলমানগণ রাজ্য বিস্তার করিয়াছে, তাহারা সেই প্রদেশের অমুসলমান প্ৰজার উপর সামরিক সাহায্যের বিনিময়ে যিজিয়া করা প্ৰতিষ্ঠিত করিয়াছে। এমন কি কোন কোন সম্প্রদায়ের লোক কেবলমাত্র এক বৎসরের জন্য সামরিক সাহায্য করিয়াছে, তাহাদিগকে সেই এক বৎসরের জন্য যিজিয়া হইতে অব্যাহতি দেওরা श्ग्रांछिल । এই সকল ঘটনা হইতে স্পষ্ট প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে, যিজিয়া সামরিক কর মাত্র ; যিজিয়ার নামের সহিত যে বিভীষিকার ভােব জড়িত আছে তাহা অমূলক অপবাদ মাত্র। তাহাতে আদৌ কোন সত্য নিহিত নাই। মুসলমান বুকের রক্ত দিয়া রাজ্য রক্ষা করিত, অমুসলমানগণ অর্থ সাহায্য