পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৭৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(分窗) [ জাহিদুল হুসাঈন ] use oup শওকতুল মজিদ বিবাহ করিয়া সঙ্গীক তালতলাক্স একটা ভাড়াটে বাড়ীতে আসিয়া উঠিল। বাড়ীতে একটা ঝি ছাড়া আর চতুর্থ প্ৰাণী কেই ছিল না। একটী নিরঙ্কুশ নিৰ্জ্জনতা প্ৰেম-উন্মুখ এই দুষ্ট প্রাণীর চারিদিকে পুষ্প-গন্ধময় দক্ষিণ বায়ুর মত ঘিরিয়াছিল। সেই নিৰ্জনতার রসে মজিদের প্ৰেম শতদলের মত ফুটিয়া উঠিতেছিল , আর নবপরিণীতা পত্নী মজিদা খাতুন সেই প্ৰেমময় অবকাশকে আপনার কবি-কল্পনা দিয়া ভিরিয়া তুলিতেছিল। মজিদ খাতুন ত্রিপুরার লাকসাম-অঞ্চলের এক জমিদারের কন্যা ; সুন্দরী এবং হাল-ফ্যাশানে বস্ত্র পরিধানে অভ্যস্থা। তঁহার মাতা, পিতামহীরা উর্দ, সাহিত্যের সমজদার পাঠিকা , কিন্তু সেই মহলে পরিবদ্ধিত হইয়াও তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি বেজায় ঝুকিয়া পড়িয়াছেন এবং বিবাহের পূর্ব পৰ্য্যন্ত যেসব কবিতা বিভিন্ন মাসিকে প্ৰকাশিত করিয়াছেন, তাহাতে বাঙ্গালা-সাহিত্যমহলে একটা জল্পনা-কল্পনা চলিতেছিল যে, অচির ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্যে র্তাহার কাব্য-প্রতিভা শতদলের মত বিকশিত হইয়া উঠিবে। এত উজ্জল যাহার ভবিষ্যত, তাহার সাধনায় যদি হঠাৎ বাধা পড়িয়া যায়, তাহা হইলে তাহার মনে যে কি বেদনার সঞ্চার হয়, তাহা অপরকে বুঝাইবার উপায় নাই। BBDDBEDK S0D DDDBD DBu DDD S uuuLS একথা বলা যায় না ; কেননা বিবাহের পরও যে-কয়টি কবিতা লিখিয়াছেন, সেগুলি পূর্বের কবিতা চেয়ে ভােলই হইয়াছে ; তবে বাধা যদি কিছু পড়িয়া থাকে, সে স্বামীর দ্বারা। স্বামী বিবাহ করিয়াছেন প্ৰেমময়ী রমণীকে -কবিকে নয়। যৌবন চাহে যৌবন ;-কবিতা নয়। প্রেমের আবেগে BDD DBDBD ggB DgLDDuuDDDuSGB LlBBD uuu ছায়া বিস্তায় করিতে আসে। প্ৰেম সতীন সহিতে পারেনা। মজিদা খাতুন যখন পীরূপে শওকতুল মজিদের গৃষ্ঠে প্ৰবেশ করেন তখন কবিতার খাতাটা তেরঙ্গের তলায় কাপড় চোপড়ের নীচে নিদ্রা যাইতেছিল। প্রেমের এই গুপ্ত ঘাতকটির খবর শওকতুল জানিত না । কিন্তু এক দুৰ্ভাগ্য মুহুৰ্ত্তে তোরঙ্গের তলা হইতে কবিতার খাতাটি যখন টেবিলের উপর উঠিয়া আসিল, তখন হইতে দুইটি প্ৰাণের মাঝখানে একটা কালো যবনিকা ধীরে ধীরে পড়িতে লাগিল । যৌবনের প্ৰেম বড় এক গা , সে যাহাকে চায় তাহাকে পরিপূর্ণ রূপে চায়। সকল ‘চন্তায়, সকল কাজে, সকল ধ্যানে, সে অণুতে অণু, তইয়া মিশিয়া থাকিতে চায়। মজিদার মন যে তাহাকে ছাড়িয়া কোন অশরীরী কল্পনার রাজ্যে ঘূরিয়া বেড়াইবো-সেখানে যে, শওকতের কোনও প্ৰবেশাধিকার থাকিবে না-এই চিন্তা শওকতের মনকে চঞ্চল করিয়া তুলিল। মজিদকে কবিতা লিখিতে দেখিলেই শওকতের মনে এক অশরীরী প্ৰতিদ্বন্দীর রূপ ফুটিয়া ਚੋਲ | মজিদার মনের বাসরে শওকত বিরাজ করিতেছিলপরিপূর্ণ প্রেমে ! কিন্তু তাহারই এক নিভৃত অন্তরালেমজিদার মনে – এক ছন্দময়ী রমণী লুকাইয়াছিল-সে তার কাব্য-প্ৰতিভা । বসরে যেমন আতর-লোবানের গন্ধ প্রেমিক-প্রেমিককে নিয়ত ঘিরিয়া থাকে-তেমনি মজিদার প্ৰেম-লোকে সেই ছন্দময়ী বাণী লুরিয়া মরিতেছিল। সে বাণী তাহার উন্মুখ প্ৰেমকে আর ও গাঢ় করিয়া তুলিতেছিল ; কিন্তু শওকতুল প্রেমের চাঞ্চল্যে তাহাকে প্রেমের অন্তরায় বলিয়া বুঝিল। শওকতুল মজিদার কবিতা লেখার অন্তরায় হইয়া উঠিল। মজিদও তাহা বুঝিতে পারিল। ফলে উভয়ের ভিতরে বেদন জমিয়া উঠিতে লাগিল;- মজিদা খাতুন কবিতার খাতা গোপন করিল। এই গোপন