পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৭৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হজরত ওমরের খেলাফৎ-কালে ভূমির রাজস্ব [ আবু লোহানী ] Susume Summ অখিল বিশ্বের প্রতি আল্লাহর আশীৰ্বাদ--রসুলেকরিম হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হে ও-সাল্লামের আবির্ভাবের পূর্সে আরব দেশে ভূমি-রাজস্বের কোনই সুবন্দোবস্ত ছিল না। ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায়, DBYBB BDD DDD SKSSLDDS SBBBS DBB DKDB ইহুদী অধিবাসিগণ র্তাহার নিকট আবেদন করিয়াছিলআমরা কৃষিজীবি- সুতরাং স্ব-স্ব ভূমির স্বত্ব ভোগ করিবার অধিকার আমাদিগকে প্ৰদান করা হউক । রসুলে করিম তাঁহাদের ন্যায্য প্রার্থনা মন্থর করতঃ ভূমির নাম মাত্ৰ একটা রাজস্ব নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছিলেন । ইহার পর প্ৰথম খলিফা হজরত আবু বকর যখন ইরাকের অংশ বিশেষ জয় করেন তখন তিনি তথাকার প্রচলিত পদ্ধতিই রক্ষা করিয়াছিলেন-রাজস্বের কোনরূপ পরিবাৰ্ত্তন সাধন করা প্ৰয়োজনীয় বলিয়া মনে করেন নাই । অতঃপর হিজরী ষোড়শ অব্দে দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ইরাকের সমুদ্রয় ভূভাগ এবং ইয়ারমুক জয় করেন। ইয়ারমুকের মহাবিজয়ের পর যখন তিনি দেখিতে পাইলেন – দুৰ্দান্ত রোমান-শক্তি চিরতরে বিধ্বস্ত হইয়াছে এবং উহার পক্ষে মোসলমানদের বিরুদ্ধে পুনরুত্থানের সহসা আর কোন আশঙ্কাই নাই তখন তিনি ভূমির বিলি ব্যবস্থা ও প্ৰচলিত রাজস্বের সংস্কার করিতে মনঃসংযোগ করিলেন। কিন্তু এই উদ্দেশ্য সাধনের পূর্বেই তাঁহাকে এক ঘোরতর সমস্যার সন্মুখীন হইতে হইল। দেশের তৎকালীন প্ৰথা অনুযায়ী বিজেতা মোসলেম সৈন্যগণ বিজিত ভূভাগের উর্বর ও কর্ষনোপযোগী ভূমি সকল ‘জায়গীর রূপে এবং তািত্ৰত্য "জিম্মি’ অধিবাসিগণকে দাসরূপে পাইবার জন্য দাবী করিয়া বসিল । রাজর্ষি ওমর হঠাৎ কোনরূপ সিদ্ধান্ত না করিয়া প্ৰথমে বিজিত দেশের জরিপ ও আদমশুমারী গ্রহণের জন্য সা’দ-বিন্য অকাসকে নিযুক্ত করিলেন। যথাসর্ময়ে সা’দ র্তাহার রিপোর্ট দাখিল করিলেন ; তদনুসারে দেখাইলেন প্ৰত্যেক বিজেতা আরবের অংশে তিন জন করিয়া ‘জিম্মি’ অধিবাসী পড়ে। হজরতের অন্যতম সাহাবা সেনাপতি আবদুর রহমানও সৈন্যগণের দাবীবই সমর্থন করিতে লাগিলেন। খলিফা ওমর এই সমস্যা নিরাকরণের জন্য এবং সৈন্য ও সেনাপতিগণের কেহই যাহাতে অসন্তুষ্ট হইতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে একটী প্ৰতিনিধি সভা আহলান করিবার জন্য বিভিন্ন দেশ, প্ৰদেশ ও সুবা হইতে সমাগত বিভিন্ন জাতি, সম্প্রদায় ও দলের প্ৰতিনিধিগণের সকলকে অনুরোধ করিয়া বলিলেন—“যদি বিজিত রাজ্যের ভূমি সকল সৈনিকগণের মধ্যে বিভাগ করিয়া দেওয়া হয় এবং উহার অধিবাসীবৃন্দকে দাসরূপে পরিণত করা হয়—তবে ভবিষ্যতে সৈন্য সংগ্ৰহ, ব্যয় নিৰ্বাহ, অন্তবিদ্রোহ দমন, এবং রাজ্যের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে সমূহ অসুবিধা উপস্থিত হইবে ; সুতরাং আপনার সকল দিক বিবেচনা করিয়া যথা- কৰ্ত্তক্য নিৰ্দ্ধারণ করুন।” হজরত ওসমান, হজরত আবু তালহা প্ৰভৃতি এক বাক্যে হজরত ওমরের সমর্থন করিলেন । কিন্তু বিপক্ষ দলেরও সমর্থনের অভাব হইল না । সুতরাং সভার কাৰ্য্য দিনের পর দিন চলিতে লাগিল । শেষ দিবসে হজরত ওমর তাহার যুক্তিগুলি এমনই দৃঢ়তার সহিত সভায় উপস্থিত করিলেন যে সমবেত জনগণের কেহই উহার বিরুদ্ধাচরণ করিতে পারিল না ; অধিকন্তু সকলেই সমস্বরে তাহার জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল। মহামতি খলিফা সর্বসম্মতিক্রমে ঘোষণা করিলেন“বিজিত রাজ্য ও ভূমি সকল অতঃপর সর্বত্র ও সৰ্বকালে সরকারী সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে এবং অধিবাসিগণ নির্দিষ্ট রাজস্বের বিনিময়ে স্ব স্ব ভূমিতে দখলিকার থাকিয়া যথারীতি কৃষিকাৰ্য্যাদি করিতে অধিকারী হইবে।”