করে দেবে···মুষ্টি-মুষ্টি ভষ্মের মধ্যে বিলুপ্ত হবে তাদের ওপর যুগযুগান্ত ধ’রে অনুষ্ঠিত অন্যায়।
পেভেল বললো, তারপর তারা লাগবে আমাদের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
না পেভেল। আমরা তাদের দলে টানতে পারব। বোঝাতে পারব যে, মজুর আর চাষী একই ব্যথার ব্যথী, একই পথের পথিক। আমি জানি, তারা আমাদের কথায় বিশ্বাস করবে, আমাদের দলে যোগ দেবে।
—আঠারো—
দিন কয়েক পরে নিকোলাই এসে হাজির হ’লো। বললো, ব্যাটাকে আমিই সাবাড় করবো মনে করেছিলুম, কিন্তু মাঝখান থেকে কে এসে মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নিলে।
পেভেল স্নেহভরা কণ্ঠে বললো, চুপ চুপ, যা-তা বলো না!
নিকোলাই বললো, কি করবো আমি। দুনিয়ার কোথায় আমার স্থান —কিছুই বুঝি না। চোখে সব দেখি, মানুষের ওপর যে অন্যায় হচ্ছে, তা’ মর্মে মর্মে অনুভব করি; কিন্তু তা খুলে বলার ভাষা পাই না।···বন্ধু, আমায় কাজ দাও···একটা কঠিন কাজ দাও···এই অন্ধ, অকেজো, জীবন আর সহ্য করতে পাচ্ছি না আমি···তোমরা এক মহান কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছো, সে কাজ ক্রমশ এগোচ্ছে, দেখছি···অথচ আমি দুরে দাঁড়িয়ে। কাঠ তুলি, তক্তা ফাঁড়ি···অসহ্য। আমায় একটা শক্ত কাজ দাও, ভাই।
পেভেল বললো, দেবো।
১০৬