পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

গান থেমে গেলো। সঙ্গীরা পেভেলকে ঘিরে দাঁড়ালো, পেভেল তাদের ঠেলে বেরিয়ে এলো সামনে। অকস্মাৎ সকল কোলাহল থেমে গিয়ে দেখা দিলো এক গভীর নীরবতা।

 তারপরেই শোনা গেলো সামরিক কর্মচারীর হুকুম, নিশানটা ছিনিয়ে নাও, লেফটেনেণ্ট!

 হুকুমপ্রাপ্ত লেফটেনেণ্ট একলাফে পেভেলের কাছে গিয়ে নিশানটা ধ’রে টানতে লাগলো, ছাড়ো, ছাড়ো।

 নিশানটা দু’লে উঠলো, একবার ডাইনে হেললো, একবার বাঁয়ে তারপর আবার সোজা হ’য়ে উড়তে লাগলো আকাশে।

 লেফটেনেণ্ট পিছিয়ে বসে পড়লো, নিকোলাই ঘুষি বাগাতে বাগাতে তীরবেগে ছুটে গেলো মার পাশ ঘিঁষে।

 ধরো ব্যাটাদের—সামরিক কর্মচারী গর্জন ক’রে উঠলো। তক্ষুণি অনেকগুলো সৈন্য সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লো সঙিন উঁচিয়ে। নিশানটা প্রবলভাবে দু’লে উঠে পড়ে গেলো নিচে, আর পলকে অদৃশ্য হ’য়ে গেলো সৈন্যদের মধ্যে।

 একজন আর্তনাদ ক’রে উঠলো, উহু! মা ক্ষিপ্তা ব্যাঘ্রীর মতো চীৎকার ক’রে উঠলেন, পেভেল! সৈন্যদের মধ্য থেকে স্পষ্ট কণ্ঠে জবাব এলো পেভেলের, মা, বিদায়, বিদায়!

 তবে বেঁচে আছে সে!···মনে আছে আমাকে—মার প্রাণে এই দু’টো ভাব স্পন্দিত হয়ে উঠলো।

 সঙ্গে সঙ্গে এলো এণ্ড্রির কণ্ঠ, মাগো, চললুম।

 মা হাত তুলে নাড়ালেন, বুড়ো পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে উঁচু

১২১