পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

 নিশ্চয়!

 দুপুরের দিকে শোফি এসে হাজির হ’ল। আসতে-না-আসতেই মার সঙ্গে ভাব হ’য়ে গেলো তার, বললো, পেভেলের মুখে তোমার কথা শুনেছি, মা।

 পেভেল অন্যের কাছেও তাঁর কথা বলতো শুনে মার মনটা খুশিতে ভ’রে উঠলো।

 শোফি বললো, মার বুঝি খুব কষ্ট হচ্ছে?

 মা বললেন, কষ্ট, হাঁ, কষ্ট বৈ কি! আগে হলে কষ্টই হত—কিন্তু এখন জানি, সে একা নয়, আমিও একা নই।

 শোফি তখন কাজের কথা পাড়লো, বললো, এখন সব চেয়ে দরকারী কথা হচ্ছে, ওদের যাতে জেলে না পচতে হয়। বিচার শিগগিরই হচ্ছে। তারপর যক্ষুণি তাদের নির্বাসনে পাঠানো হবে, আমরা পেভেলকে মুক্ত করার চেষ্টা করব। সাইবেরিয়ায় তার কিছু করার নেই, তাকে এখানে দরকার।

 মা বললেন, মুক্ত যেন সে হ’ল, কিন্তু ফেরারী হ’য়ে থাকবে কি ক’রে?

 শোফিয়া বললো, আরও শত শত ফেরারী যেমন করে থাকে। এইতো, এই মাত্র একজনকে বিদায় দিয়ে এলুম। দক্ষিণ অঞ্চলে কাজ করতো সে। পাঁচবছরের নির্বাসন-দণ্ড ছিল···রইল মাত্র সাড়ে তিন মাস···তাইতো আমার এই পোশাকের জাঁকজমক···নইলে সত্যিই কি আর আমি এতোটা বাবু!

 পুলিসের চোখে ধুলো দিতেই শোফি সাজ-পোশাক করেছিল ফ্যাশান-দুরস্ত, মুখে ছিল তার সিগারেট! এবার সে-সব ধরাচূড়া ছেড়ে সহজ, সরল, স্বাভাবিক মানুষ হ’য়ে পিয়ানো নিয়ে বসলো।

১৩২