পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

নির্বাসিত সঙ্গীদের মুক্তির আয়োজন ক’রে দিয়েছে···সঙ্গে করে তাদের বিপদ সীমার বাইরে রেখে এসেছে। তার বাড়িতে একটা ছাপাখানা ছিল···পুলিস খানাতল্লাশ করতে এলে এক মিনিটের মধ্যে ভেল বদলে চাকরের সাজে আগন্তুকদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে গেলো সে···তারপর গায়ে একখানা র‍্যাপার জড়িয়ে, মাথায় রুমাল বেঁধে, হাতে একটা কেরোসিনের টিন নিয়ে কেরোসিন-ওয়ালীর বেশে শীতের কনকনে হাওয়ায় শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চ’লে গেলো।··· আর একবার সে এসেছে নতুন এক শহরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে···তাদের বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি বেয়ে উঠছে এমন সময় দেখতে পেলো তাদের ঘরে খানাতল্লাশ করছে পুলিস; ফেরা তখন নিরাপদ নয়···এক সেকেণ্ড ইতস্তত না করে নির্ভীকভাবে সে নিচের তলায় একটা ঘরের ঘণ্টা বাজিয়ে ব্যাগ হাতে অপরিচিত লোকদের মধ্যে ঢুকে পড়লো— তারপর সরলভাবে নিজের অবস্থার কথা ব্যক্ত ক’রে বললো, আমার ইচ্ছা হলে আপনারা পুলিসের হাতে দিতে পারেন; কিন্তু আমি জানি, আপনারা তা দেবেন না। লোকগুলো অত্যন্ত ভয় পেলো। সমস্ত রাত ঘুমোলোনা। প্রত্যেক মিনিট আশঙ্কা করে, এই বুঝি পুলিস এসে দরজা ঠেলে···কিন্তু তবু আমাকে ধরিয়ে দিতে মন উঠল না···পরদিন এই নিয়ে হাসাহাসি। ···তারপর আর একবার সে রেলগাড়িতে চলেছে একজন গোয়েন্দার সঙ্গে একই গাড়িতে, একই আসনে···তার সন্ন্যাসিনীর ছদ্মবেশ···গোয়েন্দাটি তখন তারই খোঁজে বেরিয়েছিল···তারই কাছে গোয়েন্দা গল্প জুড়ে দিলো, কেমন দক্ষতার সঙ্গে সে শোফিকে খুঁজে বের করেছে···শোফি নাকি ঐ গাড়িরই দ্বিতীয় শ্রেণীর এক কামরায় আছে···গাড়ি থামে, আর প্রত্যেকবার সে খুঁজে দেখে এসে শোফিকে বলে, না, তাকে

১৩৫