রাইবিন বললো, না ইয়াকব, হিতাকাঙ্ক্ষীরা যাই বলুন, তাতে অপমান হতে পারে না।
ইগ্নাতি বললো, কি লিখছে শোনো, ‘চাষীরা আর মানুষ নেই’। থাকবে কি ক’রে? তোমরা এসে দু’দিন থাকে। আমাদের ভেল নিয়ে—দেখবে তোমরাও আমাদেরই মতো হয়ে গ্যাছো।
এমনিভাবে চললো পড়া।
মা ঘুমিয়ে পড়লেন। খানিকক্ষণ বাদে পড়া শেষ করে চাষীরাও চলে গেলো কাজে।
—চার—
সন্ধ্যার সময় রাইবিনরা কাজ থেকে ফিরে এসে চা খেতে বসলো। হঠাৎ ইয়াফিম বলে উঠলো, ঐ কাশির শব্দ···শুনচ?
রাইবিন কান পেতে শুনে শোফিকে বললো, হাঁ, ঐ সে আসছে··· সেভলি আসছে। পারলে আমি ওকে শহরের পর শহরে নিয়ে যেতুম, পাবলিক স্কোয়ারে দাঁড় করিয়ে দিতুম, লোকে ওর কথা শুনতো। ও একই কথা বলে সব সময়, কিন্তু সে কথা সকলেরই শোনার যোগ্য।
বনের আড়াল থেকে ধীরে ধীরে লাঠি ভর ক’রে বেরিয়ে এলো এক আনত, শীর্ণ, কঙ্কাল··· তার নিশ্বাসের শব্দ কানে এসে বাজছে। গায়ে গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা একটা কোট, শুকনো খাড়া কটা চুল, মুখ আদ্দেক হা-করা, চোখ কোটরাগত, ধক্ ধক্ করে জ্বলছে···রাইবিন শোফির সঙ্গে তার পরিচয় করে দিতেই বললো, আপনিই চাষীদের জন্য বই এনেছেন?
১৪৩