সাহেব আর এক ঘুষি ছুঁড়লেন, কিন্তু রাইবিন চকিতে সরে দাঁড়াতে সাহেব প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলেন। জনতার মধ্যে হাসির হররা বয়ে গেল। রাইবিন গর্জন করে বললো, খবর্দার, নরকের পশু···গায়ে হাত তুলিসনি···আমি তোর চেয়ে দুর্বল নই···চেয়ে দেখ্···
সাহেব দেখলেন গতিক বড় ভাল নয়। লোকগুলো ক্রমশ ঘনিয়ে আসে তার দিকে। তখন এদিক-ওদিক চেয়ে ডাকলেন, নিকিতা!
ভিড় ঠেলে গাঁট্টা-গোট্টা চেহারার একটি চাষী এসে সাহেবের সামনে দাঁড়ায়।
এই ব্যাটার কান প্যাঁচিয়ে বেশ একটা নম্বরি ঘুষি চালাও তো।
চাষীটি রাইবিনের সামনে গিয়ে ঘুষি পাকালো। রাইবিন নড়লোনা একটুকুও। সোজা তার মুখের দিকে চেয়ে প্রগাঢ় স্বরে বললো, দেখ ভাইসব, পশুরা কেমন ক’রে আমাদের হাত দিয়েই আমাদের কণ্ঠরোধ করে। দেখ, দেখ···একবার ভাব···কেন আমাকে মারতে চায়? কেন?···বলতে বলতে নিকিতার ঘুষি এসে পড়লো তার মুখে।
জনতা কোলাহল ক’রে উঠলো,— নিকিতা, পরকালের কথা একেবারে ভুলে ব’সে আছিস বুঝি!
সাহেব নিকিতার ঘাড়ে ঠ্যালা দিয়ে বলে, আমার হুকুম, মারো।
নিকিতা একপাশে স’রে দাঁড়িয়ে মাথা নীচু ক’রে গম্ভীরভাবে বললো, আমি আর পারবোনা।
কী?
সাহেব রেগে আগুন হ’য়ে নিজেই রাইবিনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তারপর দু’ঘুষিতে রাইবিনকে মাটিতে ফেলে বুকে, পাশে, মাথায় লাথি ছুঁড়তে লাগলেন। জনতাও পলকে উত্তেজিত হয়ে হুংকার দিয়ে এগিয়ে
১৬৯