তোমাদের দিয়ে যাবো।
চাষী শুধু বললো, আমাদের! কিন্তু কোনো রকম আশ্চর্যের ভাব দেখালো না!
রাইবিনের কথা ভেবে মার চোখ বারে বারেই অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠছে। কিন্তু কণ্ঠ তার অকম্পিত, বলেন, মানুষের যথা-সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তার কণ্ঠরোধ ক’রে তাকে পায়ে মাড়িয়ে যায় ঐ ডাকাতের দল! প্রতিবাদ করলে জবাব মেলে প্রহার এবং নির্যাতন।
চাষী বললো, শক্তি···শক্তি ওদের বেশি কিনা!
মা উত্তেজিত সুরে বললেন, কিন্তু সে শক্তি রা পেলে কোত্থেকে? ···এই আমাদেরই কাছ থেকে। যা-কিছু তাদের, সব আমাদের কাছ থেকেই পাওয়া।
চাষী বললো, সে কথা ঠিক।···একটা চাকার মতো আর কি।... আমরা চালাই অথচ আমরাই তাতে কাটা পড়ি।···ঐ আসছে।
কে?
আমাদের দলেরই লোক। ওর কাছেই ব্যাগটা রেখেছি।
বউ একটি চাষীকে নিয়ে এলো। এই পিওর। পিওরকে বসতে দিয়ে বউ মাকে লক্ষ্য ক’রে স্বামীকে জিগ্যেস করলো, উনি খাবেন না, স্টিপান?
মা বললেন, না, মা।
পিওর একটু বেশি কথা বলে। মার সঙ্গে মিনিটখানেকের মধ্যেই সে দিব্যি গল্প জুড়ে দিলো। রাইবিনের কথা উঠতে প্রশ্ন করলো, সে কি আপনার আত্মীয় কেউ?
আত্মীয় নয়···বহুদিনের পরিচিত···দাদার মতো ভক্তি করি।
১৭৪