আইভানোভিচ বললো, না বন্ধু, তুমি না! যাবো আমি, তুমি শুধু আমাকে সব খবরাখবর বাৎলে দেবে।
ইগ্নাতি তাতেই রাজি হ’ল। ফন্দি-ফিকির বাৎলে দিতে দিতে বললো, জানলায় চারটে ঘা দেবে। পয়লা তিনটে···তারপর একটু থেমে আর একটা। একজন লাল-চুল চাষী দোর খুলে দিলে তুমি বলরে, ধাই কোথায়, ওদের কাছ থেকে এসেছি···বাস, এইটুকুই বলবে! তা’হলেই বুঝবে সব।
আইভানোভিচ চ’লে গেলো।
—চৌদ্দ—
ফেরারী নিকোলাইর পক্ষে চোরের মতন লুকিয়ে লুকিয়ে বেড়ানো আর নিষ্কর্মা-জীবন যাপন করা হয়েছিল অসহ্য। কাজেই রাইবিনকে জেল থেকে মুক্ত করার বন্দোবস্তে সেই হ’ল প্রধান উৎসাহী।
পরিচালনার ভার নিলে শশেংকা, আর তাদের সঙ্গে যোগ দিলো গড়ুন···গড়ুনের স্বার্থ, তার ভাইপোও এই সঙ্গে মুক্ত হ’বে। মাও সঙ্গে গেলেন নেহাৎ যেচে···প্রাণের টানে। জেলের সেদিকটা গোরস্থান, নির্জন, অনেকটা ফাঁকা। সেদিকে চললেন মা। পথে দু’জন সৈনিকের সঙ্গে দেখা—মা অত্যস্ত ব্যস্ততার ভাব দেখিয়ে বললেন, হাঁগা, আমার ছাগল দু’টি হেথা কোন্দিকে গেল, দেখেছো?
না।
সৈন্যরা চ’লে গেলে মা নির্ধারিত স্থানটিতে এসে দাঁড়ালেন। নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হ’ল। মা কেঁপে উঠলেন। ঐ আসছে। জেলের দেয়ালের গা ঘিঁসে একটি ল্যাম্পপোস্ট।
১৮৩