পারছেন না। ন্যায়দণ্ড থেকে আত্মরক্ষার যত রকম যুক্তি হ’তে পারে, সব আপনাদের এরি মধ্যে নিঃশেষ হয়ে গেছে। ভাবের জগতে নতুন কোন-কিছু আর সৃষ্টি করতে পারেন না আপনারা, ভাবজগতে আপনারা দেউলে। নব-ভাবের ভাবুক আমরা, উত্তরোত্তর দীপ্ত হ’য়ে উঠছে আমাদের মন, আমাদের উদ্বুদ্ধ ক’রে তুলছে মুক্তি-সংগ্রামে! সুমহান্ পবিত্র ব্রতের কথা স্মরণ ক’রে দুনিয়ার সকল মজুব আজ একপ্রাণ হ’য়ে দাঁড়িয়েছে। নিষ্ঠুরতা এবং হৃদয়হীনতা ছাড়া আপনাদের আর কিছু নেই, যা এই নব-জাগ্রত জীবনের পথে তুলে ধরতে পারেন বাধার মতো। কিন্তু আমরা জানি যে-হাত দিয়ে আজ আপনারা আমাদের কণ্ঠরোধ করতে যাচ্ছেন, তাই-ই কাল এসে মিলবে আমাদের হাতে বন্ধুর মতো। আপনাদের শক্তি স্বর্ণশক্তি, একান্তই প্রাণহীন···আপনাদের তা শুধু বিভক্ত করছে পরস্পর-বিধ্বংসী দলে। আর আমাদের শক্তি জীবন্ত-শক্তি— মজুরদের ক্রমবর্ধমান আত্মসংবিতের ওপর তার প্রতিষ্ঠা। আপনারা যা করেন সবই অন্যায়; কারণ সবেরই উদ্দেশ্য মানুষের চার পাশে দাসত্বের বেড়াজাল সৃষ্টি করা। আমাদের কাজ পৃথিবীকে মুক্ত করবে আপনাদের লোভ এবং বিদ্বেষ-প্রসূত ভ্রান্তি ও বিভীষিকা হ’তে। মানুষকে আপনারা টেনে ছিঁড়ে নিয়েছেন তার জীবন থেকে, তাকে আপনারা করেছেন শতধা-বিভক্ত। সাম্যবাদ এই বিছিন্ন জগতকে এক ক’রে জুড়ে এক বিরাট শ্রেণীহীন-সমাজের সৃষ্টি করবে। এ হবে, হবে।···
পেভেল থামলো। জজরা দস্তুরমতো উষ্ণ হ’য়ে উঠলেন। পেভেলের সঙ্গে বেশ কড়া ভাষায় এবং চড়া সুরে একজন জজ কথা বলায় পেভেল শান্ত কিন্তু শ্লেষ-ভরা কণ্ঠে জবাব দিলো: আমার বক্তব্য
১৮৯