এই-ই দুনিয়ার হাল! কর্তারা বলেন, তোমরা নাস্তিক...গির্জায় যাওনা, যদিও আমিও তথৈবচ। তারপর...ঐ বে-আইনী ইস্তাহারগুলি, ওগুলোও তো তোমরা ছড়াও, নয়?
হাঁ।
মা ভয়ে ভয়ে তা’ ঢাকতে চান। তারা কেবল হাসে।
রাইবিন বলে, বেশ সুচিন্তিত লেখা, লোককে মাতিয়ে তোলে। সবসুদ্ধ বারোটা বেরিয়েছে, নয়?
হাঁ।
সবগুলিই আমি পড়েছি।
তারপর কথা প্রসঙ্গে পেভেল অগ্নিগর্ভ ভাষায় ব্যক্ত ক’রে যেতে লাগলো, ধর্ম, রাজা, রাষ্ট্র-শাসন, কারখানা, দেশ-বিদেশের মজুর জীবন সম্বন্ধে তার অভিমত। রাইবিন হেসে বললেন, তরুণ তুমি, লোকচরিত্র সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা তোমার খুবই কম।
পেভেল বললো, কে তরুণ, কে বৃদ্ধ, সে কথা ছেড়ে দিন কার চির ধারা সত্য, তাই দেখুন।
অর্থাৎ তুমি বলতে চাও, আমরা ঈশ্বর সম্বন্ধে প্রতারিত হয়েছি, এইতো? তা’ আমারও মত তাই। আমিও বলি, আমাদের ধর্ম মিথ্যা, ধর্ম আমাদের ক্ষতি করেছে।
মা এই নাস্তিক্যবাদে শিউরে উঠে’ বলেন, ঈশ্বরের কথা যখন ওঠে একটু সতর্ক হ’য়ে কথা কয়ো।...যে কাজ তোমরা করছ, তাই তোমাদের জীবনে সান্ত্বনা জোগায়, কিন্তু আমার ঈশ্বর ছাড়া যে কিছুই নেই। তাঁকে কেড়ে নিলে আমি দুঃখে কষ্টে কার ওপর ভর দিয়ে দাঁড়াব!
৪৭