পাতা:মা - ম্যাক্সিম গোর্কি - বিমল সেন.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মা

পল্লিবাসী মজুররাই ন্যায়ত তার খরচা বহন করতে বাধ্য; অতএব তাদের মজুরি থেকে রুবেলে এক কোপেক ক’রে এই বাবদ কেটে নেওয়া হবে। মজুররা তো একথা শুনেই ক্ষেপে উঠলো, বিশেষ ক’রে যখন দেখলো কর্তার পেয়ারের কেরানীবাবুরা এ ট্যাক্স থেকে রেহাই পেয়েছে।

 যেদিন এ হুকুম হয়, পেভেল সেদিন অসুস্থতার দরুণ কারখানায় অনুপস্থিত; কাজেই সে কিছুই জানতে পারলো না। পরদিন শিজভ্‌ এবং মাখোটিন ব’লে দু’জন মজুর তার কাছে এসে হাজির হ’ল, বললো, সবাই আমাদের তোমার কাছে পাঠিয়ে দিলো এই কথাটা জানতে যে, সত্যিই কি এমন কোনো আইন আছে যাতে ম্যানেজার কারখানার মশা তাড়াবার খরচা মজুরদের কাছ থেকে জুলুম ক’রে নিতে পারে। আছে এমন কোনো আইন? তিন বছরের কথা। সেবারও স্নানাগার তৈরি করার নাম ক’রে জোচ্চোররা এমনিভাবে ট্যাক্স্ বসিয়ে তিন হাজার আটশো রুবেল ঠকিয়ে নিয়েছিল। কোথায় এখন সে রুবেল, কোথায়-বা সে স্নানাগার!...

 পেভেল তাদের বেশ ক’রে বুঝিয়ে দিলো যে, এ আইন নয়, অত্যাচার! এতে শুধু পকেট ভারি হ’বে কারখানার মালিকের।

 মজুর দু’জন মুখ ভারি ক’রে চলে গেলো।

 তারা চ’লে যেতে মা হাসিমুখে বললেন, বুড়োরাও তোর কাছে বুদ্ধি নিতে আসা শুরু করেছে, পেভেল।

 পেভেল নিরুত্তরে কাগজ নিয়ে কি লিখতে বসলো। লেখা শেষ হ’লে মাকে বললো, এক্ষুণি শহরে গিয়ে এটা দিয়ে এসো।

 বিপদ আছে কিছু? মা প্রশ্ন করলেন।

৫০