পেভেল বললো, হাঁ। শহরে আমাদের দলের যে কাগজ ছাপা হয় তার পরবর্তী সংখ্যায় এ ‘কাদা-মাখা পেনি’ গল্পটা বেরোনো চাই।
যাচ্ছি এক্ষুণি, ব’লে মা গায়ের কাপড়টা ঠিক করে নিলেন। তাঁর যেন আনন্দ আর ধরে না। ছেলে এই প্রথম তাঁকে বিশ্বাস করে তাঁর ওপর জরুরী একটা কাজের ভার দিয়েছে। ছেলের কাজে তিনি লাগলেন এতদিনে।
শহরে গিয়ে তিনি কার্যসিদ্ধি ক’রে ফিরে এলেন।
তার পরের সোমবার—মাথা ধরেছে ব’লে পেভেল কারখানায় যায়নি। খেতে বসেছে, এমন সময় ফেদিয়া মেজিন ছু’টে এলো রুদ্ধশ্বাসে—তার মুখে উত্তেজনা এবং আনন্দ। বললো, এসো, কারখানা শুদ্ধ মজুর জেগে উঠেছে। তোমাকে ডাকতে পাঠালে তারা। শিজভ, মাখোটিন বলে, তোমার মতো করে আর কেউ বোঝাতে পারবে না। বাব্বা, কী কাণ্ড!
পেভেল নীরবে পোশাক পরতে লাগলো।
মেজিন বলতে লাগলো, মেয়েরা জড়ো হ’য়ে কী রকম চেঁচাচ্ছে দেখো।
মা বললেন, তুই অসুস্থ, ওরা কি করছে কে জানে। চল, আমিও যাচ্ছি।
পেভেল সংক্ষেপে বললো, চলো।
নীরবে দ্রুতপদে তারা কারখানায় এসে উপস্থিত হ’ল। দুয়ারের কাছে মেয়েরা ভিড় ক’রে দাঁড়িয়ে তীক্ষ্ণ তীব্র কণ্ঠে আলোচনা চালিয়েছে। তাদের ঠেলে তিনজন কারখানার উঠানের ভেতরে এসে ঢুকলো। চারদিকে উত্তেজিত জনতার চীৎকার এবং আস্ফালন। শিজভ,
৫১