মা সমবেদনার সুরে বলেন, ইচ্ছে থাকবে বা কেন! কিসের, মায়ায় সে শূন্যপুরীতে যাবি?
নিকোলাই বললো, সত্যিই শূন্যপুরী, মা। শুধুই পোকা-মাকড়ের বাসা। এখানে আজকের রাতটা থাকতে পারি, মা?
মা বলেন, ছেলে মার কাছে থাকবে তারও কি আবার অনুমতি নিতে হয়, বাবা!
নিকোলাই আপন মনে কত কি ব’লে চলে। এণ্ড্রি রান্নাঘর থেকে আসতে তার মুখের দিকে চেয়ে বলে, আমার মনে হয়, এমন কতকগুলো লোক আছে, যাদের মেরে ফেলা উচিত।
এণ্ড্রি গম্ভীরভাবে বললো, তাই নাকি! কিন্তু কেন শুন্তে পারি কি?
যাতে তারা চিরদিনের মতো ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
বটে! কিন্তু জ্যান্ত লোকগুলোকে ঠাণ্ডা করার অধিকার তোমায় কে দিলে?
দিয়েছে তারা নিজেরা।······তারা যদি আমায় আঘাত দেয়, আমার অধিকার আছে জবাবে তাদের আঘাত করার, তাদের চোখ উপ্ড়ে ফেলার। আমায় ছুঁয়ো না, আমিও তোমায় ছোঁব না। আমায় যেমন খুশি চলতে দাও, আমি চুপ-চাপ থাকবো, কাউকে ছোঁবও না। হয়তো বনে চ’লে যাবো, নদী-তীরে কুঁড়ে বেঁধে একা থাকবো।
এণ্ড্রি বললো, যাও না, খুশি হয় তাই গে থাকো।
এখন?···নিকোলাই ঘাড় নেড়ে বলে, এখন তা অসম্ভব।
কেন? অসম্ভব কেন? আটকাচ্ছে কে তোমায়?
আটকাচ্ছে মানুষ। আমরণ তাদের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে হ’বে আমায়—অন্যায় এবং ঘৃণার বাঁধনে। শক্ত সে বাঁধন! আমি তাদের
৮৩