পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিরাম,--তারপর শিবরাম,-চারি বর্ণের অনুলোম ও বিলোম সংযোগ খুব চলিল। যে গৃহে থাকিয়া কাৰ্য্য করিত সে গৃহী হইত, আর যাহারা বন জঙ্গলের আশ্রমে থাকিয়া ফল মূল খাইয়া যোগ অভ্যাস করিক্ত . অহারাই মুনি বা ঋষি হইত। যখন লালের ভারতে রাজা হুইল তখন কালদিগকে আর কন্যাদান করিল না, বাস্তবিক কালরা সুবিধা পাইলে উহাদের কন্যাকে হরণ করিতে লাগিল, কিন্তু কালীর কন্যাকে ইচ্ছামত গ্ৰহণ করিতে লাগিল। এই রূপ ক্ৰমে ক্ৰমে শ্বেত ও লালের এত অধিক প্ৰভুত্ব হইল যে কাল পুরুষের দ্বারায় শ্বেতের বা লালের গর্ভে অপত্য জন্মিলে তাহাদিগকে নীচ জাতি বলা হইতে লাগিল । যখন বর্ণ ও আশ্রম ছিল না। তখন স্বগোত্ৰে বিৰাহ চলিত ; রামায়ণ ও মহাভারত পড়িলে এ সংবাদ জানা যায়। পূর্বে আদৌ বিবাহই ছিল না, শ্বেতকেতু হইতে বিবাহের প্রচলন। শৌনিক হইতে বৰ্ণ, আর যাজ্ঞ্যবন্ধ হইতে আশ্রম হয়, কিন্তু কখন কোনটী হইয়াছে ইহা ঠিক করা যায় না ; তবে বর্ণ ও আশ্ৰম বহুকাল হইতে চলিয়া আসিতেছে, ইহাতে কত বার কত গোলমাল হইয়া গিয়াছে, আবার হইয়াছে, ইহার ঠিক নির্ণয় বড় দুরূহ ব্যাপার, কারণ তারিখ কোন পুস্তকে পাওয়া যায় না। গোড়া ধরিয়া কাজ চলে না, সামাজিক ব্যাপার ধরিয়া কাজ হইয়া থাকে। পূর্বে পৌত্তলিক হইলে দেবল বলিত, এখন কি তা হয় ? পূর্বে কাপীন ক্ষেত্ৰজ ও পৌণ্ড, পুত্র সমাজে চলিত, কিন্তু এখন চলে না । পুত্রিকা পুত্ৰ মাতামহের বিষয় লইলে মাতামহের নাম লাইত, কিন্তু এখন সেরূপ চলে না । বৰ্হ-বিবাহ অর্থাৎ, পলী গ্যামী ও পলী এাণ্ডি চলিত, এখন পুরুষে চলতেছে, কিন্তু মেয়ের পালা শেষ হইয়াছে। সংহিতা হইতে আবার বর্ণের বিচার হইয়াছিল। কিন্তু আবার বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের সময়