পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRUGr? easter নিদ্রাবসানে পাগলিনী দেখিল কতকগুলি জটাজিনধারী উত্তরীয় বস্কলধারী ঋষি সন্ধ্যোপাসনা করিতেছে ; নিয়ম বশত উদ্ধ বায়ু সংশিতব্ৰত কয়েকজন মুনি সূৰ্য্যোপাসনায় সংযত রহিয়াছে, কিন্তু এভাবে তাহাকে অধিকক্ষণ দেখিতে হইল না, সে চিন্তামণির চিন্তায় মগ্ন হইল। সন্ধ্যার প্রাক্কালে আশ্রমবাসীগণ নিজ নিজ কুটির দ্বারে আসিয়া নৃষজ্ঞের অতিথি ডাকিতে লাগিল। যে যাহাকে দেখিল তাহাকেই সমাদর করিয়া নিজ আশ্রমে লইয়া গোল ও বিশেষ যত্ন সহ অতিথির সৎকার করিল। হর-গৌরীর আশ্রমে মা অন্নপূর্ণ বিরাজিত থাকিতে অভুক্ত কেহ থাকে না । মায়ের আদেশে নন্দা উপবাসীর সন্ধানে বাহির হইল। সে যাহাকে সম্মুখে দেখে তাহাকেই জিজ্ঞাসা করে “সেবা হইয়াছে কি না ?” সকলেই উত্তর দেয়। “যেখানে মা অন্নপূর্ণর অধিষ্ঠান, সেখানে আবার অন্নের অভাব ! আমাদের আহার হইয়াছে, কিন্তু ঐ মন্দার বৃক্ষ তলে এক পাগলিন বসিয়া আছে, উহার সেবা হইয়াছে কি না। সন্ধান লইয়া দেখি ৷৷ ” নন্দা পোর্মা সমীপে উপস্থিত হইল। রজনীর জ্যোৎস্নায় নন্দীকে বেশী কন্ট লাইতে হইল না, পেমীকে দূর কইতেই দেখিতে পাইয়া নন্দা তৎসমাপে যাইয়। স্তব স্তুতি করিল, কিন্তু তাহার কোন উত্তর পাইল না । ভাবিল —শ্ৰী লোকটা ংজ্ঞা-বিহীনা, না। তাই বা কৈ, হাত পা যে নড়িতেছে! তবে চিন্তাশীল। পরীক্ষণে তাহাকে জোর করিয়া ডাকিল ; এইভাবে একবার, দুইবার, বহুকার নন্দী ডাকিলেও তাঁহার কোন সাড়া শব্দ পাইল না, তখন নন্দী গুরুদেবের কথা স্মরণ করিল । কেছ চিস্তামগ্ন থাকিলে তাহার মাথার চুল ধরিয়া টানিলে চিন্তা ভঙ্গ হয়, তাষ্ট পাঠাধ্যায়ীর টিকীর ব্যৰস্থা । দিবা রাত্ৰি পড়িতে পড়িতে ইন্দ্ৰিয়গুলি শিথিল হয়, সেই সময় ইন্দ্ৰিয়ের পুনঃ চৈতন্য কারণ মস্তিকের চুল টানা বিধেয় ; শিখার সহিত মস্তকের যত নিকৃষ্ট সম্পৰ্ক, এমন কাহারও নাই। শিয়ানোর ভিতর