পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৫৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীমাংসা (VS জ্ঞান প্ৰধমাবধি না থাকিত, তাহা হইলে তুমিও বিষয়েতে এই | ভেদ জ্ঞান করিতে না । যতদিন জগতে উপাস্য ও উপাসক আছে, ততদিন জগতে ভেদ জ্ঞান জাছে। উপাস্য ও উপাসক যদি না থাকিত, তাহা হইলে অভেদ হইত। জগতে অভেদ কিছুই নাই, তবে মহাজনেরা পখিতে বা বাক্যে অভেদ লেখে ও বলে। এককে প্ৰমাণ করিতে হইলে পূর্ববৎ যুক্তির দ্বারা, না হয়তো পরবৎ যুক্তির দ্বারা টুকরা করিতে করিতে কিম্বা জুড়িতে জুড়িতে শেষে অশেষে আসিয়া উপস্থিত হইয়া এক বলিতে বাধ্য হয়, এবং এই এক অভেদ হয় ; কিন্তু এই এককে লইয়া কেহ কি জগতে কাৰ্য্য করিতে পারে ? যদি পারিত, তাহা হইলে জগতে এত প্ৰকার সংস্কার থাকিত না । পঞ্চভূতে দেহ হয়, এবং ইহাই যদি ঠিক হয়, তাহা হইলে পঞ্চ ভুত পঞ্চ প্ৰকার শিক্ষা দিতেছে। পঞ্চ ভূত একরকম শিখায় না, যদি শিখাইত, তাহা হইলে পঞ্চ গুণগুলি আকারেতে জাজ্বলন্ত প্রমাণের স্বরূপ থাকিত না । ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুত ও ব্যোম এই কয়েকটি হইতে পঞ্চগুণ জগতে বৰ্ত্তমান রহিয়াছে, যথা :-গন্ধ, রস, রূপ, স্পর্শ ও শব্দ ; কিন্তু এই গুলি সত্য কি মিথ্যা, ইহার প্রমাণ কে করিতেছে ? বাস্তবিক যদি ইহার প্রমাণের বিষয় না থাকিত, তাহা হইলে জগতে আরও কত কথার শ্ৰাদ্ধ হইত। নাসিকা -গন্ধকে প্রমাণ করিতেছে, জিহবা-রসকে প্রমাণ করিতেছে, চক্ষু-রূপকে : প্রমাণ করিতেছে, ত্বক - স্পর্শকে প্রমাণ করিতেছে,5কর্ণ-শব্দকে প্রমাণ করিতেছে, কিন্তু ইহাতেও নিস্কৃতি নাই, কেননা খালি মুগুটি আবার কিছুই নয়। বাক, পাদ, পানি, লিঙ্গ, গুহ যোগ না। দিলে মুণ্ড থাকে কোথায় ?- ইহাতেও যে সব ঠিক হয়, ই ইহাও y