তাহারে সম্ভাবনা নাই—কেন না প্রায়ই একটার, অধিক বরাহ এক দিনের শিকারে পাওয়া যায় না। সকলেই শিকারীর প্রতি বিশেষ প্রশংসার দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিল, আজকের দিন যেন তাহার জন্যই প্রভাত হইয়াছিল, ভীলরাজ পুত্রের জয়ে আহ্লাদে নির্ব্বাক হইয়া রহিলেন,—আত্ম-গৌরবে ভীলপুত্রের বুক ফুলিয়া উঠিল—পরিশ্রম ক্লান্তি সে সকল ভুলিয়া গেল—এই সময় আমাদের পূর্ধ্ব পরিচিত যুবক তাহাদের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলেন, তিনি না জানি কি আনেন! আর একবার সকলে কুতূহল হইয়া উঠিল,—ভীলপুত্রের হঠাৎ বুকটা একবার কাঁপিয়া উঠিল, মুহূর্ত্তের মধ্যেই সে ভাব চলিয়া গেল, আশ্বস্ত ভাবে তাহার আগমন প্রতীক্ষা করিতে লাগিল। যুবক নিকটে আসিয়া একটা বড় হরিণকে মাটিতে নামাইলেন। সকলে আহ্লাদে চীৎকার করিয়া উঠিল। বরাহ হইতেও হরিণ দুষ্প্রাপ্য শিকার, কদাচিৎ তাহা পাওয়া যায়। এত দ্রুত বেগে হরিণ দৌড়ে যে তাঁহার প্রতি লক্ষ্য ঠিক রাখিয়া বাণ ছোঁড়া বড় কঠিন কাজ। ভীলরাজ বলিয়া উঠিলেন “সাবাস বেটা সাবাস—” ভীলপুত্রের মুখ মলিন হইয়া গেল—ভীলরাজ তাহাকে কি এ কটা প্রশংসার কথা বলিতে পারিতেন না! আর কিছু না হউক সেত একটা বরাহ শিকার করিয়াছে, বরাহ শিকার করা হরিণ শিকার হইতে এতই কি সহজ! ভীলপুত্র গুম হইয়া রহিল, ভীলরাজ
পাতা:মিবাররাজ.djvu/১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
৭