যুবককে একরকম বাড়াইয়া ভুলিয়াছে, আগে আগে সেই সর্ব্বাগ্রে যুবকের হাতে বাণ তুলিয়া দিয়াছে, শীকারে যাইবার সময় তাহাকেই আগুয়ান করিয়া সাঁঁড় করাইয়াছে, এক দিন যখন তাহাদের দুই দলে কৃত্রিম যুদ্ধখেলা হইতেছিল—ভীলপুত্রই যুবকের হাতে রাজ যষ্ঠি আনিয়া দিয়াছিল; কিন্তু তাহার পর যে দিন ভীলপুত্রের অপেক্ষা করিয়াই যুধক সেই সকল অধিকার নিজের বলিয়া গ্রহণ করিল, যে দিন ভীলযুবারা একবার ভীলপুত্রকে জিজ্ঞাসা পর্য্যন্ত না করিয়া যুবককে রাজা করিল, সেই দিন ভীলপুত্র একটু ক্ষুন্ন হইয়া পড়িয়াছিল বটে কিন্তু শীঘ্রই সে ভাব তাহার মন হইতে চলিয়া গেল, শৌর্য্যে বীর্য্যে বুদ্ধিকৌশলে সকল বিষয়েই যুবক এক শ্রেষ্ঠ যে ক্রমে যুবকের প্রভুত্ব আপনা হইতে তাহারো সহিয়া গেল—দুর্ব্বলের প্রতি সবলের, অক্ষমের প্রতি ক্ষমতাশালীর এমনি প্রভাব! কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব অসীম যেখানে ন্যায় প্রেম ইহার চালক; অন্যস্থলে ইহার প্রভাব প্রভূত হইলেও সে প্রভাবের সীমা আছে! ভীলপুত্রের এত সহিল—একটি সহিল না; যখন তাহার মনে হইল কেবল সামাজিক অধিকার নহে—তাহার পিতার স্নেহও যুবক আত্মসাৎ করিতেছে, তখন আর তাহার সহ্য হইল না। সে সব সহিতে পারে, পিতার স্নেহের উপেক্ষা সহিতে পারে না, আর সব অধিকার হইতে সে বঞ্চিত হইতে প্রস্তুত, কিন্তু
পাতা:মিবাররাজ.djvu/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
মিবাররাজ।