করিতে করিতে মাঝে মাঝে অগ্নি কুণ্ডে শুষ্ক কাঠ ঠেলিয়া দিতেছে ও নূতন কাঠ কাটিয়া আনিয়া জমা করিবার জন্য তম্বি করিতেছে। যাহারা কাঠ আনিতে উঠিতেছে তাহারা দু এক পা গিয়া দু একটা মাদল টানিয়া লইয়া পিটিতে পিটিতে গান লাগাইয়া দিতেছে অবশেষে মেয়েদের চেঁচানির জ্বালায় মাদল গুলা ফেলিয়া চোঁচা দৌড় মারিতেছে।
এই সময় এই গোলমাল হইতে কিছু দূরে ভীলপুত্র একাকী বসিয়াছিল। কিছু পরে কয়েকটি ভীলযুবা নিকটে আসিয়া বলিল—“এক্কা কি করছুস রে—আয়না ওই দিকে” কিন্তু ভীলপুত্রের উঠিবার গতিক না দেখিয়া শেষে আপনারাই সেই খানে অডিডা গাড়িল, ক্রমে সেখানে ছোট্ট খাট্ট একটি দল জমিয়া, উৎসবেরই গল্প আরম্ভ করিয়া দিল; ভীলপুত্র চুপ করিয়া শুনিতে শুনিতে থাকিয়া থাকিয়া বলিয়া উঠিল—
“কাল রাজা হউবিরে কোন ডা?”
ভীলদের সকল কর্ম্মেই একজন অধিনায়ক আবশ্যক;—ইহা অসভ্য সমাজের একটা বিশেষ লক্ষণ, কাল ভীলরাজ মন্দালিক বৃদ্ধদিগের মধ্যেই থাকিবেন, সুতরাং কাল যুবাদের অধিনায়ক হয় কে—এই কথা? কিন্তু একথায় অন্যেরা যেন আশ্চর্য্য হইল, একজন বলিল—“ক্যানরে যেইডা রোজ হউছে।”