আসে না। সেই জনতা ঠেলিয়া বহু কষ্টে একজন লোক সিংহাসনের কাছে আসিয়া দাঁড়াইলেন। তাঁহাকে দেখিয়া হঠাৎ সকলে স্তব্ধ হইয়া পড়িল—তিনি তাঁহার ভাষায় জিজ্ঞাসা করিলেন “কি হইয়াছে কি? সকলে উত্তর করিল “আমাদের রাজা হইয়াছে।”
“রাজা হইয়াছে? সে আবার কি?”
যুবারা তখন খুলিয়া সব বলিল—খানিকক্ষণ মন্দালিকের মুখে কোন কথা সরিল না, তিনি স্তব্ধ হইয়া রহিলেন—কিছু পরে আত্মস্থ হইয়া বলিলেন—
“বৎসগণ শোন, আজ খেলাচ্ছলে যাহাকে রাজার অধিকার দিলে—সে অধিকার আবার ফিরাইয়া লইলে তোমাদের কথা মিথ্যা হইয়া যায়, তোমরা আমার সন্তান, তোমাদের সত্য ভঙ্গ হইলে তাহার দায়ী আমি, সুতরাং আজ তোমরা যাহাকে রাজা বলিয়া ডাকিলে সে চিরকালই তোমাদের রাজা হউক”—
বলিয়া বৃদ্ধ ভীলরাজ তাহার লৌহপাত-মণ্ডিত বংশদণ্ড যুবকের হাতে দিয়া বলিলেন—
“আজ হইতে তুমিই এই বন প্রদেশের রাজা হইলে, আমরা তোমার প্রজা,” যাহা বলিলেন তাহার সত্যতা পালনস্বরূপ স্বয়ং বৃদ্ধ তাহাকে অভিবাদন করিলেন—পরে একে একে ভীলগণ সকলেই অভিবাদন করিতে লাগিল—যুবকের কিছুই নূতন মনে হইল না,মনে মনে সে এত দিন সকলেরই