পাতা:মিবাররাজ.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
১৯

প্রভু ছিল, আজ প্রকাশ্যে হইল মাত্র, যুবক রাজারই মত গট হইয়া বসিয়া রহিল। অভিবাদন এক রকম শেষ হইয়া আসিল —কিন্তু ভীলপুত্র অভিবাদন করিল না, দেখিয়া ভীলরাজ বলিলেন—

 “বৎস প্রণাম কর ইনি তোমাদের রাজা”

 এ অজ্ঞা পিতার আজ্ঞা, রাজার আজ্ঞা, রাজবিদ্রোহ কাহাকে বলে অসভ্যেরা জানে না,—এ আজ্ঞা অবহেলা করিতে ভীলপুত্রের সাধ্য নাই, ভীলপুত্র আস্তে আস্তে অনিচ্ছুক হৃদয়ে মস্তক অবনত করিল।

সপ্তম পরিচ্ছেদ।

 ভীলগ্রাম হইতে কিছু দূরে, ইদর অরণ্যের অপেক্ষা কত নিম্নাংশে সুহারমতী নদীতীরে একলিঙ্গদেবের মন্দির, এই মন্দিরের মৃত পুরোহিতের পত্নী কমলাবতী তাঁহার পুত্র কন্যা দুইটিকে লইয়া এইখানে বাস করেন। পুত্রটিই আমাদের যুবক। যুবকের নাম কি তাহা এখনো বলা হয় নাই, তাহার নাম গ্রহাদিত্য; কিন্তু তাহার মাতা কোন তীর্থ হইতে ফিরিয়া আসিবার সময় একটী পর্ব্বত-গুহায় তাহার জন্ম হইয়াছিল ইহা হইতে লোকে তাহাকে গুহা বলিয়াই ডাকে। ব্রাহ্মণ-সন্তান হইয়াও গুহার স্বভাব ছেলেবেলা হইতেই নেহাত ক্ষত্রিয়; ছেলে বেলা হইতে সে গ্রামের ভীল ও রাজপুত-সন্তানদিগের সহিত মিশিয়া খেলিয়া বেড়ায়,