পাতা:মিবাররাজ.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
২১

মাটী হইতে একটা চিল কুড়াইয়া সম্মুখের গাছের একটা কাকের প্রতি লক্ষ্য করিয়া মারিল, কাকটা কাকা করিয়া ভূমিতে পড়িল—যুবক তাহার প্রতি আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দিল। গুরু মহাশয় রাগিয়া তাহাকে এক পায়ে দাঁড়াইতে আজ্ঞা করিলেন—কিন্তু ঐরূপ বে-আইনি কাজ করিয়া তখন তাহার এতটা আমোদ হইয়াছিল যে কিছুতেই সে দিন গুরুমহাশয় তাহাকে পাঠশালায় রাখিতে পারিলেন না, অনেক ছাত্রের হাত এড়াইয়া সে দিন সে পলাইয়া গেল।

 এ ঘটনাটি গুহার হাতে-ঘড়ি অবস্থার ঘটনা, সুতরাং গুরুমহাশয় ভাবিলেন, ক্রমে পড়াশুনায় (সঙ্গে সঙ্গে শাস্তিতেও) তৈয়ার হইয়া আসিলে তাহার এ সব দোষ শুধরাইয়া যাইবে। গুরুমহাশয় নিতান্তই ভুল বুঝিয়াছিলেন—দোষে গুণে সে সমান রূপে তৈয়ার হইতে লাগিল। ব্যাকরণ পড়িতে পড়িতে একদিন সে উক্ত ঘটনা অপেক্ষাও গুরুতর অপরাধ করিয়া বসিল—একটী সূত্র মুখস্থ বলিবার সময় বলিবে—

রলয়োর্ডলয়োস্তদ্বৎ জযয়োর্ববয়োরপি”

 তাহা না বলিয়া বলিল—

“রলয়োর্ডলয়োস্তদ্বং ব্রাহ্মণত্রয়োরপি”

 গুরুমহাশয় প্রায়ই তাহাকে গালাগালি দিয়া বলিতেন, “হতভাগা, ব্রাহ্মণের ছেলে হয়ে ক্ষত্রিয় হলি”—তাই সে সুবিধামত নজীর দেখাইয়া দিল। গুরু মহাশয় মহাক্রুদ্ধ