হইয়া পাঠশালার পাশের ঘরে তাহার হাতকড়ি লাগাইয়া দ্বার বন্ধ করিয়া দিলেন। খানিকক্ষণ পরে আসিয়া দেখেন—গুহা সেখানে নাই; পশ্চিম দিকের দেয়ালে যে অল্প একটু গর্ত্ত ছিল তাহা মস্ত হইয়াছে, দেয়ালের কতকগুলি বাখারি মেজেতে পড়িয়া আছে—তাহার মধ্যে ধনুকদশা-প্রাপ্ত একখানির গায়ে বাণ স্বরূপ একটা কলম ঝুলিতেছে। ঘরের টাঙ্গান কড়ির-দোলনায় একটিও কড়ি নাই, কড়িগুলা ঘরময় গড়াগড়ি যাইতেছে। বাখারির ধনুকে কলমের বাণ অর্পিত হইয়া যে তাহা এই কড়িগুলার প্রতি এতক্ষণ প্রযুজ্য হইয়াছিল তাহা বুঝিতে গুরুমহাশয়ের বাকী রহিল না—কড়ির উপর দিয়াই যে বাণের লক্ষ্যটা গিয়াছে, ইহাতে তিনি মনে মনে সৌভাগ্য জ্ঞান করিলেন। যাই হোক শাস্তি দিয়া গুহার যে কিছু হইবে না। সেই দিন গুরুমহাশয়ের হৃদয়ঙ্গম হইল। পরদিন গুহা আসিবামাত্র বলিলেন—
“বাবা উত্তম বলিয়াছ। ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়ে কিছু মাত্র ভেদ নাই—তুমি স্বচ্ছন্দে গিয়া ক্ষত্রিয় হও, পড়াশুনা তোমার যথেষ্ট হইয়াছে।”
যুবকের এইরূপ স্বভাবের জন্য এখন পর্য্যন্ত সে উপবীত হয় নাই। কমলাবতী ক্রমাগতই বলেন “আরো কিছুদিন যাক্, ছেলে বুদ্ধিটা ঘুচিয়া বুদ্ধিশুদ্ধি একটু পাকুক তখন উহার পৈতা দেওয়া যাইবে।” কথাটা এই,