নাই, দিদির সহিত প্রাণ খুলিয়া গল্প করিতে পায় নাই ইহাতে তাহার বড়ই কষ্ট হইতেছে, শীকারের মধ্যে, উৎসবের মধ্যে —তাহার অভিষেকের মধ্যেও সে দিদিকে ভুলে নাই, তাহার কাছে ছুটিয়া আসিবার জন্য ব্যস্ত হইতেছে, যখনি তাহার অভিষেক অনুষ্ঠান শেষ হইল, সে যেন বাঁচিয়া গেল, তখনি ভীলদিগের আদর অভ্যর্থনা হইতে কষ্টে রেহাই লইয়া অধীর চিত্তে সে গৃহাভিমুখী হইল।
অষ্টম পরিচ্ছেদ।
বিকাল বেলা, একলিঙ্গদেবের মন্দিরের পশ্চাতে একটা উচ্চ প্রশস্ত ভূমিতে পশ্চিমের এক খণ্ড লাল মেঘের আলোর মধ্যে দাঁড়াইয়া একটী বালিকা ভীল গ্রামের দিকে উৎসুক নেত্রে চাহিয়াছিল। হঠাৎ আকাশের সেই লাল মেঘখানার মত তাহার মুখখানি হাসি হাসি হইয়া উঠিল, সে তাড়াতাড়ি পাশের কামিনী গাছের ঝোপের আড়ালে আসিয়া দাঁড়াইল। একটু পরেই গুহা নদীর ধার দিয়া সেই উচ্চ ভূমিতে আসিয়া দিদি দিদি করিয়া ডাকিতে ডাকিতে চারিদিকে তাহাকে খুঁজিয়া বেড়াইতে লাগিল, অবশেষে কামিনী গাছের কাছে আসিয়া তাহার চোখ টিপিয়া ধরিল বলিল—“কেমন জব্দ” —দিদি খিল খিল করিয়া হাসিয়া চোখ ছাড়াইয়া লইয়া তাহার দিকে ফিরিয়া দাঁড়াইল, তাহার নূতন বেশ দেখিয়া বলিল—