“এ কি গুহা, একি ভাই?”
গুহা হাসিয়া বলিল “রাজবেশ। দেখছিস কি আমি রাজা হয়েছি”
“আমরি কি রাজ বেশেরই শ্রী।”
বালিকা হাসিয়া বঁচিল না। হাসিটা শেষ হইলে গুহার সাজটা ভালরূপে নিরীক্ষণ করিতে করিতে বলিল—
“গুহা সত্যি যদি তুই রাজা হ’স! এই ঘাসের মুকুটটা তাহলে সোনার মুকুট হয়ে পড়বে? এই সুন্দর দুধের শরীর জরির পোষাকে এঁটে চারি পাশের লোকজনের মধ্যে সোনার সিংহাসনে গ্রামভারী চালে বসে থাকবি? ওমা সে কি বিশ্রী”!
সে চেহারাটা সত্যবতীর বড়ই খারাপ লাগিল, চেহারাটাকে একেবারে ধ্যাঁচ করিয়া দিবার অভিপ্রায়ে আরো বার দুই তিন ধরিয়া ক্রমাগত সে ছিছি করিয়া উঠিল কিন্তু তাহাতেও মন না উঠায় শেষে গুহাকে আদর করিয়া, তাহার খালি বুকে আস্তে আস্তে হাত বুলাইতে বুলাইতে আবার বলিল “এ আমাদের কেমন গুহা, ছি সে কি বিশ্রী?” ইহার পর সে চেহারা খানির ভাল হইবার আর কোনই যেন সম্ভাবনা রহিল না।
কিন্তু গুহা বলিল “কেন বিশ্ব কেন! আমি রাজা হব তুই রাজার বোন হবি, মা রাজার মা হবেন সে কি বিশ্রী হল?”
দিদি বলিল “তা রাজা হয়ে যদি তুই আমাদের ভুলে